দিল্লি ডেয়ারডেভিলস- ১৬৬/৭ (১৮.৫ ওভার)
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব-১৬৭/৪ (২০ ওভার)
৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয়ী পাঞ্জাব
লোকেশ রাহুলের আইপিএল-এর দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি (৫১) ও করুণ নায়ারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ছ উইকেটে হারিয়ে দিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে।
রবিবাসরীয় মোহালিতে আইপিএল-এর দ্বিতীয় ও দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি-পাঞ্জাব। টস জিতে গৌতম গম্ভীরদের ব্যাট করতে পাঠান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।এদিন হাফ-সেঞ্চুরি করেই দিল্লির জার্সিতে প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে রাখলেন গৌতি। ৪২ বলে ৫৫ (৫টা চার ও ১টি ছয়) রানের ইনিংস এল বাঁ-হাতি ওপেনারের হাত থেকে। এরপর ঋষভ পন্থ (১৩ বলে ২৮) ও ক্রিস মরিসদের (১৬ বল অপরাজিত ২৭) ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ওভারে দিল্লি সাত উইকেট হারিয়ে ১৬৬ তোলে। পাঞ্জাবের হয়ে মোহিত শর্মা ও মুজিবুর রহমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। অক্ষর প্যাটেল ও অশ্বিন একটি করে উইকেট পান।
(কলকাতা বনাম বেঙ্গালুরুর ম্যাচ মাতালেন সুনীল নারিন। পড়ে দেখুন কলকাতার-বেঙ্গালুরুর ম্যাচ রিপোর্ট)
নারিন-এর উপর ভরসা করে এগোতে শুরু করল কেকেআর
দিল্লির ভদ্রস্থ স্কোর তুলতে কোনও সমস্যাই পোহাতে হল না পাঞ্জাবকে। এদিন প্রীতি জিন্টার দলের হয়ে একাই লাইমলাইট কেড়ে নিলেন রাহুল। আইপিএল-এর ইতিহাসে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। ১৪ বলে অর্ধ-শতরান করলেন রাহুল। ১৬ বলে ৫১ রানের মারকাটারি ইনিংস এল তাঁর থেকে। রাহুলের ইতিহাস গড়ার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়।
রাহুল এদিন টপকে গেলেন ইউসুফ পাঠান ও সুনীল নারিনকে। গতবছর ১৫ বলে ৫০ করেছিলেন নারিন। ২০১৪-তে এই রেকর্ড ছিল পাঠানের। রাহুল ফিরে যাওয়ার পর ময়ঙ্ক আগরওয়াল (৭) ও যুবরাজ সিং (১২) বেশিক্ষণ ক্রিজে সময় কাটাতে পারেননি। এরপর পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাট ধরেন করুণ নায়ার। পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের সৌজন্যে ৩৩ বলে ঝকঝকে ৫০ করেন নায়ার। তিনি ডাগআউটে ফেরার পর পাঞ্জাবের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে দেন ডেভিড মিলার (২৩ বলে ২৪*) ও মার্কাস স্টোইনিস (১৫ বলে ২২*)। সাত বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব।
.@lionsdenkxip batsman @klrahul11 now sits atop on the fastest fifties chart in the VIVO #IPL pic.twitter.com/Bh6yF9R4JF
— IndianPremierLeague (@IPL) April 8, 2018
বলাই বাহুল্য এদিন ম্যাচের সেরা হয়েছেন রাহুল। পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাহুল বলছেন, টেস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা ঘোচাতে পেরে তিনি খুশি হয়েছেন। রাহুল জানালেন,” শেষ ৪-৫ বছর ধরে আমাকে টেস্ট ক্রিকেটারের ব্র্যান্ডেই ফেলা হচ্ছে। ফলে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস তৈরি করার ব্যাপারটা আমার পক্ষে বেশ ভাল।”