আইপিএল ফাইনাল চেন্নাই থেকে সরল হায়দরাবাদে। সোমবার এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট। গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণকারী ম্য়াচটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিপকে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে (টিএনসিএ) বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ড চালু করার অনুমতি দেয়নি সে রাজ্যের সরকার। ফলে গতবারের রানার্স হায়দরাবাদে চলে গেল এবারের ফাইনাল। খেলা হবে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। যার মানে চিপকে নয় আইপিএল টুয়েলভের ফাইনাল দেখতে চলেছে উপল।
যদিও মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সুযোগ থাকছে ঘরের মাঠে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার। যদি তারা লিগ টেবিলে প্রথম দুয়ের মধ্যে থাকতে পারে। এলিমিনেটর (৮ মে) এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার (১০ মে) ম্যাচটি বিশাখাপত্তনমে সরে গেল। খেলা হবে ওয়াইএসআর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: IPL 2019: ‘আউট অফ দ্য পার্ক’! আলোচনায় ধোনির ১১১ মিটারের ছয়
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রধান এদিন কথা বলেছেন পিটিআই-এর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, "আমরা চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদে ম্যাচগুলো সরিয়ে নিলাম। টিএনসিএ আমাদের জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের পক্ষে আই, জে এবং কে স্ট্যান্ড চালু করা সম্ভব হবে না। বিসিসিআই-এর লক্ষ্যই হচ্ছে নক-আউট ম্যাচগুলোতে গেট সেল করার। ফলে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। আমরা দু'টো নকআউট ম্যাচ ভাইজ্যাকে সরিয়ে নিচ্ছি।"
চিপকের আই, জে এবং কে স্ট্যান্ড সেই ২০১২ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তানের একটি মাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেটি চালু করা হয়েছিল। ঠিক এই কারণেই ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে পুরুষদের একটি ম্যাচও এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। নক-আউট ম্যাচগুলিতে এই গেট গুলি বন্ধ থাকলে বিসিসিআই প্রায় ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করতে পারবে না। ফলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে তাদের।
রাইয়ের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, টিকিট বিক্রি করা যখন বোর্ডের অন্য়তম লক্ষ্য, তাহলে কি সবকটি নকআউট ম্য়াচই চিপক থেকে সরে যাবে? রাই জানান, "সিএসকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন। ওই মাঠে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন যদি তারা লিগ পর্যায়ে প্রথম দুয়ের মধ্যে থাকে তাহলে তাদেরকে সবকটা ম্যাচ ঘরের বাইরে দেওয়া যেতে পারে না। ঘরের মাঠে অন্তত একটা হলেও নকআউট ম্যাচ সিএসকের প্রাপ্য।"
এই মরসুমে চিপকে লিগের সবকটি ম্যাচেই চিপকের ওই তিনটি স্ট্যান্ডে বিশাল হলুদ হোর্ডিং দিয়ে ঢেকেই করা হয়েছে। হায়দরাবাদে শুধুমাত্র ফাইনাল পেল। তারা এলিমিনেটর এবং কোয়ালিফায়ার পেল না অন্য কারণে। ভারতের সাইবার সিটিতে ৬. ৮ এবং ১০ মে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে।