Advertisment

ইস্টবেঙ্গলকে জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কার্লটন চাপম্যানই প্রয়াত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে

১৯৯৭ সালে এফসি কোচিনে যোগ দেন। সেখানে একবছর কাটিয়ে ফিরে আসেন পুরোনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে। ২০০০-২০০১ সালে ইস্টবেঙ্গল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জাতীয় লিগে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দুঃসময়ে ভয়ঙ্কর খবর আছড়ে পড়ল ভারতীয় ফুটবলে। জাতীয় দলের প্রাক্তন নক্ষত্র কার্লটন চাপম্যান সোমবার ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর।

Advertisment

দেশের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা নক্ষত্র মানা হয় চাপম্যানকে। টাটা ফুটবল একাডেমির প্রোডাক্ট ছিলেন তিনি। টিএফএ থেকে উত্থানের পর চাপম্যান ১৯৯৩ সালে যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। লাল হলুদ জার্সিতে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের আল জায়রা ক্লাবের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন।

আরো পড়ুন: ধোনিদের সামনেই কোহলিকে ‘কিস’ অনুষ্কার, আইপিএলের গ্যালারিতে প্রেমের রংমশাল

বল কন্ট্রোল এবং পাসিংয়ে অসম্ভব ভালো নৈপুণ্য ছিল। লাল হলুদ জনতার হৃদয় কাঁপানো পর ১৯৯৫ সালে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে কার্লটন চাপম্যান যোগ দেন জেসিটিতে। জেসিটির জার্সিতে চাপম্যান ১৪টি ট্রফি জিতেছিলেন। জেসিটির ক্লাব ইতিহাসে এই অধ্যায় স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। বাইচুং ভুটিয়া এবং আইএম বিজয়নের সঙ্গে জুটি বেঁধে জেসিটিকে জাতীয় ফুটবল লিগের প্রথম মরশুমেই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।

১৯৯৭ সালে এফসি কোচিনে যোগ দেন। সেখানে একবছর কাটিয়ে ফিরে আসেন পুরোনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে। ২০০০-২০০১ সালে ইস্টবেঙ্গল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জাতীয় লিগে। সেই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ট্রফি জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন কার্লটন চাপম্যান।

খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর চাপম্যান টিএফএ-র ইন্সট্রাক্টর পদে নিযুক্ত হন। সেখানে ছয় বছর কাটানোর পর শিলংয়ের রয়্যাল ওয়াহিংডো ক্লাবে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন। তাঁর কোচিংয়ে ওয়াহিংডো টানা তিনবার শিলং প্রিমিয়ার লিগ জেতার পাশাপাশি ২০১১ সালে বরদলৈ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৭ সালে কোচিনের ক্লাব কোয়ারজ এফসির কোচ হয়েছিলেন।

তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ভারতীয় ফুটবলে।

Indian Football
Advertisment