Chennai Super Kings Vs Delhi Capitals Highlights: টার্গেট সামান্যই ছিল। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে দিল্লি কোনও রকমে তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৪৭। সেই লক্ষ্যই ১৯ ওভারে তুলে দিল চেন্নাই। তা-ও মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। সিএসকের জয় ৬ উইকেটে ওপেনিং জুটিতেই ৮১ তুলে দিয়েছিল চেন্নাই। ডুপ্লেসিস (৩৯ বলে ৫০) ও ওয়াটসন (৩২ বলে ৫০) দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যান। তারপরে বাকি রান তুলে দেন রায়ডু (২০ বলে ২০)। শেষ মুহূর্তে ধোনি ৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও জয়ে বাধা হয়নি। ফাইনালে মুম্বইয়ের সামনে ফের একবার চেন্নাই।
Live IPL 2019: CSK vs DC Playing 11 Highlights
তার আগে প্রথমে ব্য়াট করে দিল্লির ব্যাটিং শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। চেন্নাইয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ। দীপক চাহার (২৮-২), হরভজন সিং (৩১-২), ব্র্যাভো (১৯-২), জাদেজা (২৩-২) প্রত্যেকেই দু-টো উইকেট দখল করেন। ইমরান তাহির ঝুলিতে একটা করে উইকেট। সবমিলিয়ে চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের কাছে এদিন ডাহা ব্যর্থ দিল্লি। একমাত্র লড়লেন ঋষভ পন্থ (২৫ বলে ৩৮)। তবে তা স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ঋষভের পরে মাত্র একজনই ২০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছেন। তিনি কলিন মুনরো (২৪ বলে ২৭)। এতেই প্রকট দিল্লির ব্যাটিং ব্যর্থতা।
দিল্লির বিরুদ্ধে প্লে অফের আগেই তুলে ধরা হচ্ছিল জোড়া দ্বৈরথ- ধোনি বনাম দাদা, ধোনি বনাম ঋষভ পন্থ। তবে শুক্রবার ফের একবার শেষ হাসি হাসলেন রাঁচির মহাতারকা। এমনিতে ব্য়াট হাতে বেশি রান করতে পারেননি ধোনি। তবে মাহি তফাত গড়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন হিসেবে। বরাবরের মতো স্পিনার, পেসারদের বুদ্ধিদীপ্তভাবে আক্রমণে এনে দিল্লির ব্য়াটিং লাইন আপ-কে দাঁড়াতেই দেননি। শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে ফেলায় আর মোমেন্টাম পায়নি দিল্লির তরুণ তুর্কিরা। আর ধোনির জন্যই বিশাখাপত্তনমের স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ একটাই রঙে- হলুদ।
১৯তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে সিএসকে-কে ফাইনালে তুললেন ব্র্যাভো। ১ ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দিল্লির ১৪৮ রানের টার্গেট তুলে ফেলল চেন্নাই।
জেতার জন্য প্রয়োজন মাত্র ২ রান। এমন অবস্থায় ১৯তম ওভারে ইশান্ত শর্মাকে বাউন্ডারি হাকাতে গিয়ে আউট ধোনি।
১৭ ওভারে চেন্নাই ১৩৫। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ রান। অম্বাতি রায়ডুর সঙ্গে ক্রিজে ব্যাট করছেন ধোনি। মাহির ফিনিশিংয়েই কী ফাইনালে সিএসকে, দেখা যাক।
শুরুতে ধরে খেললেও পরে ঝড় তুলেছিলেন ওয়াটসন
ফিনিশ করে আসতে পারলেন না রায়না। অক্ষর প্যাটেলের বল টেনে এনে প্লেড অন রায়না (১৩ বলে ১১)। ১৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই ১২৭। ২৪ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২১ রান।
ওপেনিং জুটিকে ভেঙে ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন বোল্ট
ডুপ্লেসিস আউট তো কী! শ্যেন ওয়াটসন হ্যায় না! কার্যত যেন এটাই বোঝাতে চাইছেন অজি তারকা। কিমো পলের এক ওভারে ২৫ রান তুললেন ওয়াটসন। তিনটে বিশাল ছক্কা এবং একটা বাউন্ডারি বেরোল তাঁর ব্যাট থেকে। ১১.৫ ওভারে চেন্নাই তুলে ফেলল ১০০। ১২ ওভার শেষে চেন্নাই ১০৮। শেন ওয়াটসন নিজে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরিও করে ফেললেন। ৪৮ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪০ রান। যদিও তিনিও অমিত মিশ্র-র বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করে আউট হয়ে গেলেন।
হাফসেঞ্চুরি করেই আউট হয়ে গেলেন ডুপ্লেসিস। ওপেনিং জুটিতে ৮১ রান তুলে জয়ের সরণিতেই তুলে দিয়েছেন দলকে। বোল্টের লেগ স্ট্যাম্পের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে কিমো পলের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হলেন তিনি। ক্রিজে এলেন রায়না।
৩৭ বলে অর্ধশতরান ডুপ্লেসিসের। আইপিএল কেরিয়ারে এই নিয়ে বারো নম্বর অর্ধশতরান করে ফেললেন তারকা ব্যাটসম্যান। কার্যত এদিন থামানোই যাচ্ছে না তারকাকে। অবলীলায় খেলে চলেছেন তিনি। ১০ ওভার শেষে চেন্নাই ৮১। নিশ্চিত জয়ের দিকে এগোচ্ছে সিএসকে। অন্যপ্রান্তে ওয়াটসন ২৩ বলে ২৬ রানে ব্য়াটিং করছেন।
ওপেনিং জুটিতেই ৯ ওভারে ৭২ তুলে ফেলল সিএসকে। হাফসেঞ্চুরির সামনে ডুপ্লেসিস (৪৯)। শ্রেয়স আইয়ার স্পিনার অমিত মিশ্রকে আক্রমণে আনলেও ব্রেক থ্রু এল না।
ডুপ্লেসিস অক্ষর প্যাটেলের ওভারেই মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই ইশান্ত শর্মার ওভারে ঝড় তুললেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ ওভারে ইশান্তকে পরপর তিনটে বাউন্ডারি হাকালেন। ওভারে তুললেন ১৫ রান। ২৫ বলে ৩৭ রানে ব্যাট করছেন তিনি। জিততে হলে দিল্লিকে এই ওপেনিং জুটি ভাঙতেই হবে, যত শীঘ্র সম্ভব।
প্রথম ৪ ওভারে ইশান্ত শর্মা ও ট্রেন্ট বোল্ট নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রেখেছিলেন সিএসকের প্রোটিয়াজ-অস্ট্রেলীয় ওপেনিং জুটিকে। তবে পঞ্চম ওভারে অক্ষর প্যাটেল আক্রমণে এসেই খরচ করলেন ১১ রান। স্পিনারকে জোড়া বাউন্ডারি হাকালেন ডুপ্লেসিস (২০ বলে ২৩)।
টার্গেট সামান্য। তাই কোনও তাড়াহুড়ো নয়। ডুপ্লেসিস (১১ বলে ১৫) ও ওয়াটসন (৮ বলে ৫) দু-জনেই ধরে খেলছেন। দিল্লি বোলাররাও অবশ্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন। ৪ ওভার শেষে সিএসকে ১৬।
হাতে রানের পুঁজি অল্প। এমন অবস্থায় প্রথম ওভারেই চেন্নাইয়ের রান আউটের সুযোগ নষ্ট করল দিল্লি। ক্রিজে ওয়াটসন ও ডুপ্লেসিস। ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় বলেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান নেওয়ার সময়েই দু-জনেই ক্রিজের একপ্রান্তে ছুটতে থাকেন। তবে ফিল্ডাররা রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন।
চেন্নাইয়ের টার্গেট ১৪৮। শেষ ওভারে অমিত মিশ্র (৩ বলে ৬) এবং ইশান্ত শর্মা (৩ বলে ১০)-এর ছোট্ট ক্যামিও ইনিংসে দেড়শোর কাছাকাছি কোনওরকমে দলকে পৌঁছে দেন। তার আগে ট্রেন্ট বোল্টও ৩ বলে ৬ করে যান। সবমিলিয়ে চেন্নাইয়ের সামনে এই টার্গেট সত্যিই কোনও চ্যালেঞ্জ খাড়া করবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
আট বল বাকি। এমন অবস্থায় চালিয়েই খেলতে হত। তেমন ছক্কা হাকাতে গিয়েই দীপক চাহারের বলে অবশেষে আউট ঋষভ পন্থ। লং অনে ক্যাচ ধরলেন ব্র্যাভো। স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ১২৫।
হায়দরাবাদ ম্যাচে ফিনিশার কিমো পল-কে বোল্ড করে দিলেন স্বদেশীয় ব্র্যাভো। ৭ বলে ৩ রান করে আউট তিনি। ১৮ ওভারে দিল্লি ১১৯। ক্রিজে ঋষভ পন্থ (২১ বলে ৩২)। শেষ দু-ওভারে ভেলকি দেখাতে পারবেন তিনি, দেখা যাক।
ক্রিজের একপ্রান্তে টিকে রয়েছেন ঋষভ। তবে অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত। দলীয় স্কোর ১০০ পেরোনোর পরেই আউট রাদারফোর্ড। হরভজনের টার্ন বুঝতে না পেরে ওয়াটসনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় ক্যারিবিয়ানের। এটি ভাজ্জির দ্বিতীয় উইকেট। ঘটনাচক্রে, ছক্কা মেরেই দিল্লিকে ১০০ পার করেছিলেন রাদারফোর্ড। ১৬ ওভারে দিল্লি ১০৩।
দলের অর্ধেক ব্য়াটিং লাইন আপ আপাতত সাজঘরে। তরুণ ঋষভ বারেবারেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে ধোনির সামনে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার সুযোগ এবার ২০ বছরের উঠতি তারকার কাছে। ১৪ বলে ১৭ রানে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। ঋষভ যদি আজ জলওয়া দেখাতে পারেন, তাহলে নির্বাচকদেরও বার্তা দেওয়া যাবে। ১৫ ওভার শেষে দিল্লি ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৩।
প্রায় প্রত্যেক ওভারেই নিয়মিত উইকেট পড়ছে দিল্লির। স্কোরবোর্ডে ৮০ উঠতে না উঠতেই এবার আউট অক্ষর প্যাটেল। এবারে ঘাতক ব্র্যাভো। ৬ বলে ৩ রান করে আউট অক্ষর প্যাটেল। ক্রিজে রাদারফোর্ড। পন্থ কতদূর দলকে টানতে পারেন, সেই পরীক্ষায় আজ।
পার্টনারশিপই গড়তে পারছে না দিল্লি। এবার আউট অধিনায়ক শ্রেয়স। ইমরান তাহিরের বলে রায়নার হাতে ক্য়াচ তুলে বিদায় শ্রেয়স আইয়ারের। ১৮ বলে অধিনায়কের অবদান ১৪। ক্রিজে অক্ষর প্যাটেল। পন্থকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। ১২ ওভারে দিল্লি ৭৮।
ঠিক যখনই মনে হচ্ছিল কলিন মুনরো খেলা ধরে নিয়েছেন। তখনই রবীন্দ্র জাদেজার বলে সুইপ করে ব্র্যাভো-র হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় কিউয়ি তারকার। ২৪ বলে তাঁর অবদান ২৭। ৮.৫ ওভারে স্কোর ৫৭। পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে দিল্লি।
দুই ওপেনার ফিরে গিয়েছেন। এমন অবস্থায় কলিন মুনরোর ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অষ্টম ওভারে হরভজনের বলে টানা দু-টো বাউন্ডারি মারলেন তিনি। ২২ বলে ২৬ রানে ব্যাট করছেন মুনরো। ৮ ওভারে দিল্লি ২ উইকেট হারিয়ে ৫৪।
হরভজন এবার দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপে দ্বিতীয় আঘাত হানলেন। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দিলেন টার্বুনেটর। ১৪ বলে ১৮ রান করে আউট তিনি। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের স্ট্রেটার মিস করে ধোনিকে ক্যাচ দিলেন দিল্লির ওপেনার। ক্রিজে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ৬ ওভার শেষে দিল্লি ৪১।
তৃতীয় ওভারেই আউট পৃথ্বী শ। হায়দরাবাদ ম্যাচে দুরন্ত শুরু করা পৃথ্বীকে লেগ বিফোর করলেন দীপক চাহার। স্কোরকার্ডে লেখা থাকবে সেটাই। তবে আউটের নেপথ্যে সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথমে আম্পায়ার চাহারের আবেদনে কর্ণপাত করেননি। তবে উইকেটের পিছন থেকে ডিআরএস-এর জন্য আবেদন জানান ধোনি। সেখানেই দেখা যায় পৃথ্বী আউট ছিলেন। ৩ ওভার শেষে দিল্লি ১ উইকেট হারিয়ে ২৫।
বেশ ভাল শুরু দিল্লির। ওপেনিংয়ে যথারীতি পৃথ্বী ও ধাওয়ান। প্রথম ওভারে দীপক চাহার ৭ রান দেওয়ার পরে শার্দুল ঠাকুরের ওভারে ধাওয়ান তুললেন ১৩ রান। টানা তিনটে বাউন্ডারি মারলেন শিখর ধাওয়ান। ২ ওভার শেষে দিল্লি বিনা উইকেটে ২০ রান।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কে?
প্রথম একাদশঃ পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ান, ইশান্ত শর্মা, ট্রেন্ট বোল্ট, অমিত মিশ্র, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, কলিন মুনরো, অক্ষর প্যাটেল, রাদারফোর্ড, কিমো পল
প্রথম একাদশঃ শ্যেন ওয়াটসন, ফাফ ডুপ্লেসিস, রবীন্দ্র জাদেজা, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অম্বাতি রায়ডু, ডোয়েন ব্র্যাভো, দীপক চাহার, ইমরান তাহির, শার্দুল ঠাকুর, হরভজন সিং।
টসে ফের বাজিমাত চেন্নাইয়ের। টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত চেন্নাইয়ের।