জাতীয় দলের নির্বাচনে কি রাজনীতির ছোঁয়া থাকে? এমনটাই হয়তো মনে করেন সুরেশ রায়না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রায়না বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন একটি টুইটে লাইক করে, যে টুইটের মর্মার্থ, জাতীয় দলের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেই সুরেশ রায়না আর জায়গা পান না।
প্রায় একবছর হয়ে গেল রায়না জাতীয় দলের জার্সিতে নেই। শেষবার ২০১৮-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছিলেন উত্তর প্রদেশের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তবে পারফরম্যান্স আশাপ্রদ না হওয়ায় রায়নাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আর ডাক পাননি জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য।
আরও পড়ুন
আইপিএলে নিয়মিত খেলছেন তারকা ব্যাটসম্যান। যদিও অন্যান্যবারের মতো চলতি মরশুমে ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারছেন না। ১৬ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৩৭৫ রান করেছেন তিনি। গড় ২৫। ম্যাড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্স সত্ত্বেও রায়না আইপিএলে একের পর এক নজির গড়েছেন। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আইপিএলে ৫০০০ রান পূর্ণ করেছেন তিনি। রায়নাই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি প্রতি মরশুমে ৪৫০-র বেশি রান করেছেন।
আইপিএলের কোয়ালিফায়ারে শুক্রবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে একপেশে ম্যাচে হারায় সিএসকে। সেই ম্যাচেরই এক মুহূর্তে রায়নাকে দেখা গিয়েছে, ক্রিটে ব্যাট করতে আসা ঋষভ পন্থের জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছেন। তারকা ক্রিকেটারের এমন কীর্তি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এক অনুরাগী লিখেছিলেন, "রায়না হলেন এই প্রজন্মের সবথেকে নম্র ক্রিকেটার। রাজনীতির জন্য জাতীয় দলে সাইডলাইনে সরে গিয়েছেন উনি, এটা দেখেই খারাপ লাগছে।"
এই টুইট-টিই লাইক করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন রায়না।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সত্যিই জাতীয় দলে নির্বাচনে ফের সক্রিয় আঞ্চলিক রাজনীতি। তার ফলেই কী জাতীয় দলের চৌহদ্দির বাইরে রায়না!