New Update
IPL 2019, KXIP vs SRH Highlights: রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ জিতল পাঞ্জাব
KXIP vs SRH Today Match Highlights: মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে ৬ উইকেটে জিতল প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব।
Advertisment
৬ উইকেটে জয়ী পাঞ্জাব। সৌজন্য়ে লোকেশ রাহুল ও ময়ঙ্ক আগরওয়াল।
১৯ ওভারের শেষ বলে মনদীপ আউট হয়ে গেলেন।পাঞ্জাবের ৬ বলে ১১ রান প্রয়োজন। ম্য়াচে দুরন্ত ভাবে ফিরে এসেছে হায়দরাবাদ। থ্রিলারের অপেক্ষায় মোহালি।বল করবেন নবি।
ডেভিড মিলার মাত্র ১ রান করে ফিরে গেলেন। পাঞ্জাবের প্রয়োজন ১২ বলে ১৬ রান। ম্য়াচের পাল্লা ভারি পাঞ্জাবেরই। কিন্তু সানরাইজার্স হিসেব বদলে দিতে পারে। ক্রিজে এখনও আছেন রাহুল। এটাই অন্য়তম ভরসা প্রীতির।
দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট ময়ঙ্ক। ৪৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে ক্য়াচ আউট হয়ে গেলেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দিয়েই আউট হলেন তিনি। জয়ের দরজায় পাঞ্জাব। ১৭ বলে ১৯ রান প্রয়োজন তাদের।
আজ দারুণ ছন্দে ব্য়াট করছেন কেএল রাহুল। প্রত্য়াশামতোই হাফ-সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন তিনি। পাঞ্জাবও ১০০ রান পার করে গেল। এভাবে রাহুল-ময়ঙ্ক খেলতে থাকলে পাঞ্জাবের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। একথা এখনই বলা সম্ভব। রাহুলের ব্য়াটে মোহালিতে খুশির হাওয়া। বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে চার নম্বর জায়গায় অন্য়তম দাবিদার রাহুল। ফলে আইপিএলে ভাল খেলে নিজেকে প্রমাণ করতে চান তিনি।
১০ ওভারের খেলা শেষ, এক উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলল পাঞ্জাব, ৬০ বলে আর ৮২ রান প্রয়োজন, ময়ঙ্ক-রাহুল দারুণ ছন্দে খেলছেন আজ।
প্রথম ৬ ওভার শেষ। পাঞ্জাব ১ উইকেট হারিয়ে ৬.৩৩-এর গড়ে ৩৮ রান তুলল। রানরেট রীতিমত ভালই বলা চলে। রাহুলের সঙ্গী এখন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। গেইলকে হারানোর ধাক্কা খুব ভালভাবেই সামলে নিয়েছেন রাহুল-ময়ঙ্ক। দু'জনেই ছন্দে আছেন বলা চলে।
রশিদ খান আসতেই ফিরে গেলেন ক্রিস গেইল। আফগান স্পিনারের প্রথম বলেই দীপক হুডার হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে গেলেন ক্য়ারিবিয়ান দৈত্য়। ১৪ বলে ১৬ করে ফিরলেন পাঞ্জাবের ওপেনার। হায়দরাবাদের বড় প্রাপ্তি।
প্রত্য়াশা মতোই ক্রিস গেইল আর লোকেশ রাহুল পাঞ্জাবের হয়ে রান তাড়া করতে নামলেন। প্রথম ওভারটা একদম ধরে খেললেন তাঁরা। এল মাত্র ২ রান। হায়দরাবাদের টার্গেট সেঅর্থে ধরা ছোঁওয়ার বাইরে নয়। ধরে খেললেই অনায়াসে জয় চলে আসবে পাঞ্জাবের।
পাঞ্জাবের টার্গেট ১৫১। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মণীষ পাণ্ডে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। মহম্মদ শামির বলে পরিবর্ত ফিল্ডারের হাতে ক্য়াচ আউট হন তিনি। কিন্তু দীপক হুডা নেমে ৩ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে হায়দরাবাদের রান ১৫০-এ নিয়ে গেলেন।
লড়াই করে হাফ-সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। তিনি একাই টানছেন সানেদের। হায়দরাবাদ ১৬ ওভার খেলে ১০০ রান পেরিয়ে গেল। এই ম্য়াচ আজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হতে চলেছে। এখনই বলে দেওয়া সম্ভব।
মহম্মদ নবিকে আউট করে দিলেন অশ্বিন। 'মানকাডিং' করে মরসুমের প্রথম ম্য়াচে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অশ্বিন। কিন্তু এবার ক্লিন আউট করলেন তিনি। অশ্বিনের ডেলিভারি ড্রাইভ করেন ওয়ার্নার। সেই শট অশ্বিনের হাতে চলে আসে। নন স্ট্রাইকে থাকা নবি ক্রিজ ছেড় বেরিয়ে গিয়েছিলেন রানের আশায়। আর সেই ফাঁকেই অশ্বিন তাঁকে রান-আউট করে দিলেন। ১৩.২ ওভার শেষে হায়দরাবাদ ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল ৮০ রানে। মিডল অর্ডারের ব্য়াটিং নিয়ে সানেদের দুশ্চিন্তা অব্য়াহত।
৫৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে দিলেন আর অশ্বিন। ২৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলেন শঙ্কর। পাঞ্জাবের অধিনায়কের বলে রাহুলের হাতে ক্য়াচ আউট হয়ে গেলেন তিনি। ক্রিজে আছেন ওয়ার্নার। মহম্মদ নবিকে নিয়ে এবার পথচলা তাঁর।
১০ ওভারের খেলা শেষ। বেয়ারস্টোকে হারানোর ধাক্কা সামলে ডেভিড ওর্য়ানার এবং বিজয় শঙ্কর দলকে টেনে নিয়ে চলেছেন। কিন্তু রানের গতি না-বাড়ালে সমস্য়া হবে সানেদের।
পাঁচ ওভার পরে ওয়ার্নার প্রথম বাউন্ডারি হাকালেন অঙ্কিত রাজপুতের বলে। এই ওয়ার্নার কিন্তু টিকে গেলে দুঃশ্চিন্তা বাড়বে অশ্বিনদের।
বল করতে নেমে দুর্ধর্ষ মহমম্দ সামি। প্রথম ওভারে সামির খরচ করলেন মাত্র ১ রান। বিজয় শঙ্কর প্রথম বলে রান নেওয়ার পরে পাঁচ বলেই সামি বেঁধে রাখলেন ওয়ার্নারকে।
বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং মুজিব উর রহমানের। ব্যাক লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। শর্ট মিড উইকেটে দুর্ধর্ষ ক্যাচ অশ্বিনের। ৩ ওভার শেষে ১৮ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট
বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং মুজিব উর রহমানের। ব্যাক লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। শর্ট মিড উইকেটে দুর্ধর্ষ ক্যাচ অশ্বিনের। ৩ ওভার শেষে ১৮ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট
প্রথম ওভারেই নজর কাড়লেন অঙ্কিত রাজপুত। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোর সামনে প্রথম ওভারে খরচ করলেন মাত্র ৩ রান।
টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের
লোকেশ রাহুল, ক্রিস গেইল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, সরফরাজ খান, ডেভিড মিলার, মনদীপ সিং, স্যাম কুরান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মহম্মদ সামি, অঙ্কিত রাজপুত, মুজিবুর রহমান
বিজয় শঙ্কর, জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পাণ্ডে, হুডা, ইউসুফ পাঠান, নবি, রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কউল, সন্দীপ শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার
কার মুখে আজ শেষ হাসি
বিশ্বকাপে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরের ধাঁধা এখনও সলভ করা হয়নি। আইপিএল থেকেই সেই রহস্য মেটাতে উদ্যোগী হবেন নির্বাচকরা। ধোনি নিজেও জানিয়েছেন, তিনি চার নম্বরে ব্যাট করতে প্রস্তুত। তবে লড়াইয়ে রয়েছেন বিজয়শঙ্করও। হায়দরাবাদ শঙ্করকে ফ্লোটিং ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যবহার করছে। নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন এই তামিল তারকা ক্রিকেটারও।
লোকেশ রাহুল ও সরফরাজ খান নিয়মিত রানের মধ্যে রয়েছেন। তবে আসল সময়ে দলকে টানতে ব্যর্থ হচ্ছেন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুজনকেই সেরা ফর্মে থাকতে হবে।
শেষবার যখন দুদল মুখোমুখি হয়েছিল, তখন মণীশ পাণ্ডের একা দলকে টেনেছিলেন হায়দ্রাবাদের ব্য়াটিং বিপর্যয়ে ত্রাতা হয়েছিলেন তিনি। অল্প রানে আটকে গেলেও দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্য়ে কিংস ইলেভেনকে ১৩ রানে হারিয়ে দেয় সানরাইজার্স।
মোহালির পিচকে বলা হচ্ছে ব্য়াটিংয়ের স্বর্গরাজ্য়। ব্য়াটসম্য়ানরা যেমন স্ট্রোক প্লে-র সুবিধা পাবেন, তেমনই স্পিনারও সিম বোলারদের জন্য়ও পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। পরিসংখ্য়ান বলছে টার সময়ে শুরু হওয়া 15টি ম্য়াচের মধ্য়ে রান তাড়া করে জেতা ম্য়াচ মাত্র 4টে। শিশির এখানে প্রভাব ফেলতে পারে। এতেই স্পষ্ট।
মণীশ পাণ্ডে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অন্য়তম দামি ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য়তম এলিট ক্রিকেটার হিসেবেই সানরাইজার্স টিম ম্য়ানেজমেন্ট নিয়েছে মণীশ পাণ্ডেকে। তবে গত বছর থেকেই মণীশের অফ ফর্ম চলছে। ফর্মের কারণে বাদ পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই{
ক্রিস গেইল আট ইনিংসের মধ্যে চারবার সন্দীপ শর্মার বলে ডাগ-আউটে ফিরেছেন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ক্য়ারিবিয়ান দৈত্যের স্ট্রাইক রেট ১০৭.৪। হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার (৪-৬) টপ অর্ডারের (১-৩) অর্ধেক রানও করতে পারেনি। গতবছর আইপিএলের শুরু থেকেই যা চলছে। ৬০.৫২ শতাংশের বিচারে যা ২৬.৪ শতাংশ। মিডল ওভারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব সবচেয়ে দ্রুত রান তুলেছে। ৯.১-এর স্ট্রাইক রেটে ৭-১৫ ওভারের মধ্যে এই মরসুমে রান তুলেছে তাঁরা। এই সংখ্য়াটা হায়দরাবাদের ৮.২। স্লগ ওভারে দু’দলই ৯.৪-এর স্ট্রাইক রেটে রান করেছে। কিন্তু পাওয়ার-প্লে’তে সানরাইজার্স অনেকটাই এগিয়ে। তাদের স্ট্রাইক রেট ৯.৪, কিংসের ৭.৪।