গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ভারতীয় স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে তুখোড় ছন্দে থাকা সরফরাজ খানকে টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়নি। সরফরাজ খানের অনুপস্থিতি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের একাংশ সরব হয়েছে। সুনীল গাভাসকার থেকে ওয়াসিম জাফর অনেকেই সরফরাজকে নিয়ে মুখ খুলেছেন।
তবে সরফরাজ খানকে নিয়ে ভারতীয় নির্বাচকদের আপত্তির কারণ এবার প্রকাশ্যে জানা গেল। সংবাদসংস্থা পিটিআই-য়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিম ম্যানেজমেন্ট মোটেই সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাছাড়া তারকা ব্যাটারের ব্যবহার বিধি নিয়ে সমস্যা রয়েছে ভারতীয় দলের।
বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, "সরফরাজের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রয়া অন্যায্য নয়। তবে সরফরাজকে বারবার উপেক্ষা করার কারণ ক্রিকেটীয় নয়। একাধিক কারণে নির্বাচকরা ওঁর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন।"
সেই সূত্র আরও জানিয়েছেন, "নির্বাচকরা এতটাও বোকা নয় যে টানা পরপর সিজনে ৯০০ প্লাস রান করা ক্রিকেটারকে নিয়ে বিবেচনা করবে না। ওঁকে উপেক্ষার অন্যতম কারণ হল ওঁর ফিটনেস। ধরা হচ্ছে, ওঁর ফিটনেস মোটেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নয়। ওঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ওজন কমাতে হবে। আরও ছিপছিপে হয়ে পারফর্ম করতে হবে। স্রেফ ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া যায় না।"
সরফরাজের নির্বাচনের পিছনে আইপিএল পারফরম্যান্স-এর কোনও ভূমিকাই নেই। স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেই সূত্র। জানাচ্ছেন,"মিডিয়ায় একটা ধারণা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে যে আইপিএলে পারফর্ম করতে না পারার কারণেই বাইরে রাখা হয়েছে ওঁকে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল যখন টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছিল সেই সময় ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০০০-এর বেশি রান করেছিল। সেই সময় কি ওঁর আইপিএল ফর্ম বিবেচ্য হয়েছিল? একই কথা প্রযোজ্য হনুমা বিহারির ক্ষেত্রেও। ঘরোয়া স্তর এবং এ দলের হয়ে পারফরম্যান্সের সুবাদে ওঁকে জাতীয় দলে জায়গা দেওয়া হয়। আইপিএল এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট তখন খতিয়ে না দেখা হলে এখন কেন নির্বাচনের মাপকাঠি বদলে ফেলবে শিবসুন্দর দাসের কমিটি! কোনও ক্রিকেটীয় কারণেই আদতে বাদ দেওয়া হয়নি সরফরাজকে।"