/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/JPEG-1.jpg)
KKR vs RR Live Score, KKR vs RR Match Score
Kolkata Knight Riders vs Rajasthan Royals Live Score: বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দীনেশ কার্তিকদের মাথায় জয় ছাড়া আর কোনও ভাবনাই ছিল না। কিন্তু টানা হাফ ডজন ম্যাচ হেরে কলকাতার প্লে-অফ কার্যত ধোঁয়াশাচ্ছন্ন হয়ে গেল। এদিন দীনেশ কার্তিকের দুরন্ত ইনিংস ম্লান হয়ে গেল জোফ্রা আর্চারের শেষ ওভারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে।
অন্যদিকে রাজস্থান অজিঙ্ক রাহানের পরিবর্তে স্টিভ স্মিথকে ক্য়াপ্টেন হিসেবে বেছে নিয়েছে। স্মিথের হাত ধরে মিরাকেল ঘটাতে চায় জয়পুরের দল। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে রয়েছে তারা। স্মিথরাও চাইবেন ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান থেকে জিতে ফিরতে। শেষবার ২০১৫ সালে কলকাতায় এসে জিতেছিল রাজস্থান। ২০১৬ ও ২০১৭ মরসুমে নির্বাসিত থাকায় রাজস্থান আইপিএল খেলেনি। কিন্তু রাজস্থান শেষ চারবারই কলকাতার কাছে হেরেছে। হিসেব বলছে এখনও পর্যন্ত ইডেনে আটবার আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা-রাজস্থান।সাতবারই জিতেছে নাইটরা। আজ কি পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন? উত্তর দেবে সময়।
পরপর চার-ছয়। আর্চারের ব্য়াটে ৩ উইকেটে জিতল রাজস্থান। ইডেনে তাদের দ্বিতীয় জয়।
হিট উইকেট রিয়ান পরাগ, ৩১ বলে ৪৭ করে আউট হলেন তিনি। ৬ বলে ৯ রান প্রয়োজন রাজস্থানের। ইডেন দেখতে চলেছে ফের একটা শেষ ওভারের থ্রিলার। আর্চারের সঙ্গে রয়েছেন উনাদকাট। কার্তিক সাজিয়ে নিচ্ছেন ফিল্ডারদের। ম্যাচ এখন ফিফটি-ফিফটি। বল করবেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
১২ বলে ১৮ রান প্রয়োজন রাজস্থানের। আশার আলো পরাগ-আর্চারের ব্য়াটে।
৯ বলে ১৮ রান করে আউট গোপাল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে শুভমান গিলের হাতে আউট হয়ে গেলেন তিনি। কলকাতা জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করছে। দুরন্ত ক্যাপ্টেনসি কার্তিকের। জোফ্রা আর্চার এসেছেন ক্রিজে। হাতে ভাল শট রয়েছে তাঁর। ২৪ বলে ৪৬ রান প্রয়োজন রাজস্থানের।
১৫ ওভারের খেলা শেষ। ১৫ ওভারে ১২২ তুলল রাজস্থান। ৩০ বলে প্রয়োজন আর ৫৪ রান। আর পরাগ আর গোপাল কিন্তু খেলাটা ধরে নিয়েছেন। রাজস্থানের সমর্থকরা তাঁদের ব্য়াটেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কলকাতার দরকার উইকেট। যে কোনও মূল্য়ে। নাহলে তীরে এসে তরী ডুবতে পারে।
স্টুয়ার্ট বিনিকে আউট করে দিলেন চাওলা। ম্যাচে তিন নম্বর উইকেট চলে এল তাঁর। ১৩ ওভারে ৯৯ রান তুলল রাজস্থান। চলে গেল পাঁচ উইকেট। ৪২ বলে ৭৭ রান প্রয়োজন স্মিথদের। কলকাতার পাল্লাই ভারি বলা চলে। আর দুটো উইকেট পড়ে গেলেই কলকাতার জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে। আজ চাওলাই কলকাতার লাকি ম্যান।
১০ ওভারে ৭৮ রান তুলে ফেলেছিল রাজস্থান। ৬০ বলে আর ৯৮ রান প্রয়োজন। পরাগ আর স্টোকস দুরন্ত ভাবে সামনে নিয়েছিলেন। কিন্তু চাওলাকে আনতেই ফের কামাল করলেন কার্তিক। স্টোকস বড় শট মারতে গিয়ে লংয়ে রাসেলের হাতে আউট হয়ে গেলেন। কলকাতা কিন্তু জয়ের গন্ধ পাচ্ছে।
কলকাতা কামাল করছে। নারিনের ক্যারাম বলে ছিটক গেল স্মিথের মিডল স্টাম্প। কলকাতা আর চাওয়ার কী ই বা থাকতে পারে! ম্যাচের রাশ এখন কার্তিকের হাতেই। এবার মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলেই কলকাতা ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখতে পারবে। আট ওভারে ৬৫ রান তুলল রাজস্থান।
১৫ বলে ২২ করেই ফিরতে হল সনজু স্যামসনকে। পীযূষ চাওলার গুগলি গুলিয়ে ফেললেন তিনি। বল স্টাম্প নিয়ে বেরিয়ে গেল। রাজস্থানের দুই ওপেনারই ফিরে গেলেন ক্রিজে। কিন্তু স্মিথ-স্টোকস দুজনেই অন্য মানের ক্রিকেটার। কার্তিকের পরবর্তী লক্ষ্যই থাকবে এদের দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরত পাঠানো। সাত ওভারে ৬৩ রান রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে। চলে গিয়েছে জোড়া উইকেট
২১ বলের ঝোড়ো ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেন রাহানে। সুনীল নারিন যে কাজের জন্য প্রসিদ্ধ সেটাই করলেন। জুটি ভাঙতে তাঁর কোনও বিকল্প নেই। এদিনও তাই করলেন তিনি। প্রাক্তন অধিনায়ক ফিরতেই ক্রিজে আসবেন বর্তমান অধিনায়ক স্মিথ। ৬ ওভারে ৫৫ রান তুলল রাজস্থান। নিঃসন্দেহে পাওয়ার-প্লের পুরো ফায়দা তুলল তারা। যেটা কেকেআর পারেনি।
রাজস্থান শুরুটা দুর্দান্ত মেজাজেই করেছে। দুই ওপেনার সনজু স্যামসন এবং অজিঙ্ক রাহানে চেনা ছন্দে ব্য়াট করছেন। ১০-এর গড়ে তিন ওভারে ৩০ রান তুলে ফেললেন তাঁরা। রান তাড়ার খেলায় এরকম শুরুই চেয়েছিল স্মিথ অ্যান্ড কোং। রাতের দিকে ইডেনে ব্যাট করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ব্য়াটে-বলে কানেক্ট হওয়ার পর আর ব্যাটসম্যানকে ভাবতে হয় না। বাকি কাজ ইডেনের আউটফিল্ড করে দেয়। আজও ব্য়তিক্রম নয়। কিন্তু কলকাতাকে উইকেট তুলতেই হবে। কারণ ১৭৬ রান করে দীনেশদের স্বস্তিথে থাকার অবকাশ নেই। রাজস্থানে স্মিথ-স্টোকসের মতো ব্য়াটসম্যানরা রয়েছেন। ম্য়াচের রঙ বলে বলে বদলে দিতে পারেন যে কোনও সময়।
দীনেশ কার্তিকের হাত থেকে এল ৫০ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। কেরিয়ারের সর্বোচ্চ টি-২০ স্কোর করলেন তিনি। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি বিশ্বকাপের দলে। কলকাতা ১৭৬ রানের টার্গেট দিল রাজস্থানকে। ইডেনের গ্যালারিতে দীনেশের জন্য জ্বলছে মোবাইলের ফ্ল্য়াশ লাইট। দেখে মনে হচ্ছে আকাশের সব তারা মাটিতে নেমে এসেছে।
জোফ্রা আর্চারকে ১৯ নম্বর ওভারের শেষ দুই বলে পরপর দুটো ছয় মারলেন কার্তিক। দলের রান নিয়ে এলেন ১৫৭-তে। নিজে দাঁড়িয়ে আছেন সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে। আজ ইডেনে বিনোদনের দায়িত্বে ওয়ান অ্যান্ড অনলি কার্তিক।
১৮ ওভারের খেলা চলছে । ১৩১ রান তুলল কলকাতা। রাসেলের পর ব্রাথওয়েটও ফিরে গেলেন। ব্য়াক-টু-ব্য়াক উইকেট হারাল কলকাতা। হাতে আর শেষ ২ ওভার। কিন্তু কলকাতার পক্ষে আজও জেতা কঠিন হতে চলেছে। কারণ ইডেনে ২০০-র বেশি স্কোর করেও খুব একটা নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। সেটাও তাড়া করে জেতা সম্ভব। বিশ্বের অন্য়তম দ্রুত আউটফিল্ডে পরে ব্য়াট করা দল এমনিই এগিয়ে থাকে।
রাসেলের থেকে যে পাওয়ার-হিটিংটা দেখা যায় সেটা আজ প্রায় অদৃশ্য। তারওপর ফের একবার কবজির ব্য়থা তাঁকে বেগ দিচ্ছে। চেয়েও প্রাণ খুলে মারতে পারছেন না রাসেল। অন্যদিকে চাপের মুখে দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করে ফেললেন দীনেশ কার্তিক। আইপিএল কেরিয়ারের ১৮ নম্বর হাফ-সেঞ্চুরি পেলেন তিনি।
১৪ ওভারে ৯৬ রান তুলল কেকেআর। অন্তিম ৬ ওভারে রাসেল আর দীনেশের থকে চার-ছয়ের বন্যাই চাইবে কেকেআর। কারণ রান সেভাবে ওঠেনি বোর্ডে। ফলে এখন মার ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই কলকাতার হাতে।
আজ কার্তিক ঠিকই করে নিয়েছেন সব সমালোচনার জবাব দেবেন। ইডেনে ঝড় তুলেছেন তিনি। নারিনের সঙ্গে চার-ছক্কায় কথা বলছিলেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে নারিন রান আউট হয়ে গেলেন। নারিনের ব্যাট থেকেও জোড়া ছক্কা দেখেছে ক্রিকেটের নন্দনকানন। কিন্তু আজ ইডেনের মনে আজ কার্তিক বিরাজমান। ক্য়াপ্টেনের থেকে বড় ইনিংসের প্রত্য়াশা কলকাতার। এখন কার্তিকের সঙ্গেই রাসেল মাসেল। ১২ ওভার শেষে কলকাতা ৮২ রান তুলল
২৬ বলে ২১ রান করে ফিরেলন নীতিশ রানা। গোপালের বলে অ্যারনের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। নবম ওভারের খেলা চলছে। কলকাতা তিন উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলল। কলকাতা একের পর এক উইকেট হারিয়ে ফেলছে। ইডেনের দর্শক এই দৃশ্য দেখতে আসেননি। এখন নারিনের সঙ্গে কার্তিক। নারিনের হাতে মার রয়েছে। সম্ভবত তিনি চালিয়ে খেলবেন। ধরবেন দীনেশ।
গ্য়ালারিতে ভেঙ্কি মাইসোরের মুখে কার্যত হতাশা ফুটে উঠল। বরুণ অ্যারনের দুরন্ত ইনসুইং ডেলিভারিতে গিলের উইকেট ছিটকে গেল। কার্যত ব্য়াকফুটে কেকেআর। ৫ ওভারে উঠল ৩২ রান। এখন ইডেন তাকিয়ে দীনেশের ব্যাটে। কলকাতাকে রীতিমত চাপে রাখছে রাজস্থান। ইডেনে আগুন ঝড়াচ্ছেন অ্যারন।
চার ওভারের খেলা হয়ে গেল। নীতিশ রানা আর শুভমান গিল একটু ধরেই খেলছেন। ২৪ রান উঠল কলকাতার স্কোরবোর্ডে। পাওয়ার-প্লের আর ২ ওভার রয়েছে তাঁদের হাতে। দুজনেই চাইবেন রানটা বাড়িয়ে নিতে। নারিন, কার্তিক, রাসেলের মতো ব্য়াটসম্যানরা ডাগআউটে অপেক্ষা করছেন। রাজস্থান চাইবে জলদি আরও কয়েকটা উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরতে।
প্রথম তিন বলের মধ্যেই উইকেট। বরুণ অ্যারন ছিটকে দিলেন ক্রিস লিনের স্টাম্প। প্রথম ওভারেই সাফল্য রাজস্থানের। অ্যারনের বাইরের বলে ব্য়াটের কানায় লেগে প্লে ডাউন হয়ে গেলেন লিন। শুভমান গিলের সঙ্গে নিতীশ রানা একদম নতুন করেই শুরু করবেন। এক ওভার শেষে কলকাতা তুলল চার রান। চলে গেল এক উইকেট।
আন্দ্রে রাসেল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে নাকি ব্যাটিংয়ে অনেক নিচের দিকে নামানো হচ্ছে। সেজন্যই তিনি বেশি ডেলিভারি পাচ্ছেন না খেলার জন্য়। কার্তিক এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। অন্যদিকে কালিস বলেছেন রাসেলের একটু ওপর দিকেই খেলা উচিত। আজ দেখার রাসেল কত নম্বরে ব্যাট করতে আসেন। রাসেলকে নিয়েই কেকেআরের অন্দরমহলে কিছুটা হলেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। কেকেআরের ফ্যানেরা কিন্তু এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ। তাঁরা একই ভাবে প্রিয় দলের সমর্থনে গ্যালারি ভরাচ্ছেন আজও। ছবিই বলে দিচ্ছে সেই কথা।
টস জিতে প্রথমে বল করবে রাজস্থান। কলকাতার দর্শক শুরুতেই ব্যাটিং দেখতে পারবেন প্রিয় দলের। ওশেন থমাস এবং বরুণ অ্যারন রাজস্থানে ফিরলেন। কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও কার্লোস ব্রাথওয়েট
কলকাতা-রাজস্থানের টিম বাস ঢুকে গেল।
ইডেনে চলে এল দুই টিম।
স্মিথ-কার্তিকরা প্রস্তুত লড়াইয়ের জন্য়
কার্তিক এই মরসুমে অত্যন্ত খারাপ ফর্মের মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছেন। ১০ ম্যাচ খেলে ১১৭ রান করেছেন। তাঁর ব্যাটিং গড়ের বিচারে দ্বিতীয় খারাপ। ১৬.৭০ মাত্র। ২০১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত আইপিএলে এটাই সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে তাঁর। ২০১৮ সালে ৫০-এর গড় ছিল কলকাতার অধিপতির। এই ম্য়াচের আগে কার্তিক ক্যাপ্টেনসি খোয়াতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছিল। যদিও কেকেআরের হেডস্যার জ্যাক কালিস জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি দলে।
১) টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০০ রান থেকে ৮৭ ধাপ দূরে রাহানে।
২) টি-২০ ক্রিকেটে উইকেটের সেঞ্চুরি থেকে ২ ধাপ দূরে বেন স্টোকস।
৩)গার্নে আর সোধির প্রয়োজন ১টি করে উইকেট। তাহলেই টি-২০ ফর্ম্যাটে ১৫০ উইকেট নিয়ে ফেলবেন।
৪) আজ জিতলেই কেকেআর টি-২০ ক্রিকেটে শততম জয়ের নজির গড়বে।