ভারত ২ (সুনীল ৭', ২৮')
কেনিয়া ০
আইসল্যান্ড থেকে আমদানি করা ভাইকিং ক্ল্যাপ ও ম্যাচের দ্বাদশ ব্যক্তি ব্লু পিলগ্রিমসের গগনভেদী শব্দব্রহ্ম দেখেছে আন্ত:মহাদেশীয় কাপ। রবিবাসরীয় ফাইনালেও ভারতের ঝুলিতে এগুলো মজুত ছিল আরব সাগরের তীরে।
এদিন ভারতের ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী নেমেছিলেন নিজের পয়মন্ত মাঠে। দিনকয়েক আগে মুম্বই ফুটবল এরিনার এই ঘাসই সাক্ষী থেকেছে সুনীলের মাইলফলক লেখা সেঞ্চুরি ম্যাচের। সেদিন সুনীলের জোড়া গোলেই ভারত ৩-০ হারিয়েছিল কেনিয়াকে।
এদিন ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যেই দেশের এগারো নম্বর জার্সিধারী জোড়া গোল করে ভারতকে এগিয়ে দিলেন। ম্যাচের সাত মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার লো ফ্রি-কিকে বুলেট শটে গোলের খাতা খুললেন সুনীল। এরপর ২৮ মিনিটে সেন্টার থেকে ভাসানো পাসে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করলেন তিনি।
পাশাপাশি জোড়া গোলর সুবাদে ছুঁয়ে ফেললেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসিকে। এই মুহূর্তে দেশের জার্সিতে খেলা ফুটবলারদের তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি-সুনীল। দু'জনের ঝুলিতেই ৬৪টি করে গোল। প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়েই মাঠ ছাড়ে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে দু'গোলে এগিয়ে থাকা দল স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয়ার্ধে একটু রক্ষণাত্মক খেলবে। ভারতও সেই পথেই হাঁটল। এদিন পুরো ম্যাচে কেনিয়ার যে ক'টা শট হৃৎকম্প ধরিয়েছিল, তা নিপুণ দক্ষতায় বিপদসীমা পেরোতে দেয়নি গুরপ্রীত সিং সান্ধুর বিশ্বস্ত দস্তানা। আরও একবার প্রমাণ করলেন যে, দেশের জার্সিতে তে-কাঠির নিচে তিনি নির্ভরযোগ্যতার আরেক নাম।
ভারতের জয়ের খবর পেয়ে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।