দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরেই ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে পাঁচটি ওয়ান-ডে। আগামী ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচটি ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বিসিসিআই-এর সঙ্গে টিকিট সংক্রান্ত ইস্যুতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) সংঘাত বেঁধেছে। যার ফলে ইন্দোর থেকে ওয়ান-ডে ম্যাচটি সরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিসিসিআই-এর নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে যে, স্টেডিয়ামের মোট আসন সংখ্যার ৯০ শতাংশ টিকিট জনসাধারণের জন্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। যার মানে ১০ শতাংশ কমপ্লিমেন্টারি টিকিট থাকবে রাজ্য সংস্থার কাছে। হোলকার স্টেডিয়ামে আসনসংখ্যা ২৭,০০০। ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হলে রাজ্য সংস্থার কাছে পড়ে থাকবে আর ২৭০০ টিকিট। এর মধ্যে থেকে বোর্ডও তাদের স্পনসরদের জন্য ফ্রি-পাসের ভাগ চেয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জোড়া রেকর্ডের হাতছানি কোহলির সামনে
এমপিসিএ-র যুগ্মসচিব মিলিন্দ কানমাদিকার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এমপিসিএ-র ম্যানেজিং কমিটি এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, বিসিসিআই কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের দাবি থেকে সরে না-আসলে আমাদের পক্ষে দ্বিতীয় ওয়ান-ডে আয়োজন করা সম্ভব নয়। আমরা বোর্ডের হসপিটালিটি টিকিটের দাবি মানতে পারব না। আমাদের প্যাভিলিয়ন গ্যালারিতে ৭০০০ সিট রয়েছে। এখান থেকে দশ শতাংশ টিকিট পেলে আমাদের হাতে থাকবে ৭০০ টিকিট। এখান থেকে যদি আমরা পাঁচ শতাংশ টিকিট দিয়ে দিই তাহলে ৩৫০ হসপিটালিটি টিকিট পড়ে থাকবে। আমাদেরকে সদস্য ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দাবিও মেটাতে হবে। আমাদের রাজ্য সংস্থার কাছে ১০ শতাংশ কমপ্লিমেন্টারি আছে। সেখান থেকে আমরা পাঁচ শতাংশ বিসিসিআই-কে দিতে পারি। সেটা প্রতি গ্যালারি মিলিয়ে।’’ অন্যদিকে কানমাদিকারের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ এনেছে বিসিসিআই-এর এক সিনিয়র আধিকারিক। তিনি বললেন, “আমরা ইন্দোর থেকে ম্যাচ সরাতে চাই না। কিন্তু এমপিসিএ টিকিট নিয়ে ইস্য়ু করলে আমাদের বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবতেই হবে। এটা সম্পূর্ণ ভাবে কানমাদিকার ব্ল্যাকমেইল করছে।”