ভারতের সার্বভৌমত্ব কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। এভাবেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে ট্যুইটে সরব হলেন শচিন তেন্ডুলকর। স্পষ্টত তাঁর বার্তা থুনবার্গ-রিহানার প্রতি। এমনটাই দাবি করছে ক্রীড়া মহল। ট্যুইটে শচিন লেখেন, "ভারতের সাবভৌমত্বের সঙ্গে আপস করা যাবে না। ভারতীয়রা ভারতকে চেনে। আমরাই এক হয়ে সমধান করব। বিদেশী শক্তি দর্শক হতে পারে কিন্তু আমাদের সমস্যার শরিক হতে পারে না।"
এদিকে মাস্টার ব্লাস্টারের প্রাক্তন সতীর্থ বর্তমানে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে দলের গাইডলাইন মেনেই বলেছেন, "বহিরাগত শক্তি ভারতকে খন্ডিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এই ভারত নতুন ভারত, নিজের অখন্ডতা বজায় রেখে বহিরাগত শক্তিকে পরাস্ত করবে সে।"
এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রী এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের প্রধান কোচ প্রাক্তন ক্রিকেটার অনিল কুম্বলেও। কৃষি যে ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার অন্যতম চালিকাশক্তি এবং কৃষকরা দেশের মেরুদন্ড একথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এটা একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ভারত তা মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করে বিদেশ মন্ত্রকের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন পপস্টার রিহানা আর পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। আর এই ট্যুইটের সমালোচনা করে সোচ্চার হল বলিউড। যদিও কড়া ভাষায় এই দুটি ট্যুইটের নিন্দা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের সেই ট্যুইটেরর সমর্থনে এগিয়ে এসে অক্ষয় কুমার বলেন, "আমাদের একটা গঠনমূলক সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। যারা আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি চেষ্টা করছেন, তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত।" অজয় দেবগণের ট্যুইট, "ভারত-বিরোধী মিথ্যা কোনও প্রোপাগান্ডায় ঢোকা উচিত নয়। একসঙ্গে থেকে ভারত-বিরোধী নীতির সমালোচনা কড়া উচিত।"
করণ জোহর লিখেছেন, "আমরা একটা দুর্বিষহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তাই ধৈর্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।" তাঁর আরও সংযোজন, "কৃষকরা আমাদের শিরদাঁড়া। তাই ওদের যাতে কেউ বিভাজন করতে না পারে।" বলিউড প্রযোজক একটা কাপুর লেখেন, "আসুন এক হয়ে ভারত-বিরোধী প্রচার রুখে দিই।"