হার অনিবার্য। রান তাড়া করতে নেমে ওভার পিছু কেকেআরের আস্কিং রেট ছিল ২০-রও বেশি। সেই ম্যাচই নিজের হাতে একাই প্রায় জিতিয়ে দিচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন নীতিশ রানাও। তবে যা হওয়ার নয়, তা হয়ওনি। রাসেল-রানা ইডেনে সাইক্লোন বইয়ে দিলেও ১০ রান আগেই থেমে যেতে হয় কেকেআর ইনিংসকে।
আরও পড়ুনঃ IPL 2019 KKR vs RCB Highlights in Bengali: টানা চার নম্বর হারে কেকেআরের সান্ত্বনা রাসেল-রানার অতিমানবিক ব্যাটিং
নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চাপা ক্ষোভ ছিলই। তবে ম্যাচ হারতেই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাসেল। সাফ জানিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে এত নিচে নামতে হবে! ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হতাশ রাসেলের গলা থেকে বেরিয়ে আসে, "১০ রানে হেরে যাওয়ার অর্থ আমরা কেবল দুটো স্ট্রোক মারার দূরে থেমে গেলাম। মিডল অর্ডারে আমরা যদি একটু দ্রুত রান তুলতাম। তাহলে তাহলে হয়তো হাতে বল নিয়েই আমরা টার্গেট পৌঁছে যেতে পারতাম।"
সরাসরি না বললেও উত্থাপ্পা যে রাসেলের লক্ষ্যবস্তু, তা স্পষ্ট। ২১৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল কেকেআর। ৫ ওভারের মধ্যেই কেকেআর ৩৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এমন সময়েই চাপের মুহূর্তে রবিন উত্থাপ্পা ২০ বল খরচ করে অবদান রাখেন মাত্র ৯ রান। তারপরে আউটও হয়ে যান। উত্থাপ্পার সৌজন্যেই জয়ের সমীকরণ ক্রমশ জটিল হতে শুরু করে। রাসেল যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন কেকেআরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৯ বলে ১৩৫ রান।
সেই অবস্থা থেকেই কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪৯ বলে রানা-রাসেল জুটি স্কোরবোর্ডে তোলে ১২৫ রান। দুর্ধর্ষ জুটির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা বলে দেন, "আমাদের জুটি দারুণ ব্যাটিং করেছে। তবে এমন কিছু রয়েছে, যা হতাশ করার মতো। সেই কারণেই অম্ল-মধুর অনুভূতি হচ্ছে আমাদের।" এরপরেই নিজের ব্যাটিং অর্ডার প্রসঙ্গে একহাত নেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। রাসেল বলে দেন, "আমারই চার নম্বর পজিশনে নামা উচিত ছিল। কখনও কখনও আমার মনে হয় দল হিসেবে আমাদের আরও বেশি নমনীয় হওয়া প্রয়োজন। দলের প্রয়োজনে ৪ নম্বরে ব্যাট করার জন্য আমি তৈরি।"
রাসেলের বক্তব্য, তিনি ব্য়াটিং অর্ডারের উপরের দিকে নামলে দলের সেরা বোলারদের নিয়ে আসতে বাধ্য প্রতিপক্ষ অধিনায়ক। আর তা ঘটলেই ডেথ ওভারে সেরা বোলারদের বেশি ওভার বেঁচে থাকবে না!