ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দু’ম্যাচের চলতি টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট চলছে হায়দরবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। টেস্ট শেষ হলেই দু’দলের মধ্যে পাঁচটি ওয়ান-ডে ও তিনটি করে টি-২০ ম্যাচ খেলা হবে। আগামী ২৯ অক্টোবর সিরিজের চতুর্থ ওয়ান-ডে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। কিন্তু সেই ম্যাচ সরে গেল শহরের আরেক স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচটি এখন হবে মুম্বইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় (সিসিআই)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল বিসিসিআই।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একই সিরিজের আরও একটি ম্যাচ সরল। এর আগে ইন্দোর থেকে দ্বিতীয় ওয়ান-ডে বিশাখাপত্তনমে সরেছে। কমপ্লিমেন্টারি টিকিট বন্টনের ইস্যুতে বোর্ডের সঙ্গে বিরোধীতা করে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ফলে ম্যাচটি বিসিসিআই সরিয়ে নিয়ে আসে বিশাখাপত্তনমে।
আরও পড়ুন: সংঘাতে বিসিসিআই-এমপিসিএ, ইন্দোর থেকে সরতে পারে ম্যাচ
আগেই মনে করা হচ্ছিল যে, ওয়াংখেড়ে থেকে ম্যাচ সরতে পারে। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েন (এমসিএ) জানিয়েছিল যে, তারা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের পক্ষে এই ম্যাচ আয়োজন করতে সমস্যা হতে পারে। ২০০৯ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল ব্রেবোর্নে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ন’বছর পর ফের এই মাঠে ম্যাচ। ওয়াংখেড়ের শুধুই আর্থিক সমস্যা ছিল না। বিসিসিআই-এর সঙ্গে কমপ্লিমেন্টারি পাস বন্টনের ইস্যুতেও তাদের সমস্যা হয়েছিল। এমনকি তারা জানিয়েছিল যে, চেকে সই করার মতোও কোনও আধিকারিক নেই তাদের। লোধা কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিতে গিয়ে এমসিএ-র কাছে কোনও পদাধিকারী নেই৷ ফলে কোনও ভেন্ডারের বয়েকা অর্থ মেটাতে পারছে না তারা৷ শুধু মুম্বই নয়, একাধিক রাজ্য সংস্থাই বিসিসিআই-এর আনা নতুন নিয়মের বিরোধীতা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ৯০ শতাংশ টিকিট জনসাধারণের জন্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। যার মানে ১০ শতাংশ কমপ্লিমেন্টারি টিকিট থাকবে রাজ্য সংস্থার কাছে।