মহিলা ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্ৰথমবার হারাল হরমনপ্রীত কৌরের ভারত। রবিবার মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিকভাবে ৮ উইকেটে জয় পেল ভারত। ১৯৭০-এ দ্বৈরথের সূচনা থেকে ১০ সাক্ষাতে ভারত চার হারের পাশাপাশি ছয়টিতেই ড্র করেছিল। ১৯৮৪ সালের পর ভারতীয় দল দেশের মাটিতে এলিসা হিলির অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই প্ৰথমবার মুখোমুখি হয়েছিল।
৯ বছর পর ভারতীয় মহিলা দল দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামা স্মরণীয় করে রাখল ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ব্যবধানে (চতুর্থ ইনিংস সমাপ্তির পর রানের ব্যবধান হিসাবে) জয়ের নজিরও গড়ে ফেলল মুম্বইয়ে ভারত।
গত সপ্তাহেই হেদার নাইটসদের ইংল্যান্ড জাতীয় দলকে ভারত এই ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামেই হারিয়ে দিয়েছিল। গত সাত বছর ভারত টেস্ট খেলেনি। তবে দেশে-বিদেশের মাটিতে (ইংল্যান্ডে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাটিতে দুই জয়, অজি মুলুকে দুয়া ড্র সমেত) ভারত নিজেদের অপরাজেয় তকমা ধরে রেখেছে।
ভারত ওয়াংখেড়েতে টসে হেরেছিল। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথম ব্যাট করতে নামে। তবে পূজা বস্ত্রকরের নেতৃত্বে ভারতীয় বোলিং অজিদের অল্প রানে, মাত্র ২১৯-এ আটকে রেখেছিল। ততারপর ভারত ৪০০ প্লাস স্কোর খাড়া করে যায়। এই নিয়ে টানা দুই টেস্টে ভারত ৪০০ প্লাস স্কোর খাড়া করল। ৪০৬ করে ভারত বেশ বড়সড় লিড নিয়ে ফেলে। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে প্ৰথম ইনিংসের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো ব্যাট করে।
তবে তৃতীয় দিন শেষ সেশনে ভারতের বোলাররা দারুণভাবে কামব্যাক করে। চতুর্থ দিনেও ভারতীয় স্পিনাররা অজিদের দ্বিতীয় দিনে আটকে দেয় মাত্র ২৬১ রানে।
জয়ের জন্য ভারতের টার্গেট ছিল মাত্র ৭৫ রান। সেই রান চেজ করতে গিয়েই ভারত একে একে শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষের উইকেট হারায়। তবে জেমিমা রদ্রিগেজ এবং স্মৃতি মান্ধানা ভারতকে জয়ের তীরে পৌঁছে দেন।
দুই টেস্টেই ভারতের অভিষিক্ত তারকারা দারুণ পারফর্ম করে গেলেন। দুই টেস্টেই অর্ধশতরান করলেন জেমিমা রদ্রিগেজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন দীপ্তি শর্মা। তিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট শিকার করেন।
ভারত এরপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই তিনটে করে ওয়ানডে এবং টি২০ খেলবে মুম্বই এবং নভি মুম্বইয়ে।