পূজারা রান করবেন না। আর ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও তাঁকে বাইরে রাখবেন না! এমন ভাষাতেই এবার গর্জে উঠল ক্রিকেট জনতা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্ৰথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে পূজারার অবদান শূন্য। লুঙ্গি এনগিডির নবম ওভারে পূজারা শর্ট লেগে কিগান পিটারসেনের হাতে ধরা পড়লেন। দ্বিতীয় সেশনে পূজারা আউট হতেই ভারত খুব ভাল জায়গায় থেকে হঠাৎ আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়।
এই নিয়ে টেস্টে দুবার গোল্ডেন ডাক করলেন পূজারা। দুবার-ই তাঁকে আউট করলেন এনগিডি। তবে প্ৰথমবারের আউটের ধরণ যদিও অনেকটা আলাদা ছিল। একই ভেন্যুতে ২০১৮-য় এনগিডি ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট করেন পূজারাকে। সেই ইতিহাসই অন্যভাবে ফিরিয়ে আনলেন প্রোটিয়াজ পেসার।
আরও পড়ুন: কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে ভালই হয়েছে! বেফাঁস দাবিতে ফের তুলকালাম শাস্ত্রীর
এনগিদি-র গুড লেংথের বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে পূজারা ব্যাটে-প্যাডে বল লেগে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডার পিটারসেনের কাছে পৌঁছে যায়। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তারকাকে।
ভারত দুই ওপেনারদের দুরন্ত ফিফটিতে ভর করে একসময় ১১৭/০ পৌঁছে গিয়েছিল। দ্বিতীয় সেশনেই মায়াঙ্ক নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে নিয়েছিলেন। এনগিদির বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে মায়াঙ্ক ৬০ করে যান। তারপরের বলেই এনগিদি ফেরান পূজারাকে। হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে অবশ্য কোহলিকে ফেরাতে পারেননি তিনি।
আর টানা ব্যর্থ হওয়ার পরে পূজারাকে নিয়ে যথারীতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চালু ট্রোল, মিম।
পিচ যথেষ্ট স্লো। এমন পিচে মায়াঙ্ক অনেক বেশি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করছিলেন কেএল রাহুল-ও। জুনের পরে প্ৰথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রোটিয়াজ সিমাররা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি।
তৃতীয় সেশনের খেলা চলাকালীন শেষ আপডেট অনুযায়ী, ভারত ১১৭/২ হয়ে যাওয়ার পরে আপাতত ১৭৪/২। কেএল রাহুল (৭৪) শতরানের দিকে এগোচ্ছেন। অন্যদিকে হাফসেঞ্চুরি করার সামনে ক্যাপ্টেন কোহলিও (৩২)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন