এ বছরের আইপিএল ঘিরে অনিশ্চয়তা ক্রমে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। করোনা-সঙ্কটের জেরে সম্ভবত বাতিল হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে এই হাইপ্রোফাইল টুর্নামেন্ট। আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সবচেয়ে খারাপ সম্ভবনাটার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বোর্ড কর্তারাও তেমন আশাবাদী নন আর টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ব্যাপারে। মঙ্গলবার আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে টেলিকনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। জানা গেছে, সেই কনফারেন্স হওয়ার সম্ভাবনাও এখন ক্ষীণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা বলেছেন, "এখন যা অবস্থা, আইপিএল সম্ভবত এ বছর আর হবে না। ব্যাপারস্যাপার দেখে তেমনই মনে হচ্ছে।"
আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষতি হবে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। এক বোর্ড কর্তার কথায়, "টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রশ্ন নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। কারণ, কেউই কোনও টাকা পাচ্ছে না, বোর্ডও না।"
আরও পড়ুন: আইপিএলের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে আপত্তি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের
বোর্ড আইপিএল-এর ব্যাপারে এই মুহূর্তে কিছু ভাবছে না বলেই খবর। এক পদস্থ বোর্ড কর্তার কথায়, "ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে, তার কিছুই এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা জানি না, ১৫ এপ্রিল অবধি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বা ভিসার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা কবে উঠবে। এখন তাই নির্দিষ্ট করে কিছু ভাবার নেই আইপিল নিয়ে।"
ওই কর্তা আরও জানান, "ভারতে যদি করোনা-পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও যায়, অন্য দেশগুলিতে কী অবস্থা থাকবে আমরা জানি না। জাপান পর্যন্ত অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে। এই অতিমারীর কাছে যে কোনও খেলাধুলোর আয়োজনই এখন তুচ্ছ।"
আইপিএল-এর ক্ষুদ্রতর সংস্করণও যদি করতে হয়, তা হলেও এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে টুর্নামেন্ট চালু করতে হবে, কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কোনওভাবেই জুনের প্রথম সপ্তাহের পর আইপিএল করা যাবে না। ২০০৯ সালে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল হয়েছিল ভারতে লোকসভা নির্বাচনের জন্য, ৩৭ দিনের মধ্যে ৫৭ টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তা পরিষ্কার বলেছেন, "এখন আইপিএল নিয়ে ভাবার মতো অবস্থাতেই নেই আমরা। বর্তমান সঙ্কট মিটুক আগে, তারপর এ নিয়ে ভাবার সুযোগ আসবে।"