Advertisment

ভারতীয় ফুটবলের অসুখসমূহ: পর্ব -১

যা নেই, তাহলো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। কীভাবে এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে ট্যালেন্ট স্কাউটিং হবে লেখা নেই। কীভাবে দিন আনা দিন খাওয়া বাড়ির ছেলেমেয়েরা খেলতে আসবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গোড়ায় গলদ

চার বছর অন্তর বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসে। প্রতি বছর হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও বিভিন্ন নামী দেশের ক্লাব ফুটবল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, ইতালিয়ান সেরি আ, বা জার্মান বুন্দেশলিগা এখন ভারতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। একইভাবে ভারতে শুরু হয় আইএসএল এবং আই লিগ। এই মুহূর্তে রমরম করে চলছে দুটো প্রতোযোগিতাই, এবং খেলা বিশেষে মাঠে বা টিভির সামনে দর্শক জড়ো হচ্ছেন। ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা, ফুটবলারদের তারকা হয়ে ওঠা, ক্লাবের ঐতিহ্য, ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর বয়স, এসব দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, স্রেফ এশিয়ার মধ্যেই ভারত প্রথম দশে নেই। ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ সালের র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ভারত এশিয়ার মধ্যে ১৫ নম্বরে।

Advertisment

১৩৫ কোটি মানুষের দেশ, যেখানে গৃহযুদ্ধ নেই, একনায়কতন্ত্র নেই, বেশিরভাগ রাজ্যে অস্থিরতা তেমন গুরুতর নয় - অর্থনীতি মোটের ওপর স্থিতিশীল - সেখান থেকে ১১ জন ফুটবলার নিয়ে একটা দল করা যায় না, যারা গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া বা লেবাননের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। এমন সে দেশের ফুটবল পরিকাঠামো, যেখান থেকে একটা গুরপ্রীত সিং ইউরোপা খেললে বা সুনীল ছেত্রী এমএসএলে সুযোগ পেলে হইহই পড়ে যায়। যেখানে ফুটবল গৌরবের কথা বলতে গেলেই উনিশশো সত্তর সালের ওদিকে চলে যেতে হয়। মেয়েদের ফুটবল দলেরও একই অবস্থা। ১৯৭৯ সালের পরে আর কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই।

অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ, অতএব কাজের কথায় আসা যাক। এই লেখায় কিছু প্রশ্ন তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ও অপ্রীতিকর। প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে এইআইএফএফের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠবে আইএসএলের কার্যকারিতা নিয়ে, আইএসএল/আই লিগের উদ্দেশ্য নিয়ে, নার্সারি লিগ, তৃণমূল স্তরের ফুটবলারদের স্কাউটিং এবং সাপোর্ট নিয়ে, সর্বোপরি যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে। এছাড়াও প্রশ্ন উঠবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ছোট ফুটবল কোচিং ক্যাম্পগুলো নিয়ে, যেখানে কোন এক অজানা সমস্যায় ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি অর্থ পৌঁছয় না। প্রশ্ন উঠবে এআইএফএফের হাই প্রোফাইল কোচিং স্টাফেদের দিয়ে বানানো ম্যানুয়াল নিয়েও, এবং সেই অস্পষ্ট পরিকল্পনা আদৌ রূপায়িত করার কোন উদ্যোগ আছে কিনা তা নিয়ে।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, এসব পরিকল্পনার পেছনে কোন সদিচ্ছা নেই। মনে হয় যে বা যাঁরা এসবের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই ভারতে মজবুত ফুটবল সংস্কৃতি গড়ে তোলার। এমনকি এই সত্যটুকু স্বীকার করারও সদিচ্ছা নেই যে আকাশ থেকে একটা ফুটবল দল তৈরি হয় না, যেকোনও দেশের ভালো ফুটবল খেলার রসদ লুকিয়ে থাকে সেই দেশের ক্রীড়াসংস্কৃতির মধ্যে।

আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018: চলতি বছর গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কিওয়ার্ড

২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ভারত আটটির মধ্যে সাতটি ম্যাচ হেরেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুয়ামের কাছে ২-১ গোলে হার। প্রসঙ্গত, গুয়ামের ফুটবল র‌্যাঙ্কিং ভারতের থেকে ৩৩ ধাপ নিচে, দেশটির জনসংখ্যা ভারতের যেকোনও মেট্রো সিটির সমান। মজার ব্যাপার হলো, সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে তেমন লেখালেখি হয়নি, টিভিতে সরাসরি দেখানো হলেও ক্রীড়ামোদী মানুষ তেড়ে সেসব খেলা দেখতে বসেন নি, বা ক্রিকেট নিয়ে যেরকম উন্মত্ত তর্জা চলে সেসব কিছুই হয়নি আরও একবার ভারত বিশ্বকাপের যোগ্যতামান অর্জন না করায়। অথচ এই একই দেশের মানুষ ২০১৮ বিশ্বকাপের মূলপর্বের খেলা শুরু হওয়ার পর গালে জার্সির রং মেখে খেলা দেখতে বসেছেন। পাড়ার দেওয়ালে দেওয়ালে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা বা জার্মানির পতাকা আঁকা হয়েছে, রোনাল্ডো-মেসি-নেইমারের অগুন্তি ছবিতে ভরে উঠেছে ক্লাবঘর থেকে রাজপথ।

ছেলেদের ফুটবল দলের খেলা নিয়ে তাও যেটুকু মৃদু উৎসাহ আছে, মেয়েদের জাতীয় দলের খবর কেউ রাখেন না। ছেলেদের মতই মেয়েরাও এশিয়ায় ১৩ নম্বরে। একইভাবে মেয়েদের জাতীয় দলও এখনও কোন বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি, কোনও অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেনি, এবং শেষ পাঁচটি এশিয়ান কাপেও যোগ্যতা নির্ণায়ক রাউন্ড পার করেনি। হালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ভারতের দল নিয়ে খুবই উৎসাহ দেখা গেছে। তার কারণও স্পষ্ট। সমর্থকেরা ভারতকে বিশ্ব ফুটবলের নামী শক্তিগুলির সাথে খেলতে দেখতে চেয়েছেন। এ এক ধরণের ফুটবল ফ্যান্টাসি, যা একমাত্র আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত বিশ্বকাপ খেললেই চরিতার্থ হতে পারত। তাই হয়েছে, এবং এর সাথে ভারতীয় ফুটবলের বাস্তব চিত্রটির অনেক ফারাক রয়েছে।

কাজেই আইএসএলের তারকাদের খেলতে দেখার বিপুল উৎসাহের সাথে ভারতীয় ফুটবলের সংস্কৃতিকে মিলিয়ে ফেললে চলবে না। পুরুষদের জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী নিয়ম করে হতাশা প্রকাশ করেন সমর্থকেরা খেলা দেখতে আসেন না বলে। আই লিগের বহু ম্যাচেই মাঠ ফাঁকা থাকে। অন্যান্য অব্যবস্থার কথা তো বাদই দিলাম, পর্যাপ্ত মেডিকেল স্টাফ এখনও থাকে না অনেক ম্যাচে। দ্বিতীয়-তৃতীয় ডিভিশনের খেলাগুলো যেমন তেমন করে হয়, বন্ধ হয়ে গেলে হইচই হবে বলে সম্ভবত এখনও চলছে। এসব থেকে আমরা কয়েকটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি।

১) ভারত ফুটবলে খুব ভালো কিছু করবে সে আশা ভারতীয়দেরই নেই। সেনেগাল, আইভরি কোস্ট বা ক্যামেরুনের ফুটবলাররা ইউরোপে ও বিশ্বকাপে দাপিয়ে খেলেন, অথচ ভারতের ফুটবল পিছিয়ে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পরে আসছি। ছোট্ট তথ্য, সেনেগালের মোট ফুটবল ক্লাবের সংখ্যা কলকাতার রেজিস্টার্ড ক্লাবের থেকে কম।

২) ভারতীয় ফুটবল শ্লথ, দৃষ্টিনন্দন নয়। ক্লাব ফুটবল খুবই গতিহীন, যাকে একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি দৈনিকে "লেথার্জিক" বলা হয়েছে। বলা হয়েছে এর কারণ ভারতের অসমান মাঠ, যা একাধারে দৃষ্টিনন্দন ও গতিময় ফুটবলের অন্তরায়। এর খানিকটা সত্যি সেকথা মেনে নিলেও প্রশ্ন থেকে যায়, সত্তরের দশকের আগে মাঠ কেন অন্তরায় হয়নি?

৩) এই মুহূর্তে ভারতের তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার কাজ অত্যন্ত পরিকল্পনাহীনভাবে চলছে। স্কুল-কলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলোর নাম আর সেভাবে শোনাই যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সুব্রত কাপের খেলার প্রতিবেদন একসময় খবরের কাগজে ভালোভাবেই বেরোতো। এখন কেউ খেয়ালও রাখেন না সেসব খেলা কবে কোথায় হয়। সন্তোষ ট্রফিরও অবস্থা তথৈবচ। এসবই আসলে ইঙ্গিত করে ফুটবল অব্যবস্থার, যার দায় এক এবং একমাত্র কেন্দ্র ও রাজ্যের ফেডারেশনের। এআইএফএফের এই নিয়ে বিস্তারিত ম্যানুয়াল আছে, যেখানে বলা হয়েছে, কিভাবে ছোট মাঠের খেলা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে জটিলতর ফুটবলে অভ্যস্ত করতে হবে বাচ্চাদের।

খুবই বিজ্ঞানসম্মত ম্যানুয়াল, সেখানে যা আছে তা নতুন নয়। বারো বছর অবধি যেকোনও দেশের বাচ্চাদেরই ঐভাবে খেলা শেখানো হয়। যা নেই, তা হলো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। কীভাবে এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে ট্যালেন্ট স্কাউটিং হবে লেখা নেই। কীভাবে দিন আনা দিন খাওয়া বাড়ির ছেলেমেয়েরা খেলতে আসবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব ছোট কোচিং ক্যাম্পগুলো বিগত তিরিশ চল্লিশ বছর ধরে ধুঁকে ধুঁকে চলছে বা উঠে যাচ্ছে, সেগুলো সম্পর্কে কোনও কথা নেই।

publive-image ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ফুটবল দল (ছবি: উইকিপিডিয়া)

একদিকে এই অপ্রতুল সুযোগসুবিধা, অন্যদিকে আইএসএল। কয়েক সিজন ধরে আইএসএল চলার পর ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, টিভি চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানো ছাড়া আইএসএলের তেমন কোনও ভূমিকা নেই। প্রচুর টাকা ওড়াউড়ি করছে, সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিরও অন্ত নেই - কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, আগ্রহ সবটাই বিদেশি তারকা ও কোচেদের নিয়ে।

ভারতে কথায় কথায় বলা হয়, ক্রিকেট নাকি অন্য সব খেলাকে খেয়ে নিচ্ছে। যেটা বলা হয় না, তা হলো, ক্রিকেট না থাকলেও সেই অন্য খেলাগুলোর এই হালই হতো। একটি তুলনা করলেই বোঝা যাবে। ধরা যাক আইপিএলের কথা। আইপিএলেরও মুখ্য উদ্দেশ্য টিভি রেটিং, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট তাতে প্রচণ্ড লাভবান হচ্ছে। এর কারণ, আইপিএল যখন ভারতে শুরু হলো, তার আগেই ভারতের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরী হয়ে গেছে। এই জায়গায় আইএসএল এবং আইপিএল-এর মূলগত পার্থক্য আছে।

এখন আইএসএল শুরু করে ভারতীয় ফুটবলের কোন লাভই হচ্ছে না, কারণ ভারতের ফুটবল পরিকাঠামো ও সংস্কৃতি দুইই অনেক নিচে পড়ে আছে। আজ যদি ব্রাজিলে একটা দুমাসের ঝাঁ চকচকে সকার লিগ চালু হয় তাহলে ব্রাজিল উপকৃত হবে, কারণ তাদের ট্যালেন্ট পুল তৈরি, সে দেশে ফুটবলার হওয়া ইতিমধ্যেই পছন্দসই ও গৌরবের ব্যাপার। ভারতে ব্যাপারটা যতদিন না সেরকম হচ্ছে ততদিন আইএসএল অনেকটা গাছের গোড়া কেটে আগায় জল দেওয়ার মত ব্যাপার হবে।

গুয়ামের কাছে হেরে উঠে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন বলেন: “Today, the difference was very much visible between a group of players who have best football education and the rest. Seventy five percent of the players who represented Guam have been born in the US, and that made a huge difference.”

একই ম্যাচের ময়নাতদন্ত করতে বসে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বহুদিন ধরে লেখালেখি করে চলা নোভি কাপাডিয়া মনে করেন, ভারতের একটা নিজস্ব ফুটবল সংস্কৃতি ছিলো, যা ধ্বংস হয়ে যাওয়াই এই বিপর্যয়ের কারণ। প্রতি দেশের যেমন নিজস্ব ফুটবল খেলার ধরন অর্থাৎ স্টাইল থাকে, সেই স্টাইলের জন্যই ১৯৫৬ থেকে ১৯৬২ ভারত এশিয়ার সেরা ছিলো। সেই ছোট পাস আর বডি সোয়ার্ভের খেলা পরবর্তীকালে বদলে যেতে থাকে। ১৯৮০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন কোচ ভারতের পুরুষ দলের দায়িত্বে ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ন'জনই বিদেশের। নোভির কথায়, এই বিদেশি সর্বস্বতাই ডুবিয়েছে ভারতীয় ফুটবলকে। একই লেখায় নোভি চমৎকার সারসংক্ষেপ করে দেন ভারতীয় ফুটবলের অসুখকে। সরাসরি উদ্ধৃত করা যাক:

“India needs to plan a two-decade-long cycle. However, sponsors, investors, fans are impatient and keep talking about World Cup. We should aim to improve in Asia. Also, youth development is only given lip-service in Indian football. Age group football in India is full of fraudulent players masquerading as youngsters. The game has not spread all over the country. It is only played in pockets. Hence, international results are poor.”

এই কথার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাবে ভারতীয় পুরুষদের ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর সাক্ষাৎকারগুলিতে, যেখানে তিনি বারবার বলছেন এশিয় স্তরেই ভারত অনেক পিছিয়ে, তাদের উন্নতি আশঙ্কাজনকভাবে শ্লথ এবং আপাতত লক্ষ্য হওয়া উচিত সেখানে প্রথম দশে থাকা, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ বহু দূরের জিনিস।

একথা পরিষ্কার, নিচুতলা থেকে মজবুত ভিত্তি প্রস্তুত না করে একটা দুমাসের আইএসএলে কোনও দেশের ফুটবল পরিকাঠামো, যার অভাবে গুয়াম অনায়াসে হারিয়ে দিলো ভারতকে, তা তৈরি হবে না। পাঁচ থেকে দশ বছর ধরে অবিরাম উন্নত প্রশিক্ষণ, উপযুক্ত পরিকাঠামো ও সর্বোপরি ফুটবলবোধের শিক্ষার মধ্যে রাখা দরকার, ভালো ফুটবলার বানাতে গেলে।

বিশ্ব ফুটবলের পরিচিত নাম জেরার হালিয়ার (Gerard Houllier) এরকমই মনে করেন। তাঁর কথায়, “Five ingredients are indispensable if you want to revolutionize your football: Scouting, state-of-the-art facilities, specialist coaches, adopted programs for the different age ranges and successful professionalization.”

এই পর্বে আমরা দেখলাম ভারতীয় ফুটবলের অসুখের লক্ষণগুলো। মোটামুটি গোটা দেশ জুড়েই লক্ষণগুলো এক। তবে অবস্থার তারতম্য আছে, পরিকাঠামোর তফাৎ আছে। পরের পর্বে আমরা দেখবো কেমন আছে বাংলার ফুটবলের নার্সারি, অর্থাৎ সেই সাপ্লাই লাইন, যার অভাবে আজ একটার বেশি দুটো সুনীল ছেত্রী নেই। এই সাপ্লাই লাইনের জন্যই ভারত ক্রিকেটে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

আগামিকাল এমনই এক নার্সারির ইতিহাস।

Football Indian Football
Advertisment