IPL 2019 Final, CSK vs MI Live Cricket Score Highlights: ক্রিকেট বিনোদনের সেরা উৎসবের যবনিকা পতন হল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্টের দ্বাদশ সংস্করণে চ্য়াম্পিয়ন হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মোট চারবার এই ট্রফি জিতল মুম্বই। এদিন টস জিতে মুম্বই প্রথমে ব্যাট করে ১৪৯ রান তোলে চেন্নাই। ম্যাচের শেষ বলে মাত্র ১ রানে জয় ছিনিয়ে আনল রোহিত অ্যান্ড কোং।
চেন্নাই আজ অষ্টমবারের জন্য ফাইনাল খেলল। অন্যদিকে মুম্বইয়ের এটি পঞ্চমবার। দু’দলেরই তিনটি করে আইপিএল ট্রফি ছিল ক্যাবিনেটে। আজ জিতে চতুর্থবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই। ২০১০, ২০১৩, ২০১৫-র পর ফের ২০১৯-এ আইপিএল ফাইনাল মুখোমুখি হল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই ও রোহিত শর্মার মুম্বই।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল। শেষ বলে বাজিমাত করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
টুর্নামেন্টে সর্বাধিক চতুর্থবার এই ট্রফি জিতল নীতা আম্বানির টিম
হৃদস্পন্দন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৬ বলে দরকার আর ৯ রান। দুটো দলের ট্রফির ফয়সলার মাঝে ৬টি বল
ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার ওভারে ২০ রান করলেন ওয়াটসন। ১২ বলে প্রয়োজন ১৮ রান। অসাধারণ খেলা হচ্ছে। বিনোদনের সেরা বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়েছে আইপিএল ফাইনাল।হাতের নখ কামড়ে খেয়ে ফেলছেন ফ্যানেরা।
আজ তিনবার জীবনদান পেয়েছেন ওয়াটসন। বৈতরণী পার করানোর গুরুদায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধেই। ১৭ ওভারে চেন্নাই তুলেছে ১১২ রান। রুদ্ধশ্বাস খেলা চলছে হায়দরাবাদে। দুর্দান্ত ফাইনালের সাক্ষী আইপিএলের ফ্য়ানেরা। ম্যাচ এখনও ফিফটি-ফিফটি। প্রিয় দলের জয়ের জন্য প্রার্থনা করছেন অনেকেই।
৩০ বলে দরকার ৬২ রান। ১৫ ওভারে উঠল ৮৮ রান। চেন্নাইকে জিততে হলে মারমুখী হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। আর এখনও বুমরা-মালিঙ্গাদের ওভার রয়েছে সামনে। কাজটা কঠিন হতে চলেছে। কিন্তু ১৬ নম্বর ওভার থেকেই মোড বদলাতে হবে ব্র্যাভো-ওয়াটোদের
১৪ ওভারে ৮৫ রান তুলতে পারল চেন্নাই। যেভাবে তারা শুরুটা করেছিল সেই রেশটা ধরে রাখতে পারল না। তারওপর স্বয়ং ধোনিই আজ খেলতে পারলেন না। এখন ম্যাচে ড্রাইভারের সিটে রোহিতরাই। ওয়াটসন আর ব্র্যাভাে রয়েছেন ক্রিজে। কাজটা কিন্তু কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাঁদের জন্য়। উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ফের একবার দলকে ট্র্যাকে আনার দায়িত্ব এখন ওয়াটসনের। তিনিই ভরসা চেন্নাইয়ের। এরপর ব্য়াটসম্যান বলতে রয়েছেন জাদেজা শুধু।
ধোনি আউট হয়ে গেলেন। তাও রান আউট। এটাই কি আজ ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেবে? উত্তর দেবে সময়। কিন্তু ম্যাচে দুরন্ত ভাবে ফিরে এসেছে চেন্নাই। এখন ডোয়েন ব্র্যাভোর সঙ্গে ওয়াটসন। ইশান কিষাণের অসাধারণ থ্রোই অনেক কিছু পাল্টে দিল। কিন্তু আউট নিয়ে সংশয় থেকেও যাচ্ছে। ১৩ ওভারে ৮২ রান তুলল চেন্নাই। ৪২ বলে প্রয়োজন ৬৮ রান।
বুমরা আসতেই মুম্বই তুলে নিল আম্বাতি রায়ডুকে। ম্যাচে ফিরে এল মুম্বই। এখন ক্রিজে আসবেন এমএস ধোনি। ওয়াটসনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চাইবেন চেন্নাইকে চতুর্থ ট্রফিটা দিতে। আশায় বুক বাঁধছেন চেন্নাইয়ের ফ্যানেরা। খেলার রঙ বদলে দিলেন বুম বুম বুমরা। রোহিতের মুখে ফিরল হাস
রাহুল চাহারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন রায়না (১৪ বলে ৮)। যদিও এর আগে তিনি আজ জীবনদান পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর হলো না। ডিআরএস নিয়েও ফিরে যেতে হল তাঁকে। এখন রায়ডুর সঙ্গে ওয়াটসন খেলবেন। চেন্নাই ১০ ওভারে তুলল ৭২। শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন ৭৮ রান। হাতে রয়েছে আট উইকেট। টার্গেট কিন্তু এখনও কঠিন নয়। অন্যদিকে ওয়াটসন উইকেট আগলেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
৮ ওভারে ৬০ রান তুলল চেন্নাই। ওয়াটসন-রায়না একদম ধরে ধরেই খেলছেন। সেঅর্থে তাঁদের সামনে রানের বিরাট বোঝা নেই। ফলে অনায়াসে স্ট্রাইক রোটেট করলেই ম্য়াচ জিতে নেওয়া সম্ভব। মুম্বই চেষ্টা করছে উইকেট তুলে চেন্নাইকে চাপে রাখতে। রোহিতও জানেন এই রানে চেন্নাইকে বিপাকে ফেলার কাজটা খুব একটা সহজ নয়।
বাধ্যতামূলক পাওয়ার-প্লে শেষ। চেন্নাই এক উইকেট হারিয়ে তুলল ৫৩ রান। ওয়াটসন রয়েছেন আগুনে ফর্মে। ১৪ ওভারে আর ৯৭ রান প্রয়োজন চেন্নাইয়ের। সিএসকে যেভাবে খেলছে সেক্ষেত্রে অনায়াসেই তারা সময়ের আগে অন্তমি স্টেশনে চলে যেতে পারে। রোহিতক ভাবছেন এই জুটি ভেঙে কিভাবে তিনি বেগ দিতে পারবেন চেন্নাইকে। চেন্নাইয়ের ঝুলিতে আম্বাতি রায়ডু, এমএস ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো ব্যাটসম্যান রয়েছে।
রণংদেহী মেজজেই ব্যাট করছিলেন দু প্লেসিস। ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। বলা ভাল ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিলেন তিনি। পাণ্ডিয়া আউট সাইডের বলে তাঁকে ড্রাইভ করার আমন্ত্রণ জানান। দুপ্লেসিস এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প হয়ে গেলেন। চার ওভারে ৩৩ রান তুলল চেন্নাই। হারিয়ে ফেলল প্রথম উইকেট। এবার ওয়াটোর সঙ্গে সুরেশ রায়না।
প্রথম দু ওভারের চেন্নাই ওপেনাররা একদম ধরে ধরেই খেললেন। কিন্তু সুযোগ বুঝেই চারও মারলেন। ফাফ-ওয়াটো ছন্দে থাকলে তাঁদের থেকেই অন্তত ৮০-১০০ রানের পার্টনারশিপ আশা করতে পারে সিএসকে। ২ ওভার শেষে চেন্নাই ১২ রান তুলল। কিন্তু মুম্বইয়ের ঝুলিতেও জসপ্রীত বুমরা এবং লাসিথ মালিঙ্গার মতো বোলাররা রয়েছেন। যাঁরা গেমচেঞ্জার হিসেবেই পরিচিত।
শেন ওয়াটসন আর ফাফ দু প্লেসিসের সেই চেনা ওপেনিং জুটি। চেন্নাইয়ের কাছে এই রান তাড়া করে জেতা খুব একটা কঠিন হবে না বলেই মনে করা যেতে পারে। কিন্তু মুম্বই দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারলে ড্রাইভারের সিটে চলে আসতে পারে তারা। এখন দেখার ভাগ্য বিধাতা আজ কার জন্য ট্রফিটা রেখে দিয়েছেন। ম্যাচের লাইভ আপডেট থাকছে আপনার জন্য। চোখ রাখুন এই ব্লগে।
১৪৯ রানে থামল মুম্বই
চাহারের বল প্লাম এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন পাণ্ডিয়া। ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারলেন না পাণ্ডিয়া। ধোনির মুখে হাসি। শুধু পাণ্ডিয়াই নয়, চাহার তাঁর তুতো ভাইকেও (রাহুল চাহার) আউট করে দিলেন ১৯ নম্বর ওভারে। মুম্বইয়ের হাতে শেষ ওভার। সাত উইকেট হারিয়ে ১৪০ তুলল তারা।
১৭ ওভারে ১২০ রান তুলল মম্বই। তাদের হাতে আর তিনটি ওভার। এখনও পর্যন্ত ম্য়াচে দাপট দেখিয়েছে চেন্নাইয়ের বোলাররা। কিন্তু শেষ তিন ওভারে খেলার রঙ বদলে দিতে পারেন পোলার্ড-পাণ্ডিয়া জুটি। এদেরকে আটকেই রাখা ঠাকুর-চাহারদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তাহির যেন জাদুকর। যিনি ধোনির জন্য ম্যাজিক দেখান। ইশান কিষাণকে (২৬ বলে ২৩) আউট করে দিলেন তিনি। ১৫ ওভারে ১০২ রান তুলল মুম্বই। তাদের হাতে আর অন্তিম পাঁচটি ওভার। ভরসা দুই পাওয়ারহিটার-পোলার্ড ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। হায়দরবাদে উড়ছে হলুদ পতাকা। মুম্বই কার্যত ব্যাকফুটে। এই মাঠের প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ১৭৫। আজ দেখার মুম্বই কত রানের টার্গেট দেয় চেন্নাইকে!
ক্রুনাল পাণ্ডিয়াকে শট বলে করেছিলেন শার্দুল ঠাকুর। তুলে মারেন পাণ্ডিয়া। ধোনি দৌড়ে বলের নাগাল পাবেন না, এটা বুঝে যান শার্দুল। শুরু করেন স্প্রিন্ট। প্রথমবার ক্যাচ ধরতে পারেননি ফ্লোতে। কিন্তু দ্বিতীয়বারে ক্যাচটা নিয়ে নিলেন। ১৩ ওভারে ৯০ রান তুলল মুম্বই। রয়ে গিয়েছেন ইশান কিষাণ। সঙ্গী পোলার্ড। দুরন্ত খেলছে চেন্নাই। আটবারের ফাইনালিস্টরা বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন তারা ধারাবাহিক ভাবে সফল।
১৭ বলে ১৫ রান করে ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলন সূর্য। তাহিরের বল বুঝতেই পারলেন না তিনি। এটাই চাইছিলেন ধোনি। এই মরসুমে তাহির রয়েছন অনন্য ফর্মে। তাঁর কেরিয়ারের এটাই সেরা ফর্ম। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন কাগিসো রাবাদার সঙ্গে। ১২ ওভারে মুম্বই তিন উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তুলল। ক্রিজে রয়েছেন এখন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ও ইশান। শেষ আট ওভারে মুম্বই চাইবে রানের গতি বাড়াতে। চেন্নাইয়ের লক্ষ্য উইকেট
সূর্যকুমার আর ইশান খেলাটার টেম্পো ধরে ফেলেছেন। চেন্নাইয়ের বোলারদের এবার তাঁরা রেয়াত করছেন না। ফাঁকফোকড় দেখেই চার গলিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। ১১ ওভারে ৮০ রান উঠল মুম্বইয়ের। হাতে আর অন্তমি ৯ ওভার। চেন্নাই উইকেটের জন্য মরিয়া এখন। তাহিরের থেকেই ম্যাজিক চাইছেন মাহি।
৯ ওভারে ৫৮ রান তুলল মুম্বই। চলে গিয়েছে ২ উইকেট। ক্রিজে আছেন সূর্যকুমার এবং ইশান কিষাণ। মুম্বইয়ের ঝুলিতে এখনও পাণ্ডিয়া ব্রাদার্স এবং পোলার্ড রয়েছে। তবে ম্যাচে কিছুটা চাপে রয়েছে মুম্বই। ধোনি চাইবেন সেটাকেই মূলধন করে কম রানের মধ্যে দলটাকে বেঁধে রাখতে। খেলা চলছে। ম্যাচের ছোট-বড় সব ঘটনাই থাকবে এই লাইভ ব্লগে। ফলে খেলা দেখতে না-পেলেও এই ব্লগে চোখ রাখলেই ফাইনালের সব আপডেট পেতে থাকবেন।
চেন্নাই ফিরে এল খেলায়। রোহিত শর্মার উইকেটটা তুলে নিলেন চাহার। হিটম্যানের ব্যাট খোঁচা লেগে বল চলে গেল ধোনির হাতে। চেন্নাই ম্যাচে ফিরল দুর্দান্ত ভাবে। মুম্বইয়ের এখন ইনিংস গড়ার সময় চলে এল। দু উইকেট হারিয়ে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে এমআই। খেলা জমে গিয়েছে।
১৭ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট কুইন্টন ডি কক। শার্দুল ঠাকুরের বলে স্টেপ আউট করে পুল করতে গিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি বাঁধেন তিনি। পাঁচ ওভারের খেলা শেষ। হিটম্যানের সঙ্গী এখন সূর্যকুমার যাদব। পাওয়ার-প্লের পুরো ফায়দা তোলার কাজে সফল ডি কক।
তিন ওভারে রোহিত আর ডি কক মিলে ৩০ রান করে ফেললেন। চারটি ছয় দেখে নিল হায়দরাবাদ। এবার ধোনি স্পিন মন্ত্রেই উইকেট পেতে চাইবেন। কিন্তু আজ মুম্বইয়ের ওপেনাররা পুরো রণংদেহী মেজাজেই রয়েছে। উইকেট তুলতে না-পারলে ধোনির দল রীতিমত চাপে পড়ে যাবে।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে রোহিত পুল করে বল পাঠিয়ে দিলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। শার্দুল ঠাকুররে ডেলিভারিতেই মুম্বইয়ের প্রথম ছয় এল। ২ ওভার শেষে মুম্বই ১০ রান করে ফেলল। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন দুই ওপেনার। আজ কিন্তু মুম্বই বড় রানের টার্গেট নিয়েই মাঠে নেমেছে।
প্রথম ওভারটা দেখে খেললেন রোহিত শর্মা আর কুইন্টন ডি কক। দীপক চাহারও লাইন লেন্থে বল রাখার চেষ্টা করলেন। চেন্নাইয়ের ফিল্ডিংও বেশ ভাল। প্রথম ওভারে মুম্বই তুলল মাত্র ২ রান। দুদলই আজ চোখে চোখ রেখে খেলছে।
শচীন তেন্ডুলকর মজেছেন চলতি আইপিএলে। তিনি বলছেন, ‘দুর্দান্ত এবারের আইপিএল। ৩১টি ম্যাচের ভাগ্য শেষ ওভারে নির্ধারিত হয়েছে। আর কী চাওয়ার থাকতে পারে। একটা ম্যাচও এবার দেখলাম না যেখানে কোনও স্ট্যান্ড ফাঁকা গেল। এখানে দর্শক আর ক্রিকেট একে অপরের পরিপূরক বলেই টুর্নামেন্ট এত জনপ্রিয়।’ শচীন আরও বলছেন যে, ধোনি আর রোহিত দুজনেই অসাধারণ সফল। তাঁদের ম্যাচ রিডিং ক্ষমতা খুব ভাল। ফলে আজ দুজনেই সেরাটা দিতে চাইবেন।
সলমন খান ও ক্য়াটরিনা কাইফের ছবি ভারত মুক্তির দোরগোড়ায়। ফাইনালের আগে স্টুডিওতে ছবির প্রমোশনে এসেছিলেন তাঁরা। ক্যাটরিনা বলছেন তিনি গলা ফাটাবেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। অন্যদিকে সলমন বলছেন তিনি ধোনি আর হরভজনকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। তিনি বুঝতে পারছেন না, কোন দলের হয়ে আজ সাপোর্ট করবেন। অন্যদিকে মুম্বই আজ পিচের চরিত্র বুঝে জয়ন্ত যাদবকে বসিয়ে মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানকে খেলাচ্ছে। ধোনিদর দল অপরিবর্তিত
টস জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মা চেন্নাই সুপার কিংসকে বল করার আমন্ত্রণ জানালেন। ধোনি বলছেন তিনি জিতলেও বলই করতেন। ফলে টসের রেজাল্টে দুই অধিনায়কই খুশি। আর তিরিশ মিনিট পরেই শুরু রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশন।
পিচে প্রচুর রান উঠবে আজ। এমনটাই পিচ দেখে বলছেন ভিভিএস। তাঁর মতে দারুণ পিচ হয়েছে ফাইনালে। এই মরসুমে এই মাঠে আটটি ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি ম্য়াচেই ২০০-র বেশি রান হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে।যদিও একটি ম্যাচে মুম্বইয়ের ১৩৭ রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ ৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। কিউরেটর আগেই জানিয়েছেন যে, স্পোটিং পিচই পেতে চলেছে মুম্বই-চেন্নাই। হায়দরাবাদ ফুটছে। স্বাভাবিক ভাবেই হাউসফুল রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দুর্দান্ত ফাইনালের অপেক্ষায় দর্শকরা।
চেন্নাই সুপার কিংস: শেন ওয়াটসন, ফাফ দু প্লেসিস, মুরলী বিজয়, সুরেশ রায়না, আম্বাতি রায়ডু, এমএস ধোনি (উইকেটকিপার ও অধিনায়ক), ডোয়েন ব্র্যাভো, রবীন্দ্র জাদেজা, দীপক চাহার, হরভজন সিং এবং ইমরান তাহির।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিষাণ, হার্দিক পাণ্ডিয়া, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, কায়রন পোলার্ড, বেন কাটিং, রাহুল চাহার, লসিথ মালিঙ্গা এবং জসপ্রীত বুমরা।
আজ এমএস ধোনি চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন হিসেবে চাইবেন জয়ের সেঞ্চুরি করতে। চলতি বছর তিনি রাহুল চাহার, জসপ্রীত বুমরা, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার বলে চার মারতে পারেননি।
আইপিএল ফাইনালে যে চারজন ব্যাটসম্যান সবচেয়ে বেশি রান করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের। সুরেশ রায়না (২৪১ রান), মুরলী বিজয় (১৮১ রান), এমএস ধোনি (১৭৮ রান) এবং শেন ওয়াটসন (১৫৬ রান)
ফাইনালে প্রথমে ব্য়াট করা দল ৬৩.৬০ শতাংশ বার জয় পেয়েছে সব ম্যাচ মিলিয়ে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স একমাত্র দল যারা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশেরও বেশি বার জয় পেয়েছে।
হরভজন সিং, আম্বাতি রায়ডু দু’জনেই কেরিয়ারের পঞ্চম আইপিএল জিততে চাইবেন। টুর্নামেন্টে সর্বাধিক বার এই ট্রফি জয়ের নজির গড়বেন তাঁরা।