ভারত-পাক ম্যাচের নবরাত্রির কারণে সূচি বদল হতে পারে। তবে কোনওভাবেই ভেন্যু বদল হবে না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। শুধু ভারত-ম্যাচ ম্যাচই নয়, একাধিক ম্যাচের সূচি বদল হতে পারে। সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল ১৫ অক্টোবর। তবে সেদিনই আবার নবরাত্রির প্ৰথম দিন। গুজরাটে যা প্রবল আড়ম্বর সমেত পালিত হয়। এই কারণেই ভারত-পাক ম্যাচের দিন এমনকি সময়সূচিও বদলানো হতে পারে।
বোর্ড সচিব জয় শাহ ইঙ্গিত দিলেন, স্রেফ ভারত-পাক ম্যাচই নয়, একাধিক ম্যাচের সময়সূচি বদলানো হতে পারে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জয় শাহ বলে দেন, "দু-তিন মেম্বার বোর্ডের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে সূচি বদলানো হয়। নিজেদের অধিকার থেকেই এই দাবি করেছে ওঁরা। আইসিসির সঙ্গে এই বিষয়ে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি। ভেন্যু কোনওভাবেই বদলানো হবে না। এতে লজিস্টিক সংক্রান্ত বিষয়ের সমস্যা হতে পারে। যদি কোনও দলের পরবর্তী ম্যাচের মধ্যে ছয়দিনের গ্যাপ থাকে, সেটা কমিয়ে পাঁচে নিয়ে আসা হচ্ছে। যদি কোনও দলকে দু-দিনের ব্যবধানে খেলতে হয়, সেটা বাড়িয়ে তিন করা হচ্ছে। এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যাতায়াত, অনুশীলন, বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন ওঁদের।"
আর কোন কোন ম্যাচের সূচি বদল ঘটবে, সেই বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি তিনি। জানিয়েছেন, আইসিসির সঙ্গে ভারতীয় বোর্ড এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, উৎসবের মরশুমে বিশ্বকাপ হওয়ায় নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি হবে না। কারণ "ভারতে কোনও না কোনও উৎসব লেগেই থাকে সারা বছর ধরে।"
বিশ্বকাপের আর দু-মাসও বাকি নেই। তবে এখনও টিকিট বিক্রি চালু হয়নি। জয় শাহ জানাচ্ছেন, খুব শীঘ্রই টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া চালু হবে। "রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে দু-এক সংস্থা বাদে সকলেই হাজির ছিলেন। আমরা টিকেটিং পার্টনার চূড়ান্ত করে ফেলেছি। সোমবার পর্যন্ত টাইমলাইন রয়েছে। তারপরে আইসিসি এবং বিসিসিআই যুগ্মভাবে টিকিট, টিকিটের পর্যাপ্ততা, দাম সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।"
"এবার আমরা ই-টিকিট রাখছি না। তবে ম্যাচের একসপ্তাহ আগে ৭-৮ স্পট থেকে টিকিট দেওয়া হবে। লখনৌ, আহমেদাবাদে মত বড় ভেন্যুতে ই-টিকিট সমস্যার হতে পারে। বিশ্বকাপের মত বড় ইভেন্টে এটা কার্যকর করার আগে দ্বিপাক্ষিক কোনও সিরিজে পরীক্ষামূলক ভাবে এই টিকিট বন্টন প্রক্রিয়া চালু করা হবে।"
"হাউজকিপিং, টয়লেট এবং স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই কারণেই পানীয় জলের সরবরাহের জন্য কোকাকোলার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছি আমরা। স্টেডিয়ামে সকলকে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।"