সৌরভের সুযোগ্য ক্যাপ্টেন্সিতে ভারতীয় ফুটবল এগিয়ে যাবে, এমনটাই মনে করেন মহারাজের একসময়ের সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ। ২৪ ঘণ্টা আগেই ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মসনদে বসেছেন বেহালার বীরেন রায় রোডের বাসিন্দা। তারপরেই সৌরভ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন। একের পর এক ক্রিকেটের কর্তা-ব্য়ক্তি থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সৌরভকে। সরকারিভাবে চলতি মাসের ২৩ তারিখেই সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ। তার আগেই সৌরভকে টুইটারে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন লক্ষ্মণ।
লক্ষ্মণ টুইটারে লিখলেন, "বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার জন্য সৌরভকে অনেক অভিনন্দন। কোনও সন্দেহ নেই যে সৌরভের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট আরও উন্নতি করবে। নতুন ভূমিকায় সাফল্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।"
অক্টোবরের ২৩ তারিখেই বিসিসিআইয়ের নির্বাচন। সেই নির্বাচনেই সৌরভের বোর্ড সভাপতি হওয়া একপ্রকার পাকা। কারণ কোনও প্রতিপক্ষই নমিনেশন ফাইল করেনি। সেদিনেই সরকারিভাবে সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর হাত থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। টুইটারে হাজারো বার্তার ভিড়ে লক্ষ্মণের শুভেচ্ছাবার্তা চোখ এড়িয়ে যায়নি সৌরভের। তিনিও প্রত্যুত্তরে লিখেছেন, ধন্যবাদ ভিভিএস। তোমার অবদানও গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় একদশক দাপিয়ে খেলার পরে সৌরভ ২০১৫ সাল থেকেই সিএবি প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে সচিব, তারপরে জগমোহন ডালমিয়া প্রয়াণের পরে তিনিই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি ছিলেন। কিছুদিন আগের নির্বাচনেও ফের একবার তিনি সিএবি-র সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। ৪৭ বছরের মহাতারকা দায়িত্বপ্রাপ্তির দিনেই ভারতীয় ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দিয়েছেন।
পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দিয়েই সৌরভের গলায় শোনা গিয়েছে, “বিসিসিআইয়ের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তাই বোর্ডকে নতুন করে সাজানোর ভাল সুযোগ রয়েছে আমার কাছে। নির্বাচিত হলাম নাকি মনোনীত হলাম, তার থেকেও বড় বিষয় হল, এটা বড় দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে আমার কাছে। কারণ, বিসিসিআই ক্রিকেটের সবথেকে বড় সংস্থা। ইন্ডিয়া ক্রিকেটের পাওয়ার হাউস। এটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।” এরপরে তাঁর সংযোজন, “আশা করি সামনের কয়েকমাসে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।”
Read the full article in ENGLISH