গত আট মরশুম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন আম্বতি রায়ডু। কিন্তু আইপিএল ইলেভেনে জার্সি বদলে চলে এসেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে। নিলামে তাঁকে ২.২০ কোটি টাকায় দলে নেয় সিএসকে। অন্ধ্রপ্রদেশের বছর বত্রিশের ব্যাটসম্যান প্রমাণ করে দেন, তাঁকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক। চেন্নাইয়ের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বিরাট অবদান রেখেছেন রায়ডু।
সিএসকে-র হয়ে গোটা টুর্নামেন্টেই দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করেছেন। ৪৩-এর গড়ে ১৬ ম্যাচে ৬০২ রান করা রায়ডু আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চার নম্বরে সিজন শেষ করেছেন। রায়ডুর এই ফর্ম মুগ্ধ করেছে জাতীয় দলের নির্বাচকদেরও। দু'বছর পর ফের তিনি ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে ওয়ান-ডে টিমে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Test Cricket Toss: টস থাকছে, জানিয়ে দিলেন কুম্বলে অ্যান্ড কোং
প্রায় প্রতিটি ক্রিকেটারের মতোই রায়ডুরও কিছু সংস্কার আছে। আইপিএল-এ তিনি নিজের ব্যাটে খেলেন না। তাঁর ব্যাটের জোগানদার হলেন স্বয়ং টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন ও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। হরভজন সিংয়ের শো ‘কুইক হিল ভাজ্জি ব্লাস্ট শো’-তে এই কথা খোলসা করলেন রায়ডু। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, "ফি-বছর বিরাটের থেকে একটা করে ব্যাট নিই। ও জানে যে এটা আমার স্টাইল হয়ে গিয়েছে। এবার তো রীতিমতো গালিগালাজ করেছে আমাকে।” বিরাটের ব্যাটেই রায়ডুর হাত থেকে ৫৩টি চার ও ৩৪টি ছয় এসেছে।
২০১০-১৭ পর্যন্ত রায়ডু মুম্বইয়ের জার্সিতে ২,৪১৬ রান করেছেন। কিন্তু কোন সিজনেই ৪০০-রান বা তার বেশি করতে পারেননি। হলুদ জার্সির হয়ে একবারেই ৬০০ পার করে দিলেন তিনি।
গত আট মরশুমে রায়ডুর রান: ২০১০-৩৫৬ রান, ২০১১-৩৯৫ রান, ২০১২-৩৩৩ রান, ২০১৩-২৬৫ রান, ২০১৪-৩৬১ রান, ২০১৫-২৮১ রান, ২০১৬-৩৩৪ রান, ২০১৭-৯১ রান।