জার্সিতে ইন্ডিয়া নয়, যেন থাকে ভারতের নাম। এমনটাই জানিয়ে এবার বোর্ডের কাছে আর্জি করলেন স্বয়ং বীরেন্দ্র শেওয়াগ। সামনেই দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর বসছে। আর দেশের মাটিতে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপে যেন কোহলিদের জার্সিতে জ্বল জ্বল করে ভারতের জার্সি। এমনটাই চাইছেন শেওয়াগ।
দেশের নাম বদল নিয়ে জোর জল্পনা। ৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ বৈঠকে অংশ নিতে আসা দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে নৈশভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই নৈশভোজের আমন্ত্রণ পত্রে দ্রৌপদী মুর্মুকে উল্লেখ করা হয়েছে 'ভারতের রাষ্ট্রপতি' হিসাবে।
শেওয়াগ সেই ইস্যুতে টুইটারে লিখেছেন, "সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, দেশের নাম একটাই হওয়া উচিত যে সকলের মধ্যে গর্ব সঞ্চার করবে। 'ইন্ডিয়া' নাম দিয়েছিল ব্রিটিশরা। আমরা আদতে ভারতীয়। সরকারিভাবে 'ভারত' নাম ফিরে পেতে বহু বছর অপেক্ষা করতে হল। বোর্ডের কাছে আর্জি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে যেন প্লেয়ারদের বুকে 'ভারত' খোদাই করা থাকে।" এছাড়াও নাম পরিবর্তিত হওয়া অন্যান্য দেশের নাম উল্লেখ করেছেন শেওয়াগ।
নজফগড়ের নবাব বলেছেন, "ভারতে ১৯৯৬ সালে নেদারল্যান্ডস এসেছিল হল্যান্ড নামে। ২০০৩ বিশ্বকাপে আমরা যাঁদের মোকাবিলা করলাম, তারা নেদারল্যান্ডস। বার্মাও ব্রিটিশদের দেওয়া নাম পরিবর্তন করে মায়ানমার করে নিয়েছে। অনেক দেশই নিজেদের আসল নামে ফিরে গিয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ১৮-২২ পর্যন্ত সাংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে ভারতীয় সংবিধান থেকে ইন্ডিয়া নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব-ড্রাফট করা হবে। সেই খসড়ার প্রস্তুতি এখন থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল-১ এ লেখা রয়েছে, 'ইন্ডিয়া, যা কিনা ভারত'। এই অংশটুকুই বদলে ফেলা হবে 'ভারত'-এ।
পক্ষে বিপক্ষে অনেক কমেন্টই জমা পড়ে শেওয়াগের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে। একজন কমেন্ট করেন, শেওয়াগের সাংসদ হওয়া উচিত। তবে বিষ্ফোরক ব্যাটসম্যান সরাসরি জানিয়ে দেন, তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সংস্রব নেই। এর আগে একাধিক নির্বাচনে দেশের দুটো রাজনৈতিক দলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাবও দূরে সরিয়ে দিয়েছেন।