কিছুক্ষণ পরেই কলকাতায় মহারণ। ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ইলেভেনের এলিমিনেটরে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস। লিগের অন্য ম্যাচের মতোই এই ম্যাচের ক্ষেত্রেও একটা সময়ের পর আর অনলাইনের দরজায় কড়া নেড়ে টিকিট পাওয়া যায়নি। ঝড়ের গতিতে অনলাইনে টিকিট বুকিং হয়ে গিয়েছে প্রতিবারের মতো। অগত্যা ব্ল্যাকাররাই টিকিটের যোগানদার। তাদের ভরসাতেই এদিনও ইডেন গার্ডেন্সের ইতি-উতি টিকিট সন্ধানীদের দেখা মিলল ।
মূলত মহামেডান ক্লাব ও হাওড়া ইউনিয়নের সামনেটাতেই কালোবাজারীদের রমরমা। যদিও আকাশবাণী ভবন ও স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাব তাঁবুর সামনের ফুটপাথেও তাদের দেখা মিলছে। ৫০০ টাকার টিকিট বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। কেউ কেউ দামের দামেই টিকিট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, স্রেফ সেগুলো আজকের ম্যাচের পর অচল হয়ে যাবে বলেই।
IPL 2018, KKR vs RR Eliminator: পাবলিকই ব্ল্যাকার, অভিযোগ পুরনো কালোবাজারিদের। Express photo: Shashi Ghosh
আইপিএলের এগারো বছরের ইতিহাসের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকবে টিকিটের কালোবাজারি। কিন্তু দীর্ঘদিনের কালোবাজারিরা বলছেন, তাঁদের ব্যবসায় আজ রীতিমতো মন্দা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে আজ 'পাবলিকই' ব্ল্যাকার। তাঁদের অভিযোগ, অনলাইনে আগের থেকে বেশি করে টিকিট তুলে নিয়ে আম জনতাই ম্যাচের দিন বা তার আগে এসে টিকিট বিক্রি করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের আর কিছু করারই থাকছে না সেক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন, প্লে অফে কেকেআর; কী বলছে কলকাতা
দীর্ঘদিন ধরে টিকিট ব্ল্যাক করছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “দেখুন, সত্যি বলতে আমরা বেকার। সারা বছর খুব কষ্টেই দিন চলে। নানা পেশায় আমরা যুক্ত হয়ে পরিবারকে টানছি। আইপিএলের জন্যই দু পয়সা আসে আমাদের। পাবলিক সেখানেও ভাগ বসাচ্ছে।" একই সুরে গলা মিলিয়েছেন রাজু রাওয়াত, পেশায় ভ্যান চালক। বলেছেন, “"বছরের অনান্য সময় আমি ভ্যান চালাই। আইপিএলের সময় শুধু টিকিট বিক্রি করি এক্সট্রা ইনকামের জন্য। কিন্তু এবার সেটাও হচ্ছে না। এখন পাবলিকই আমাদের মতো টিকিট ব্ল্যাক করছে।” আরেক কালোবাজারি আকবর বলছেন, শুধু অনলাইন বা বক্স-অফিসের মাধ্যমেই তাঁরা টিকিট পান না, শহরের বড় বড় ক্লাবের কর্তারাও অত্যন্ত কম দামেই তাঁদের টিকিট দিয়ে দেন।
কালোবাজারিদের ধরতে প্রতিবারের মতই অবশ্য কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানা সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করে মোট ৮৩টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা।