ম্যাচ চলাকালীন কোনও বিষয় অপছন্দ হলে আম্পায়ারকে জানানো থেকে কখনই বিরত থাকেন না কোহলি। বাইশ গজে বারবারই আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিউল্যান্ডসেও সেই ঘটনার কোনও ব্যত্যয় হল না।
বারবার মহম্মদ শামি ডেঞ্জার জোনে চলে যাচ্ছিলেন বলে সতর্ক করতে থাকেন আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস। তারপরেই কোহলি সরাসরি আম্পায়ারের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন: বুমরার স্বপ্নের ডেলিভারির হদিশই পেলেন না মারক্রাম! ছিটকে গেল স্ট্যাম্প, দেখুন
ফার্স্ট সেশনে একটাও উইকেট তুলতে পারেননি শামি। তিনি একবার পিচের ডেঞ্জার জোনে দৌড়ে চলে যাওয়ায় আম্পায়ার অফিসিয়াল ওয়ার্নিং দেন তারকাকে। পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, শামির পা ডেঞ্জার জোনের লাল দাগের কাছাকাছি ছিল। তবে তা স্পর্শ করেনি।
তা দেখেই ক্ষিপ্ত হন কোহলি। সরাসরি আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন শামিকে অফিসিয়াল ওয়ার্নিং দেওয়া হল। এরপরেই কোহলিকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যদিও বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখার পরে বোঝা যায়, ডেলিভারি করার পরে শামির পা ডেঞ্জার জোনেই ল্যান্ড করে। তবে অফিসিয়াল ওয়ার্নিংয়ের সময় নয়, বরং তার আগে বেশ কয়েকবার ডেঞ্জার জোনে চলে যাচ্ছিলেন তিনি।
যাইহোক, ভারত তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালই করেছিল। দিনের প্ৰথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বুমরা স্ট্যাম্প উপরে দেন আইডেন মারক্রামের। এরপরে নাইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ এবং কিগান পিটারসেন প্রোটিয়াজদের টানছিলেন।
উমেশ যাদবকে কোহলি কিছুক্ষণ পরে আক্রমণে নিয়ে আসেন। প্ৰথম স্পেলেই উমেশ ফিরিয়ে দেন কেশব মহারাজকে। এরপরে রাসি ভ্যান ডার ডুসেন এবং কিগান পিটারসেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত সেই পার্টনারশিপ ব্রেক করেন উমেশ যাদব।
ভারতের প্ৰথম একাদশ:
কেএল রাহুল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋষভ পন্থ, শার্দূল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন