২০১৬-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে দুরন্ত ২৩৫ করার পরে ম্যাজিক সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। ছয় বছর পরে বেঙ্গালুরুতে সেই বৃত্ত যেন সম্পন্ন হল কোহলির কেরিয়ারে। ২০১৬-র পরে এই প্ৰথমবার কোহলির টেস্ট ব্যাটিং গড় নেমে গেল ৫০-এর নিচে। দেশের জার্সিতে ৫২ তম টেস্ট ম্যাচ খেলার পরে এলিট লিস্টে নাম লিখিয়েছিলেন কিং কোহলি। ২০১৭ থেকে টানা কোহলির ব্যাটিং গড় ৫০-এর ওপরেই ছিল এতদিন। তবে পাঁচ বছর এবং ৪৯ টেস্টের পরে কোহলির কেরিয়ার নতুন তলানিতে নামল।
বেঙ্গালুরুতে পিঙ্ক বল টেস্টে কোহলি দুই ইনিংসে করলেন ২৩ এবং ১৩। আর সেই সঙ্গেই কোহলির ব্যাটিং গড় ২০১৭-র পরে এই প্ৰথম ৫০-এর নিচে নেমে গেল। ৫০ গড় ধরে রাখার জন্য কোহলিকে চিন্নাস্বামীতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩ করতেই হত। তবে কোহলি শেষমেশ ৭ রানের খামতি নিয়ে নেমে গেলেন ৪০-এর ঘরে। বেঙ্গালুরু টেস্টের পরে কোহলির বর্তমান ব্যাটিং গড় আপাতত ৪৯.৯৫।
আরও পড়ুন: মাত্র ২৮ বলে ৫০! টি২০ মেজাজে কপিলের রেকর্ডে তান্ডব পন্থের, উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
শেষবার কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান করেন পিঙ্ক বল টেস্টেই। তিন বছর আগে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এরপরে তিন ফরম্যাটে টানা খেললেও হতাশ হতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ৭২ ইনিংস তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে ব্যর্থ তিনি।
সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ কোহলি শেষ করলেন তিন ইনিংসে ৮১ রান সমেত। গড় ২৭। ন্যূনতম দুই টেস্টের সিরিজে ঘরের মাঠে এটাই কোহলির তৃতীয় নিকৃষ্ট পারফরম্যান্স। এর আগে ২০১৬/১৭-য় বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে কোহলি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। ২০১৩/১৪-য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন মাত্র ৬০ রান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এর আগে কোনও টেস্ট সিরিজে এত কম রান করেননি কোহলি।
শনিবারই কোহলিকে লিন প্যাচ কাটানোর মোক্ষম পরামর্শ দিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকার। তিনি বলেছিলেন, "নিজের সঙ্গে কথাবার্তা বলে স্রেফ যে বলে আউট হচ্ছ, সেই সমস্ত বল বাদ দাও। ব্যাটের ফুল ফেস দিয়ে যত বেশি সম্ভব শট খেলার চেষ্টা করো।"
কোহলির এই অন্ধকার সময়ের শেষ কোথায়, সেটাই এখন কার্যত জাতীয় কৌতূহলে পরিণত হয়েছে।