IPL MI vs DC Head to Head Highlights in bengali: পাণ্ডিয়া ব্রাদার্সের শেষ দিকের ক্যামিওতে মুম্বই ১৬০ পেরিয়ে যাওয়াটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকল ম্যাচের। তা বলে ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে এভাবে গুটিয়ে যাবে দিল্লি ব্যাটসম্যানরা, সেটাও ভাবা যায়নি। ধাওয়ান, পন্থরা অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে গেলেন চাহার-জয়ন্ত যাদব-বুমরাদের সামনে। চাহার নিজের ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। আর বুমরা ১৯ রান খরচ করে জোড়া উইকেট শিকার করলেন। ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি থামল ১২৮-৯-এ।
Live IPL 2019: SRH vs CSK Playing 11 Highlights
যাইহোক, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়েছিল মুম্বইও। একে কোটলার স্লো পিচ। তার উপরে অমিত মিশ্র, অক্ষর প্যাটেলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। মাঝে পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল মুম্বই। সেখান থেকে মুম্বইকে প্রত্যাবর্তনের রাস্তা দেখালেন দুই ভাই হার্দিক ও ক্রুনাল। দুই জনে পঞ্চম উইকেটে যোগ করে যান ৫১ রান। একসময় ১৫০ রানকেও দূরের নক্ষত্র বলে মনে হচ্ছিল। তবে দুই ভাইয়ের দাপটে যথেষ্ট ভাল স্কোর খাড়া করে মুম্বই।
৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থমকে গেল দিল্লি। মুম্বইয়ের জয় ৪০ রানে। এদিনের জয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকল মুম্বই। নেমে গেল দিল্লি।
ডেথ ওভারে বুমরা নিজের সেরা ফর্মে। প্রথমে কিমো পলকে সরাসরি থ্রো-য়ে রান আউট করলেন। তারপরের বলেই অক্ষর প্যাটেলের স্ট্যাম্প ছিটকে দিলেন নিজের চেনা মেজাজে।
ক্রিজে ব্যাট করছিলেন অক্ষর প্যাটেল এবং ক্রিস মরিস। মালিঙ্গার ওভারের শেষ বলে লং অনে ছক্কা হাকাতে গিয়ে আউট মরিস। শেষ ৩ ওভারে জেতার জন্য দিল্লির প্রয়োজন ৬২ রান।
স্লো, মন্থর পিচে পন্থ কেমন ব্যাটিং করেন, সেই প্রত্যাশাতেই দর্শকরা বসেছিলেন মাঠে। তবে তাদের হতাশ হতে চল। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে বুমরা চমৎকার ইনুসুইঙ্গারে ফিরিয়ে দিলেন পন্থকে। পঞ্চম উইকেটের পতন দিল্লির।
ক্য়াপ্টেন শ্রেয়স বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। চাহারের স্বপ্নের ডেলিভারিতে ফিরতে হল তাঁকে। ঋষভ পন্থের সঙ্গে তাঁর জুটিই ছিল শেষ স্বীকৃত জুটি। তবে সেই জুটিও ভেঙে যাওয়ায় দিল্লির হার এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। মিরাকলই একমাত্র বাঁচাতে পারে দিল্লিকে।
যাওয়া-আসার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার আউট কলিন মুনরো। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ব্যাট হাতে ঝলক দেখানোর পরে এবার প্রথম ওভারের শুরুতেই ফিরিয়ে দিলেন বিধ্বংসী কিউয়ি ব্যাটসম্য়ানকে
ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিলেন জয়ন্ত যাদব, চাহাররা। সেই চাপেরই শিকার পৃথ্বী শ (২৪ বলে ২০)। ক্রমশ যত খেলা গড়াচ্ছে, পিচ মন্থর থেকে মন্থরতর হচ্ছে। আদর্শ স্ট্রোক প্লেয়ারতদের বধ্যভূমি এই পিচ। অপেক্ষা আর ধৈর্য্যের সংমিশ্রনে দিল্লি কতদূর যেতে পারবে!
ভাল ছন্দে ব্য়াট করছিলেন শিখর ধাওয়ান। ২২ বলে ৩৫ রান করে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দিল্লি সমর্থকদের। তবে চাহারের বলে ফিরতে হল তাকে।
পিচ কি বদলে ফেলা হল! কৌতূক করে এমনই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে মুম্বইয়ের পক্ষ থেকে। যেভাবে স্বচ্ছন্দে অবলীলায় খেলে চলেছেন দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ (৯ বলে ১০) এবং শিখর ধাওয়ান (১৫ বলে ২৮) তাতে মন্থর পিচ যেন হঠাৎই উধাও। ৪ ওভারে মুম্বই কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৮।
যথাযথ শুরু দিল্লির। হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রথম ওভারে পৃথ্বী শ তুলেছিলেন ৮ রান। চাহারের দ্বিতীয় ওভারে উঠল ১০ রান। দ্বিতীয় ওভারের পরে দিল্লি ১৮-০।
একসময় ১৫০ রানকেও দুরূহ মনে হচ্ছিল। সেখান থেকে হার্দিক-ক্রুনালের ৫৪ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপে মুম্বই নির্ধারিত ২০ ওভারে পৌঁছল ১৬৮ রানে। ১৫ বলে হার্দিকের ৩২ করে শেষ ওভারে আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন ক্রুনাল (২৫ বলে ৩৭)।
কোটলা মাতাচ্ছেন দুই ভাই- হার্দিক, ক্রুনাল। কিমো পলের ১৮ তম ওভারে দুই ভাই তুললেন ১৭ রান। ১৮ ওভারে মুম্বই ১৩৫-৪। ১৯ বলের পার্টনারশিপে দুই ভাই ৩১ রান যোগ করে ফেললেন।
অক্ষর প্যাটেল, কিমো পাল, রাবাদারা যে চাপ বজায় রেখে চলেছিলেন। তার ফল মিলল। রাবাদার বলে ব্যাটের কানায় লেগে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় সূর্যকুমারের (২৭)। মুম্বই ১০৪-৫।
স্লো পিচে অক্ষর প্যাটেল, অমিত মিশ্রদের খেলাই প্রায় দুষ্কর হয়ে পড়ছে। কিমো পলও যথেষ্ট ভাল করছেন।
বিশ্রী ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট ডিকক। সূর্যকুমার বল প্লেস করার পরে রানার পজিশন থেকে ডিকক ইতিমধ্যেই রান কমপ্লিট করে ফেলেছিল। তবে সূর্যকুমার ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। পাড়ার ক্রিকেটেও সম্ভবত এমন ভুল বোঝাবুঝি হয় না। ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান। তাঁর রান আউট ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক
অমিত শর্মার পরে এবার অক্ষর প্যাটেল। নিজের প্রথম ওভারেই লেগ বিফোর করলেন সদ্য নামা বেন কাটিংকে। ফ্রন্ট ফুটে সুইপ করতে গিয়েছিলেন কাটিং। বল প্যাডে লাগে। আম্পায়ার কোনও দ্বিধা না করেই আউটের নির্দেশ দেন।
যে মুহূর্তে মনে হচ্ছিল ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন রোহিত-ডিককরা। সেই মুহূর্তেই ছন্দপতন। অমিত মিশ্র নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড করে দিলেন রোহিতকে। রোহিতকে আউট করার সঙ্গেই আইপিএলে ১৫০তম শিকার সম্পন্ন করে ফেললেন তিনি। রোহিতের পরিবর্তে ব্যাটিং করতে এসেছেন বেন কাটিং।
খেলা ধরে নিয়েছেন রোহিত (২১ বলে ৩০)-ডিকক (১৬ বলে ২৫)। ছন্দে ব্য়াট করছেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। ৬ ওভার শেষে মুম্বই ৫৭-০।
টি টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার পরে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮০০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন।
ইশান্ত শর্মার আগের ওভারেই সুইপ মারতে গিয়ে ব্য়াটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারলেন না রোহিত। এবার ক্রিস মরিসের বলেও কানায় লেগে বাউন্ডারি। কোটলার পিচ যথেষ্ট মন্থর। মিডিয়ার পেসারদের উপযুক্ত উইকেট
৩ ওভার শেষে মুম্বইয়ের রান ১৬। সতর্ক ভঙ্গীতে শুরু করেছেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার ডিকক ও রোহিত শর্মা।
মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করছেন কুইন্টন ডিকক ও রোহিত শর্মা
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত রোহিত শর্মার।
কোটলার পিচ দেখছেন ঈশ্বর
আর ১২ রান করলেই বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়নার পরে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি টোয়েন্টিতে ৮০০০ রান করে ফেলবেন রোহিত শর্মা।
দিল্লি ক্য়াপিটালসঃ শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, কলিন মুনরো, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, ক্রিস মরিস, কিমো পল, অক্ষর প্যাটেল, কাগিসো রাবাদা, অমিত মিশ্র, ইশান্ত শর্মা
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ কুইন্টন ডিকক, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিষান, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, হার্দিক পাণ্ডিয়া, কায়রণ পোলার্ড, জেসন বেহরেনডর্ফ, রাহুল চাহার, লাসিথ মালিঙ্গা, জসপ্রীত বুমরা
শেষবার যখন দিল্লি ও মুম্বই পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। ২৭ বলে ৭৮ রানের সাইক্লোনের ৭০ রানই এসেছিল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি থেকে। সেই ম্যাচেই দিল্লি প্রথম জয় পেয়েছিল। সদ্য বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। সেই আক্রোশে ফের টর্নেডো না ঝড়ে পড়ে তাঁর ব্যাট থেকে।