Samarjitsinh Gaekwad expensive house: ক্রিকেট ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এই খেলায় জনপ্রিয়তা পাওয়া মানেই টাকার বৃষ্টি। আইপিএল সূচনা হওয়ার পর ক্রিকেটারদের আয়ও কোটি কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের ক্রিকেট সুপারস্টারদের আয়ও সহজেই অনুমেয়।
ক্রিকেটারের বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার চেয়েও দামি
ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি, অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনির মতো ক্রিকেটারদের সম্পদের পরিমাণ কোটি কোটি। তবে এমন একজন খেলোয়াড়ও আছেন যিনি কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি কিন্তু তিনি থাকেন দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার থেকেও দামি বাড়িতে।
কোহলি-ধোনি অনেক পিছিয়ে
বিরাট কোহলি, শচীন তেন্ডুলকার, এমএস ধোনি এবং রোহিত শর্মার মোট সম্পত্তি এই খেলোয়াড়ের বাড়ির পরিমাণের তুলনায় কিছুই নয়। এই খেলোয়াড় ভাদোদরার মহারাজ সিমারজিৎ সিং গায়কওয়াড়। রাজা এবং রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন ক্রিকেটারও ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই পোয়াবারো বাংলাদেশের, সেমির দৌড়ে হোঁচট খাবে ভারত! বড় আপডেট ম্যাচের আগেই
বরোদার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন সিমরজিৎ
সিমারজিৎ সিং গায়কওয়াড ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন থেকেই ক্রিকেট খেলতেন। রঞ্জি ট্রফিতেও তিনি বরোদা দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ১৯৮৭-৮৮ এবং ১৯৮৮-৮৯ সালের মধ্যে ছয়টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ছয় ম্যাচে ১৭.০০ গড়ে ১১৯ রান করেছেন। এর মধ্যে একটি হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে। তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৬৫। এরপর ক্রিকেট প্রশাসনে আসেন তিনি। দীর্ঘদিন বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৫-এ সালে মতিবাগে নিজের ক্রিকেট একাডেমি শুরু করেন।
লক্ষ্মী বিলাসের মূল্য ২০ হাজার কোটি টাকা
১০১২ সালে বাবার মৃত্যুর পর, কাকার সঙ্গে পৈতৃক উত্তরাধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদে লিপ্ত ছিলেন তিনি। শেষে আইনতভাবে সিমারজিৎ সিং ২০০০০ কোটি টাকার লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদের মালিকানা স্বত্ত্ব পান। বসবাসের দিক থেকে এই প্রাসাদটিকে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সম্পত্তি বলে মনে করা হয়। দেশের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়াও সিমারজিৎ সিংয়ের ভিলার থেকে পিছিয়ে। অ্যান্টিলিয়ার দাম ১৫ হাজার কোটি টাকা।
লক্ষ্মী বিলাস প্রাসাদ 1890 সালে নির্মিত হয়েছিল। বাকিংহাম প্যালেসের থেকে চারগুণ বড় এই বাড়ি। এই বাড়িটি 500 একর জুড়ে বিস্তৃত। মোদিবাগ প্যালেস এবং মহারাজা ফতেহ সিং মিউজিয়ামও রয়েছে এই বাড়িতে। এই বাড়িতে ছোট-বড় মোট ১৭০টি কক্ষ রয়েছে। যারা এখানে বেড়াতে আসেন তাঁদের জন্য বাড়ির নিচতলা খোলা।