পোর্ট অফ স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল বিরাট কোহলি অ্য়ান্ড কোং। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৯ রানে (ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে) হারিয়ে তিন ম্য়াচের ওয়ানডে সিরিজে ভারত ১-০ এগিয়ে গেল। সৌজন্য়ে বিরাট কোহলির অসাধারণ সেঞ্চুরি ও ভুবনেশ্বর কুমারের চার উইকেট।
এদিন টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট। শিখর ধাওয়ান আর রোহিত শর্মার জুটি ওপেন করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। শেলডন কটরেলের বলে মাত্র ৩ বলে ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান গব্বর। এরপর হিটম্য়ান রোহিতকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেয়নি উইন্ডিজ। রস্টন চেজের বলে ৩৪ বলে ১৮ রান করে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে যান তিনি। ৭৬ রানে ভারতের ওপেনাররা ড্রেসিংরুমে ফেরেন।
এখান থেকে শুধু ম্য়াচটিকে ধরলেনই না কোহলি, ভারতকে একটা বড় রানের মঞ্চও করে দিলেন। এদিন কেরিয়ারের ৪২ নম্বর ওয়ান-ডে সেঞ্চুরিটা হাঁকালেন কিং কোহলি। ১২৫ বলে ১২০ রানের ঝকঝকে সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্য়াট থেকে। ১০ ম্য়াচ পর কোহলির ব্য়াট থেকে এল তিন সংখ্য়ার রান।
কোহলিকে চার নম্বরে সঙ্গ দিতে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনি ৩৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন। কিন্তু শ্রেয়াস আয়ার প্রমাণ করলেন কেন তিনি এই দলে খেলার দাবিদার। পাঁচে ব্য়াট করতে নেমে আয়ার ৬৮ বলে ঝকঝকে ৭১ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। করলেন কেরিয়ারের তিন নম্বর ওয়ান-ডে অর্ধ-শতরান। কোহলি ফিরে যাওয়ার পর কেদার যাদব ( অপরাজিত ১৬) ও রবীন্দ্র জাদেজার (অপরাজিত ১৬) ক্য়ামিও ইনিংসে ভারত নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান তোলে।
এই রান তাড়া করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু বৃষ্টির জন্য় খেলা সাময়িক বন্ধ থাকে। তাদের রিভাইসড টার্গেট দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ ওভারে ১৭৯ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল এক সময়। সেখান থেকে ৪২ ওভারে দলটা অলআউট হয়ে যায়। সৌজন্য়ে ভুবির চার উইকেট। এদিন ভারতের সুইং বোলার আট ওভার বল করে ৩১ রান খরচ করে চার উইকেট নেন।
মহম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদব পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। ক্য়ারিবিয়ানদের মধ্য়ে সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার এভিন লুইস ৮০ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। আগামী বুধবার এই মাঠেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচ খেলতে নামবে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টিটোয়েন্টির পর ওয়ান-ডে সিরিজও ভারত নিজেদের দখলে রাখতে চাইবে।