টার্গেট ছিল মাত্র ১৪৩। লক্ষ্য পেরোতে অসুবিধা হয়নি ভারতের। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের তীরে পৌঁছে যায় ভারত। বছরের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়েই শুরু করল টিম ইন্ডিয়া।
আগের ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টির কারণে। ইন্দোরের পাটা পিচে মালিঙ্গার অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা ভারতের সামনে কোনও চ্যালেঞ্জ খাড়া করতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েই ভারত কর্তৃত্ব নিয়ে জয় পেল লঙ্কান ব্রিগেডের বিরুদ্ধে।
টসে জিতে আগের দিনের মতোই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে যথারীতি সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছিল মাত্র ১৪২। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১৭.৩ ওভারেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।
সামান্য টার্গেট তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ান-কেএল রাহুলের ওপেনিং জুড়ি স্কোরবোর্ডে ৭১ তুলে দেয়। ধনঞ্জয় ডিসিলভা শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেয় লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে। ৩২ বলে ৪৫ রান করে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহুল। ওপেনিং সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পরে বেশিক্ষণ টেকেননি ধাওয়ানও। তাঁকেও ফেরান ডিসিলভা। দলগত ৮৬ রানের মাথায় ধাওয়ান ২৯ বলে ৩২ রান করে লেগবিফোর হয়ে যান তিনি।
এরপর শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ক্য়াপ্টেন বিরাট কোহলি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। পরপর দু-উইকেট হারিয়ে একটু চাপে পড়েছিল ভারত। তবে দুই তারকা দুরন্ত পার্টনারশিপে ভর করে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠে ভারত। পার্টনারশিপে হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করে ফেলেন দু-জনে। যখন ধরে নেওয়া হচ্ছিল শ্রেয়স-কোহলি জুড়িতেই জয় আসবে, সেই সময়েই বিপত্তি। জয়ের ঠিক ৫ রান আগে সাজঘরে ফিরতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে (২৬ বলে ৩৪)।
আরও পড়ুন বারেবারে ব্যর্থ পন্থ, অবশেষে ধোনির উত্তরসূরিকে নিয়ে সরব সৌরভ
এরপরে কোহলি পন্থকে সঙ্গে নিয়ে বাকি রান তুলতে দেরি করেননি। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি ১৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারত আগের দিনের ম্যাচের একাদশই অপরিবর্তিত রেখেছিল। তবে শ্রীলঙ্কান প্রথম একাদশে এদিন আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে। বদলে আনা হয়েছিল ধনঞ্জয় ডিসিলভাকে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে এদিন সর্বোচ্চ স্কোর কুশল পেরেরার। দুই ওপেনার গুনতিলকে ও ফার্নান্দো যথাক্রমে ২০ ও ২২ করে যান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে প্রত্যেকেই এদিন উইকেট পেয়েছেন। শার্দুল ঠাকুর ৩ উইকেট নিয়েছেন। কুলদীপ যাদব ও নভদীপ সাইনি ২টো করে উইকেট দখল করেছেন। চোট সারিয়ে ফিরে আসার পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এদিনই প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বুমরা। তবে সেরা ছন্দে পাওয়া যায়নি তারকা পেসারকে। শেষদিকে বোলার শানাকাকে আউট করলেও বুমরা নিজের ৪ ওভারের কোটায় খরচ করেছেন ৩২ রান। ম্যাচের সেরা বাছা হয়েছে নভদীপ সাইনিকে।
আরও পড়ুন সাক্ষী-অনুষ্কার সম্পর্ক বহু পুরনো, জানতেন না ধোনি-কোহলিও
ভারত (প্রথম একাদশ)- শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, নভদীপ সাইনি, জসপ্রীত বুমরা
শ্রীলঙ্কা (প্রথম একাদশ)- ধনুষ্কা গুণতিলকে, অভিষ্কা ফার্নান্দো, ওশাদা ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা, ভানুকা রাজাপক্ষে, ধনঞ্জয় ডিসিলভা, দাসুন শানাকা, ইসুরু উদানা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাহিরু কুমারা, লাসিথ মালিঙ্গা