জেসন হোল্ডার কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, আইপিএলে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' প্রতিবাদের সমর্থনে তেমন কিছুই হচ্ছে না। আইপিএলের সেই 'দুর্নাম' ঘোচাতেই যেন আবির্ভুত হলেন স্বয়ং হার্দিক পান্ডিয়া। রাজস্থান রয়্যালস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচেই হার্দিককে দেখা গেল হাঁটু চেপে প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি করতে।
আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জে ফ্লয়েডকে গলায় হাঁটু চেপে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন এক পুলিশ। তারপরেই প্রতিবাদে গর্জে উঠে সবাই। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ জানায় সব মহল। একাধিক ক্রীড়া ইভেন্টেও সহমর্মিতা জানাতে প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও যে মূল্যবান, তা বোঝাতেই চালু হয় 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' হ্যাশট্যাগ দিয়ে আন্দোলন। হার্দিকের সৌজন্যে সেই প্রতিবাদের মিছিলে সামিল হল আইপিএলও।
আরো পড়ুন: একসময় খেতে পেতেন না, পাঁচ উইকেট নিয়ে আবেগী বরুণের স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে
হার্দিক ব্যাট করার মাঝেই এরকম প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি করেন। তারপর নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে কেবল হ্যাশট্যাগ দেন, 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার'। সতীর্থ হার্দিকের কীর্তিতে আপ্লুত হয়ে কায়রণ পোলার্ডও হাসি মুখে ড্রেসিংরুমে হাত তুলে সমর্থন জানান।
ব্যাট হাতে এমনিতে বরাবরের মত তুখোড় ফর্মে ছিলেন রাজস্থান ম্যাচেও। ডেথ ওভারে তুলোধোনা করলেন রয়্যালস বোলারদের। ১৩ ওভারের পর ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। ২১ বলে ৬০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে যান তিনি।
হার্দিকের ইনিংস সাজানো দুটো বাউন্ডারি এবং সাতটা ওভার বাউন্ডারি। তাঁর ইনিংসে ভর করেই মুম্বই দারুণ স্থানে ফিনিশ করে। স্কোরবোর্ডে মুম্বই তুলেছিল ১৯৫ রান। এর মধ্যে শেষ তিন ওভারেই মুম্বই তোলে ৫৭ রান। শেষ ওভারে তরুণ কার্তিক ত্যাগির ওভার থেকে এসে ২৭ রান।
এত কীর্তি সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসল রাজস্থানই। ১০ বল বাকি থাকতেই বিশাল এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তাঁরা। বেন স্টোকস নিজের প্রথম আইপিএল শতরান করে যান। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন সঞ্জু স্যামসন। সঞ্জু ৩১ বলে ৫৪ রান করে দলকে ফিনিশ করতে সাহায্য করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন