বাংলাদেশ আমার বিপক্ষে খেলবে না। খেলবে ভারতের বিপক্ষে। জাতীয় দলের অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন ম্যাচের আগে। ভারত-বধের চাবিকাঠি হিসেবে বাংলাদেশ আগেই ঠিক করে ফেলেছে ক্যাপ্টেন সুনীলকে আটকাতে হবে। একদিন আগেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে সাক্ষাৎকারে মামুনুল ইসলাম বলে দিয়েছিলেন, ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে তফাত গড়ে দিতে পারেন একমাত্র সুনীলই। এখানেই না থেমে সুনীলের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞতম সদস্য বলছিলেন, "কোনও সন্দেহ নেই সুনীলই ভারতের সবথেকে বিপজ্জনক ফুটবলার। ও একজন সুপার ফুটবলার, গোলমেশিন বলা হয় যাকে!"
শুধুমাত্র বিবৃতি দেওয়াই নয়, বাংলাদেশের অনুশীলন দেখলেও বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ভারতে এসেই বাংলাদেশের অনুশীলনে সুনীল-ছাপ। সুনীলকে যে ম্যাচে ক্লোজ মার্কিং করা হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে-র কণ্ঠেও। ব্রিটিশ কোচ প্রাক-ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছিলেন, "এশিয়ান ফুটবলে সুনীল খুব বড় নাম। ওকে আমাদের ক্লোজ মার্ক করতেই হবে। ওকে যদি সামান্য়তম জায়গাও দেওয়া হয়, তাহলে শাস্তি পেতে হবে আমাদের। ভারতের অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে, তবে সুনীলের কাছে যাতে বল না যায়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।"
সাংবাদিক সম্মেলনে দুই দলের কোচ ও অধিনায়ক (ফেডারেশন)
বাংলাদেশের নজরে যখন কেবলই সুনীল, সেখানে টিম ব্লু-র অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, "গোটা দল মোটেই আমাকে নিয়ে নয়। এটা ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। ভারতের ২৩ জনের মধ্যে আমিও একজন। ঘটনাচক্রে, অনেকের থেকে আমি সামান্য়তম অভিজ্ঞ। ব্যাস এটাই। সতীর্থদের তরফে আমার উপরে কোনও নির্ভরতা নেই। আমরা দলগত পারফরম্যান্স মেলে ধরব।" সুনীল কণ্ঠে কেবলই বিনয়। তবে বাংলাদেশ যদি তাঁকেই কেবলমাত্র গুরুত্ব দেয়, তাহলে প্রতিপক্ষকে ভুগতে হবে, এমনই সতর্কবাণী শুনিয়ে রাখছেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়ক সুনীলের সঙ্গে কোচ ইগর স্টিম্যাচ (এআইএফএফ)
সুনীল আরও বলেছেন, "যদি ওঁরা আমাকে মার্ক করে, তাহলে আমি খুশিই হব। ১,২,৩ কিংবা ৪জন হয়তো আমাকে মার্ক করবে। তাহলে তো মাঠে ৬ বনাম ১০ হয়ে দাঁড়াবে। উদান্তা, আশিক, সাহাল, মণবীর, বলবন্ত গোল করে যাবে, আগামীকাল দেখে নেবেন।" এরপরেই হাসির ছলে ক্যাপ্টেন সুনীল বলেছেন, "যদি ওরা আমাকে ৪জন মিলে মার্ক করে, তাহলে আমরা মাঠে চা পান করব। সাধারণত, আমি গোল করার বেশি প্রচেষ্টা করি না। কারণ গোল করার বিষয়ে আমি অনেকটাই স্বভাবজাত। কে গোল করল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ দিনের শেষে তিন পয়েন্ট পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।"
সুনীল প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ ইগর স্টিম্যাচও জানিয়ে দিয়েছেন, "ফেভারিট হওয়াটা কোনও বিষয় নয়। আমাদের কেবল মাঠে নেমে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। ম্যাচটা ১১ বনাম ১১ জনের খেলা হতে চলেছে। প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে দলের জন্য আত্মত্যাগ করতে হবে ছেলেদের।"
কাতারের বিপক্ষে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি সুনীল। জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তনে তিনি সত্যিই জ্বলে উঠতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH