আর ঘণ্টাখানেক পরেই আইপিএল ইলেভেনের প্রথম কোয়ালিফায়ার। যে দল জিতবে তারাই সরাসরি পৌঁছে যাবে ফাইনালে। মঙ্গলবারের ওয়াংখেড়ে দেখবে টেবিলের ফার্স্ট বয় বনাম সেকেন্ড বয়ের লড়াই।
প্লে-অফে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের সানরাইজার্স হায়দরবাদ। দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট সংরক্ষণ করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই দুই টিমের কোন কোন ক্রিকেটাররে দিকে থাকবে চোখ!
এমএস ধোনি বনাম কেন উইলিয়ামসন: দুই অধিনায়কই দুরন্ত ফর্মে আছেন এই টুর্নামেন্টে। অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব পালনের সঙ্গেই তাঁদের ব্যাট কথা বলছে। সানেদের টপ অর্ডারে বিরাট ভরসা জুগিয়েছেন উইলিয়ামসন। তিনি ৬৬১ রান করেছেন আটটি হাফ-সেঞ্চুরির সৌজন্যে। অন্যদিকে মাহির ব্যাট থেকে ৮৯.২০-এর গড়ে ৪৪৬ করেছেন।
শিখর ধাওয়ান বনাম লুঙ্গি এনগিডি: চেন্নাইয়ের এই প্রোটিয়া পেসারের সঙ্গে লড়াইটা হবে সানরাইজার্সের বাঁ-হাতি ওপেনারের। ওয়াংখেড়ের পিচ রীতিমতো পেস সহায়ক। সেখানে বল বাউন্সও করে যথেষ্ট। গত ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে তাঁর চার উইকেটের স্পেলটাই বুঝিয়ে দিয়েছে, কোন ফর্মে আছেন তিনি। এনগিডি-র বিরুদ্ধে ধাওয়ানের ব্যাটই সানেদের ভরসা।
আরও পড়ুন, আইপিএল ২০১৮: জন্মদিনে রায়নার মেয়ের জন্য গান গাইলেন ধোনি
আম্বাতি রায়ডু বনাম রশিদ খান: এই মরশুমে সিএসকে-র অনবদ্য ফর্মের পিছনে অন্যতম বড় কারণ আম্বাতি রায়ডু। ৫৮৬ রান করে ফেলেছেন তিনি। শুধু মারকাটারি ইনিংস খেলে ম্যাচের রঙ বদলে দেন না তিনি। প্রয়োজনে সংযমী ব্যাটেও দলের হাল ধরতে জানেন রায়ডু। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে দুবারই জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট। ৭৯ ও অপরাজিত শতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। রায়ডুকে থামাতে সানরাইজার্সের ভরসা সেই আফগান আগ্নেয়াস্ত্র, রশিদ খান।
সুরেশ রায়না বনাম সিদ্ধার্থ কাউল: রায়নাকে নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। সিএসকে-র জার্সি গায়ে চাপালেই অন্য ক্রিকেটার হয়ে যান তিনি। চলতি আইপিএলেও রায়নার সাবলীল ব্যাটের প্রমাণ থেকেছে চেন্নাই। মিডল ওভারে তিনি রীতিমতো ত্রাসের সঞ্চার করেন। রায়নাকে রুখতে সানরাইজার্সের তাকিয়ে থাকবে সিদ্ধার্থ কাউলের দিকে। এখনও পর্যন্ত উইলিয়ামসনদের স্কোয়াডে তিনিই সেরা বোলার। ১৭টি উইকেট নেওয়া হয়ে গিয়েছে কাউলের। এদিনও তাঁর দিকে চোখ থাকবে।
শেন ওয়াটসন বনাম শাকিব আল হাসান: সানেদের স্কোয়াডে রয়েছেন বাংলাদেশি স্টার অলরাউন্ডার শাকিব। এখনও পর্যন্ত ১৩টি উইকেট নেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর। সানেদের বোলিং বিভাগের অন্যতম সেরা মুখ তিনি। ওয়ার্নারের স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলতে একটু সমস্যাই হয়। সেক্ষেত্রে শাকিবকে দিয়েই ওয়াটোকে আটকাতে চাইবে সানরাইজার্স।