Big Bash League, Nikhil Chaudhary: অস্ট্রেলিয়ায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ! বিদেশে ভারতের মুখ ডোবালেন তারকা ক্রিকেটার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই ক্রিকেটারের নাম নিখিল চৌধুরি। তাঁকে ইতিমধ্যেই বিচার প্রক্রিয়ার মুখে পড়তে হয়েছে। বিগ ব্যাশ লিগে হোবার্ট হারিকেনসের হয়ে নিখিল খেলেন। টাউনসভিলের জেলা আদালতে তাঁর বিচার চলছে। ২০২১ সালের মে মাসে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।
নির্যাতিতার বন্ধুরা আদালতে সাক্ষ্যতে বলেছে, তারা তাঁকে কাঁদতে দেখেছে। তাঁকে বলতে শুনেছে যে এক রাতে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, ফ্লিন্ডার্স স্ট্রিটে নিখিল চৌধুরি নিজের গাড়িতে ওই মহিলাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। তাতে তিনি ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত হন। সেই ঘটনার কোনও ছবি আছে কি না, ওই মহিলা স্বেচ্ছায় সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছেন কি না, আদালতে এখন তা নিয়েই বিচার চলছে।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, নিখিল চৌধুরি বছর ২০-র ওই মহিলার সঙ্গে, 'দ্য ব্যাংক' নাইট ক্লাবের ডান্স ফ্লোরে' দেখা করেছিলেন। যেখানে তাঁরা একসঙ্গে নাচেন। পরস্পরকে চুম্বনও করেছিলেন। এরপর ভোর ৩ টার দিকে তাঁকে নিখিল চৌধুরির সঙ্গে গাড়িতে চেপে যেতে দেখে ওই মহিলার বন্ধুরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ওই মহিলার একজন বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গাড়ির জানালায় ধাক্কা দেওয়ার পর চৌধুরিকে সেই গাড়ি থেকে নামতে দেখেছিলেন। সেই সময় নির্যাতিতা অঝোরে কাঁদছিলেন আর ধর্ষণের অভিযোগ করছিলেন বলে ওই বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন।
নির্যাতিতার মা এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তাঁর মেয়ে ২০২১ সালের ২৩ মে তাঁকে সকালে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেছিলেন। ফোনে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। নির্যাতিতার মা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর মেয়ে ভোর ৩টে ১১ নাগাদ তাঁকে ফোন করেছিল। তারপরই ফোনটা কেটে যায়। পরে, ৩টা ৫৫ নাগাদ ফের তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পান।
এই ব্যাপারে ফরেনসিক নার্স নিকোল আইটকেন জানিয়েছেন, তিনি নির্যাতিতাকে অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরীক্ষা করেছিলেন। তাতে তিনি দেখতে পেয়েছেন যে, নির্যাতিতার শরীরের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রে আঘাত লেগেছে। তবে, তিনি সেই আঘাতের কারণ কী, সেই ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন- ছক্কার ঝড়ে ‘দ্রুততম’ রেকর্ড চূর্ণ ২৪ মিনিটেই! হেড থেকে মুকুট কাড়ল অভিষেকের বিস্ফোরণ
নিখিল চৌধুরি অবশ্য দাবি করেছেন যে তিনি ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেননি। কিন্তু, কনস্টেবল আলেকজান্দ্রা স্মিথ, যিনি ঘটনার পরে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জানিয়েছেন যে নির্যাতিতা ঘটনার সময় অ্যালকোহলে প্রভাবিত ছিলেন না। যৌন নিপীড়নের রিপোর্ট করার সময় নির্যাতিতা স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিলেন। স্পষ্টভাবে কথা বলছিলেন বলেও জানিয়েছেন সাক্ষ্যে জানিয়েছেন ওই কনস্টেবল।