IPL 2019 DC vs SRH Live Score Updates: আজ কোটলায় যুযুধান দু'পক্ষেরই পয়েন্ট ছিল চার। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রতিপক্ষ সানরাইজার্সের তুলনায় একটা ম্যাচ বেশি খেলেছে। আইপিএল-এর বর্তমান পয়েন্টস টেবলে প্রথম পাঁচে এখন যথাক্রমে পাঞ্জাব, চেন্নাই, সানরাইজার্স, কেকেআর এবং দিল্লি। আজ জেতার সুবাদে পয়েন্ট টেবলের মগডালে চলে গেল হায়দ্রাবাদ, চার ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও পিছিয়ে পড়ল পাঞ্জাব আর চেন্নাই, সৌজন্য, সানরাইজার্সের অনেক ভাল নেট রানরেট। জমে যাচ্ছে আইপিএল, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালু প্রথম চারটে জায়গার জন্য। দিল্লির কাছে ধারাবাহিকতা জিনিসটা এখনও 'দিল্লি দূর অস্ত' !
Live Blog
Live IPL 2019: DC vs SRH 11 Live Score Updates
ভুবনেশ্বর দিব্যি বুঝছেন, এই সময় আর একটা-দুটো উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচের রাশ অনেকটাই চলে আসবে হাতের মুঠোয়। তাই অষ্টম ওভারেই বল তুলে দিয়েছেন রশিদ খানের হাতে। আট ওভারের শেষে ৪৭-২। নবম ওভারে সন্দীপ শৰ্মা যথারীতি স্টাম্প টু স্টাম্প করে গেলেন, মাঝে মাঝে চমৎকার স্লোয়ার মিশিয়ে। নয় ওভার শেষ হয়ে গেল লিখতে লিখতে, বোর্ডে ৫২-২। ঢিকিরঢিকির এগোচ্ছে দিল্লি।
ক্রিজে পা রেখেছেন ঋষভ পন্ত, একটা লম্বা জুটি চাই এখন দিল্লির। হায়দ্রাবাদের যা বোলিং শক্তি, দুমদাম ঝুঁকি নেওয়াও এই অবস্থায় মুশকিল। আগে দরকার গলার উপর চেপে বসতে থাকা ফাঁসটাকে আলগা করা। সেই জরুরি কাজটার জন্য শ্রেয়স-ঋষভের দিকে তাকিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। সাত ওভার শেষ হয়ে গেল বলতে বলতে, ৪১-২। ওভারপিছু ছয়েরও কম। তবে ওভার পড়ে আছে অনেক, ছন্দে থাকলে ঋষভ পরের দিকে কী করতে পারেন, সে তো আমরা জানিই।
OUT!! NABI!!!!! 🧡🧡
Sandeep takes an easy catch and the Afghan gets his first wicket tonight.#OrangeArmy #RiseWithUs #DCvSRH pic.twitter.com/ZISShDVN15
— SunRisers Hyderabad (@SunRisers) April 4, 2019
ছক্কা! ঝুঁকি নিতেই হত ব্যাটসম্যানদের, নিলেনও শ্রেয়স। সিদ্ধার্থ কলকে ওড়ালেন লং অনের উপর দিয়ে। দুর্দান্ত শট! যেমন পাওয়ার, তেমনই টাইমিং। মুগ্ধ হয়ে শুধু দেখার। ধাওয়ানও হাত খুলছেন, নবিকে সপাটে সুইপে চার! নিখুঁত প্লেসমেন্ট। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভার খতম, এবং ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে আবার নবিকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ের গণ্ডগোল ধাওয়ানের, শর্ট থার্ড ম্যানে লোপ্পা ক্যাচ সন্দীপ শর্মার তালুবন্দি, ৩৬-২।
দুর্ধর্ষ ওভার ভুবির, খরচ মাত্র এক রান। তিন ওভারে ১৫-১। পাওয়ার প্লে-তে চমৎকার শুরু করেছে হায়দ্রাবাদ, ফাঁস কেটে বেরোনোর চেষ্টায় শিখর-শ্রেয়স। বোলিংই সানরাইজার্সের শক্তি, এবং শুরু হয়েছে সেই শক্তি প্রদর্শন। চার চারটে ওভার হয়ে গেল। স্কোরবোর্ডে কত? মাত্র উনিশ। দিল্লির মাথার উপর চেপে বসছে সানরাইজার্স। চাপ কাটাতে ঝুঁকি নিতেই হবে শ্রেয়স বা শিখরকে, এবং দ্রুত।
ভুবির প্রথম ওভারে এল আট, পৃথ্বীর ব্যাট থেকে দুটো বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন, বল হাতে মহম্মদ নবি। আইপিএল-এর গত কয়েক বছরের ইতিহাস বলছে, সানরাইজার্সের সাফল্যের নেপথ্যে প্রধান চালিকাশক্তি হল বোলিং। সেই বোলিংয়েই শুরুর ম্যাচগুলোয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন পেস আক্রমনের অন্যতম স্তম্ভ ভুবনেশ্বর কুমার। যিনি ডেথ ওভারে বিস্তর রান দিয়ে ফেলেছেন আগের ম্যাচগুলোয়। কৌতূহল থাকবে, আজও কি ডেথ ওভারে ভুবিই, না অন্য কেউ?
ম্যাচ শুরু হল বলে, নামছেন পৃথ্বী-ধাওয়ান। শিখর 'গব্বর' ধাওয়ানের ব্যাটে এই আইপিএলে এখনও ঝড় ওঠেনি সেভাবে। আজ উঠবে? ওদিকে ব্যাটিংয়ে সানরাইজার্সের মিডল অর্ডার সেভাবে এখনও পরীক্ষিতই হয়নি, কারণ শুরু থেকেই যা ধুন্ধুমার শুরু করছেন ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো জুটি, বিজয় শংকর-মনীষ পাণ্ডে-ইউসুফ পাঠানদের বিশেষ কিছু করতেই হয়নি এ যাবৎ। হায়দ্রাবাদকে থামাতে হলে দিল্লিকে আজ শুরুতেই ধাক্কা দিতে হবে বিপক্ষের ওপেনিং জুটিকে, যাতে চাপে পড়ে যায় মিডল অর্ডার।
সানরাইজার্স নামছে আগের ম্যাচের টিম নিয়েই। দিল্লিতে অবশ্য তিনটে বদল আগের ম্যাচের প্রথম এগারো থেকে। হনুমা বিহারী, হর্ষল প্যাটেল এবং আবেশ খানের বদলে ঢুকলেন ইশান্ত শর্মা, রাহুল তেওয়াটিয়া এবং অক্ষর প্যাটেল। গত ম্যাচের ওই বিশ্রীভাবে হার যে দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ককে বাধ্য করেছে টিমের খোলনলচে বদলাতে, লেখা বাহুল্য।
Gearing up for the Delhi challenge 💪
How many runs 🏏 will he score today? #OrangeArmy #RiseWithUs @jbairstow21 pic.twitter.com/9vuJy9sZqo
— SunRisers Hyderabad (@SunRisers) April 4, 2019
খেলা সে যতই হোক দিল্লির ঘরের মাঠে,অতীত পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে, 'হোম অ্যাডভান্টেজ'-এর সুবিধে দিল্লি তেমন পায়নি হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে। কোটলায় এ যাবৎ আইপিএল-ইতিহাসে সাতবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। হায়দ্রাবাদ জিতেছে পাঁচবার। আজ শেষ হাসি কাদের?
সানরাইজার্সের সামনে যদি থাকে শীর্ষে ওঠার হাতছানি, গত দু' ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ঝেড়ে ফেলার চ্যালেঞ্জ আজ শ্রেয়স আয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। কেকেআর ম্যাচে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল কাগিসো রাবাডা ওই দুর্দান্ত সুপার ওভারটা না করলে। আর শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আট রানে সাত উইকেট খুইয়ে যেভাবে সহজতম জয় জলাঞ্জলি দিয়েছে দিল্লি, তা পাড়ার ক্রিকেটেও কালেভদ্রে হয়। জয়ের কাছাকাছি এসে হঠাৎই কেঁপে যাওয়ার এই রোগ সারিয়ে তোলার পরীক্ষা আজ পন্টিং-সৌরভদের সামনে।
খেল খতম! এরই নাম ক্রিকেট! ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো যখন খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল, স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচ। কোন উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লে-তে ছিল ৬২। সেখান থেকে ১৮ ওভারে ১২০-৫! পরের বারো ওভারে স্রেফ ৫৮, তা-ও পাঁচ উইকেট খুইয়ে। উনিশ নম্বর ওভারে ম্যাচটা সানরাইজার্স জিতল ঠিকই, কিন্তু চাপের মুখে আজ চূড়ান্ত ব্যর্থ সানরাইজার্স মিডল অর্ডার। প্রশ্ন থেকেই গেল মনীশ-বিজয়দের ফর্ম নিয়ে।
দু ওভার বাকি, জিততে চাই ১০ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। হায়দ্রাবাদ যতই চেষ্টা করুক, এই জায়গা থেকে ম্যাচ হারতে সত্যিই প্রতিভার প্রয়োজন। অবশ্য এই ম্যাচ যে এতদূর গড়াবে, তাই বা কে ভেবেছিল?
জেতা ম্যাচ হঠাৎ যেন কঠিন করে ফেলছে সানরাইজার্স, যেখানে আস্কিং রেট ছয়ের নিচে,সিঙ্গলসে ম্যাচ বেরিয়ে যায় হেসেখেলে, সেখানে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসছেন হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাখ্যাতীত! একপেশে ম্যাচে হঠাৎই উত্তেজনার আঁচ, ১৬ ওভারে ১১১-৫। মাথা ঠান্ডা রাখলে ম্যাচ এখনও সানরাইজার্সের। জিততে দরকার মাত্র ১৯।
আমরা মনে করছিলাম হেলায় হারবে দিল্লি, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আর যাই হোক, হেসেখেলে ম্যাচ জিততে পারবে না হায়দ্রাবাদ। এই মুহূর্তে চাই ২৯ বলে ২৬, কিন্তু আর দুটো উইকেট পড়লে জমে যাবে খেলা। অবশ্য এখন ক্রিজে ইউসুফ পাঠান, যাঁর বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকে যেন সবসময়ই।
আউট! মনীশ পাণ্ডে! বোধহয় একটু বেশিই ঢিমে গতিতে চলছে ইনিংস, এটা আচমকা বুঝতে পেরে ব্যাট চালালেন মনীশ। কানেক্ট হলো, কিন্তু প্লেসমেন্ট হলো না, স্রোতের বিপরীতে গিয়ে উইকেট খোয়াল হায়দ্রাবাদ। স্কোর ১৩ ওভারের শেষে ৯৫-৩
আইপিএল-এর বর্তমান পয়েন্টস টেবলে প্রথম পাঁচে এখন যথাক্রমে পাঞ্জাব, চেন্নাই, সানরাইজার্স, কেকেআর এবং দিল্লি। যাদের মধ্যে নেট রানরেটে বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে হায়দ্রাবাদের টিম । আজ জিতলে হায়দ্রাবাদ চার ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই এবং পাঞ্জাবকে পিছনে ফেলে উঠে আসবে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে, নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে। আর হ্যাঁ, নেট রানরেটটা আজ আগের থেকেও ভাল অবস্থায় পৌঁছে যাবে বিপক্ষকে ১২৯-এ মুড়িয়ে দেওয়ার সুবাদে।
দশ ওভার শেষ, একটু থিতিয়ে গেছে হায়দ্রাবাদ, যদিও তাতে চিন্তার কিছুই নেই। হাতে রয়েছে অঢেল ওভার। আপাতত স্কোর ৮২/২, ক্রিজে বিজয় শঙ্কর এবং মনীশ পাণ্ডে। আসলে এই মরসুমে হায়দ্রাবাদ এতটাই দাপুটে শুরু করেছে প্রতিবার, যে আজকের এই শুরুকে মনে হচ্ছে নিরামিষ। ব্যাপারটা হলো, জিততে চাই ৪৩ রান, হাতে রয়েছে ৫৪ বল এবং আট উইকেট।
আউট! এবার ওয়ার্নার! আট ওভারের শেষে ৬৮/২, এই মরসুমে প্রথমবার অসফল ওয়ার্নার! মিড অনে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। কিন্তু দিল্লি কি এখনও ফিরতে পারবে ম্যাচে? নাও যদি পারে, হঠাৎ করে যেন জেগে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া ফিরোজ শাহ কোটলা।
সাত ওভার শেষ, এলবিডবলু হয়ে ফিরে গেলেন মারাত্মক জনি বেয়ারস্টো, সৌজন্যে রাহুল তেওয়াটিয়া। রিভিউ চেয়েছিলেন জনি, যাতে স্পষ্ট দেখা গেল বল ব্যাটে লাগে নি, বরং লেগ স্টাম্প নাড়িয়ে দিতে চলেছিল। এর ফলে ১০০ রানের ভেতর মরসুমে প্রথমবার উইকেট খোয়াল হায়দ্রাবাদ। এবং বেয়ারস্টো আউট হওয়ার পর স্কোরে যোগ হলো কুল্যে চার রান।
হাতে পুঁজি সাকুল্যে ১২৯ রান, এবং প্রতিপক্ষের ওপেনিং জুটির নাম ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো। এই পরিস্থিতিতে যা হওয়ার, তাই হচ্ছে। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভার শেষ, মসৃণ হাইওয়ে নিয়ে আধুনিক এসইউভি-র মতো এগোচ্ছে হায়দ্রাবাদ। বোর্ডে ৬৪ -০। জিততে দরকার আর ৬৮, হাতে চোদ্দটা ওভার পড়ে। ম্যাচের পরিণতি কী হতে যাচ্ছে, বুঝতে ক্রিকেট পণ্ডিত হওয়ার দরকার পড়ে না। দিল্লি গোহারান হারতে চলেছে ঘরের মাঠে।
যা ভাবা গিয়েছিল তাই, পাশবিক গতিতে তৃতীয় এবং চতুর্থ ওভারে এলো যথাক্রমে ১৩ এবং ১৬ রান, যার সিংহভাগই এলো বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে। এক লাফে দলের স্কোর সাত থেকে ৩৬-এ নিয়ে এলেন জনি বেয়ারস্টো। লামিচানে চার-ছক্কা খেয়ে গেলেন নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারে। মরিসের প্রথম এবং ইনিংসের চার নম্বর ওভারের প্রথম দুটো বলেই বাউন্ডারি বেয়ারস্টোর। চতুর্থ বলে আবার চার! মরিসের ওভার শেষ, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ চার ওভারে ৩৬, বিনা উইকেটে। এই ম্যাচ কুড়ি ওভার পর্যন্ত গড়ানোর সম্ভাবনা কম।
দুই স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শুরু দিল্লির! অক্ষর আর লামিচানে। এবং ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোর খুনে জুটি দুই ওভারে তুলেছেন আপাতত সাত। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। বড় খবর হলো যে বেয়ারস্টোর ক্যাচ ফেললেন অক্ষর প্যাটেল। কট অ্যান্ড বোল্ড হতে হতে বাঁচলেন বেয়ারস্টো। এর মাশুল দিতে হবে দিল্লিকে। রান আটকে এই ম্যাচ জেতা যাবে না, অল আউট করতে হবে হায়াদ্রাবাদকে, এটা যে কেউ বুঝবে। অবাক হওয়ার নেই শ্রেয়সের সিদ্ধান্তে।
শেষ তিন ওভারে দিল্লির খতিয়ান: ৩৪ রান, দুই উইকেট, শেষমেশ স্কোর ১২৯/৮। ভাগ্যিস শেষে অক্ষর প্যাটেল ছিলেন দুটো ছক্কা হাঁকানোর জন্য। পটেটো চিপসের মতো ভেঙে পড়ল দিল্লি। একশো আশির উইকেট নয়, তা বলে ১২৫ তুলতে কালঘাম ছুটে যাবে, এমনও নয়। সানরাইজার্স দুর্দান্ত বোলিং করেছে ঠিকই , কিন্তু আর একটু দায়িত্ববান ব্যাটিং প্রত্যাশিত ছিল দিল্লির থেকে। ক্রিকেটে কিছু বলা যায় না ঠিকই , কিন্তু ম্যাচের পাল্লা যে হায়দ্রাবাদের দিকে ঝুঁকে, লিখে ফেলাই যায়।
আউট! দিল্লির শেষ আশা শ্রেয়স আয়ার আউট! ঘাতকের নাম রশিদ খান, অস্ত্রের নাম গুগলি! ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরছেন দিল্লির অধিনায়ক। সঙ্গীর অভাবে ভুগলেন আগাগোড়া, তবু যথাসাধ্য করেছেন। ১৭ ওভারে ৯৭-৬। রশিদের দুরন্ত স্পেল শেষ, চার ওভারে ১৮-১।
শ্রেয়স লড়ে যাচ্ছেন, 'ক্যাপ্টেনস নক' বলা যেতেই পারে। এই উইকেটে অত সোজা নয় ইচ্ছেমতো শট নেওয়া, যা করতে গিয়ে ডুবেছেন শিখর-পন্ত-রাহুলরা। দুর্ভাগ্য শ্রেয়সের, সঙ্গী পেলেন না একজনও। পেলে ছবিটা এত করুণ দেখাত না। ষোল ওভার শেষ, ৯৩-৫।
এখন দিল্লির চাই একটা ভয়ডরহীন ঝোড়ো ইনিংস। ক্রিজে শ্রেয়সের সঙ্গী এখন ক্রিস মরিস, বিধ্বংসী ইনিংস খেলার ক্ষমতা আছে যাঁর। এখন যা অবস্থা, ১৪০ হলেই খুশি হওয়ার কারণ থাকবে দিল্লির। দেড়শো হলে সেটা বোনাস। আবার লিখি, এই ট্র্যাকে দেড়শো লড়ার মতো রান।
আউট! ইনগ্রাম প্যাভিলিয়নের পথে। সিদ্ধার্থের বলে সপাটে কাট করেছিলেন ইনগ্রাম। বাঁ দিকে শরীর ছুড়ে দিয়ে অসামান্য ক্যাচ ধরলেন মনীশ পাণ্ডে। এমন ক্যাচের জন্য ইংরেজি বিশেষণ ধার করা ছাড়া উপায় নেই। 'স্টানিং'! পাঁচটা উইকেট চলে গেল, এখনও ৭৫-ও পেরোয়নি স্কোর। চোদ্দ ওভার শেষ। দিল্লি বিপর্যয়ের মুখে।
এই উইকেট ১৭০-৮০ রানের নয়, শুকনো এবং স্লো এই বাইশ গজে একশো চল্লিশ-দেড়শো যথেষ্ট ভাল রান। কিন্তু সেই পর্যন্ত পৌঁছতে গেলে শ্রেয়সকে খেলতে হবে শেষ পর্যন্ত। আপাতত দিল্লির 'একা কুম্ভ' বলতে তিনিই। ইনগ্রামের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করছেন আপ্রাণ, ১৩ ওভারে সবে ৭২। বাকি মাত্র সাত ওভার, কত উঠবে? দেড়শো হতে গেলে আরও প্রায় আশি চাই, হবে??
আউট! রাহুল তেওয়াটিয়া আউট! ঠকলেন সন্দীপ শর্মার স্লোয়ারে, বল শেষ পর্যন্ত না দেখে ব্যাট চালালে যা হয়, টাইমিংয়ের বারোটা বাজল এবং লোপ্পা ক্যাচ।এগারো ওভারে ৬১-৪। কেন সানরাইজার্স বোলিংকে বাকি দলগুলো সমীহ করে, তার সাক্ষী থাকছে কোটলা। এই অবস্থা থেকে কতদূর টানতে পারবেন শ্রেয়স এবং নতুন ব্যাটসম্যান ইনগ্রাম? রশিদের দ্বিতীয় ওভার শেষ হল, ইনিংসের বারো। রান? ৬৫-৪।
আউট! ঋষভ আউট! নবীকে মাঠের বাইরে ফেলতে চেয়েছিলেন, বল থেকে গেল মাঠের ভিতরেই। লং অনে ক্যাচ! বড় ধাক্কা খেল দিল্লি। রাহুল তেওয়াটিয়া নেমেই বাঁচলেন এল বি হতে হতে। দুর্দান্ত স্পেল শেষ করলেন নবী, চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে শিখর আর ঋষভের উইকেট। দশ ওভারে ৫৭-৩। দেড়শো পেরোনোই এখন দুঃসাধ্য লাগছে দিল্লির।