অবিশ্বাস্য। দুরন্ত। রোমাঞ্চকর। আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচ। দুবাইয়ে প্রথম। সেই ম্যাচই টানটান উত্তেজনায় ড্রয়ে পরিসমাপ্তি ঘটল। কিংস ইলেভেন বনাম পাঞ্জাব ম্যাচ অদ্ভুত রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিয়ে গেল। সুপার ওভারে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি।
ব্যাট হাতে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি। তারপর শেষ ওভারে বল হাতে কিংসদের থেকে জেতা ম্যাচ ছিনিয়ে নায়ক দিল্লির অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়িনিস। অন্যদিকে, হারা ম্যাচ একার হাতে টেনে দলকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যাওয়ায় হিরোর জয়ের বাউন্ডারি লাইন পর করতে পারলেন না তিনি। আইপিএলে দলের প্রথম ম্যাচেই ট্র্যাজিক নায়কের শিরোপা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
নাটকের পর নাটক। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস একসময় ৮৭ রানে ৫, ও ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। মহম্মদ শামির দুরন্ত বোলিংয়ের কোনো হিসাবই ছিল না দিল্লিওয়ালাদের কাছে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন পৃথ্বী শ, হেটমায়ার ও শ্রেয়স আইয়ারকে।
তবে শামির ওভার খতম হয়ে যেতেই বিপাকে পড়ে কিংসরা। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মার্কাস স্টোয়িনিস ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে মাত্র ২১ বলে ৫৩ করে দলকে দেড়শো রানের গন্ডি পার করে দেন। তার আগে শ্রেয়স আইয়ার ও ঋষভ পন্থ করে যান যথাক্রমে ৩৯ ও ৩১।
১৫৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে কিংস ইলেভেন। ৫৫ রানেই খুইয়ে ফেলে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে কার্যত একাই টানতে থাকেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। লোয়ার অর্ডারে সরফরাজ খান, ক্রিস জর্ডানদের সঙ্গে নিয়েই দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।
তবে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩ রান। প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে একদম জয়ের সীমানায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ তিন বলে প্রয়োজন মাত্র ১ রান। সেখান থেকেই ম্যাচ খুইয়ে ফেলে কিংস। চতুর্থ বলে কোনো রান তুলতে পারেননি আগারওয়াল। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পরপর স্টোয়িনিস আউট করে দেন মাযাঙ্ক ও ক্রিস জর্ডনকে। ১৫৭ রানে টাইয়ে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে দুই উইকেট হারায় কিংসরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন রান তুলে দেয় দিল্লি।
আরও পড়ুন: IPL 2020: রায়না-হরভজনকে একহাত নিলেন ধোনি, ম্যাচের পরেই বিস্ফোরণ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন