টুর্নামেন্টের শুরুতে ছিল 'হিট' দলের তকমা। পরে টুর্নামেন্ট এগোনোর সঙ্গেই 'ফ্লপ' তকমা জুটতে দেরি হয়নি। তবে সেই সিএসকে-ই টুর্নামেন্টের শেষ দিকে প্লে অফে ওঠার জন্য নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াল। নিজেরা ছিটকে গেলেও 'কিং মেকারের' ভূমিকা নিল ধোনির দল-ই। প্রথমে কেকেআরকে হারিয়ে নাইটদের নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তার পরের ম্যাচেই কিংসদের হারিয়ে প্লে অফ সমীকরণ থেকে বাইরে পাঠায় চেন্নাই।
আর চেন্নাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করল নাইটরা রাতের খেলায় রাজস্থানকে হারিয়ে ছিটকে দিয়ে। ৬০ রানে হারিয়ে নেট রানরেটও অনেক উন্নত করে ফেলল কেকেআর এই সুযোগে।
আরো পড়ুন: এটাই টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ! বাজপাখি হয়ে ধোনিকে ‘জবাব’ কার্তিকের
নাইটদের প্লে অফ এই জয়ের পরেও নিশ্চিত নয়। চার সমীকরণ মিললে তবেই শেষ চারের দরজা খুলবে কেকেআরের সামনে। দেখা যাক সেই সমীকরণ-
১) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হারতেই হবে আরসিবিকে। অন্য ম্যাচে সানরাইজার্সকে হারতে হবে টেবিল টপার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। এমন ফলাফল হলে মুম্বইয়ের পয়েন্ট হবে ২০। দিল্লির ১৬। ১৪ পয়েন্টে থাকবে কেকেআর এবং আরসিবি। দুই দল-ই পা রাখবে প্লে অফে।
২) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে যদি আরসিবি হেরে যায় এবং মুম্বই যদি পরাজিত হয় হায়দরাবাদের কাছে, তাহলে একটু সমস্যা হবে। তবে সেখানেও সুযোগ থাকছে। তখন মুম্বইয়ের পয়েন্ট হবে ১৮। দিল্লির ১৬। ১৪ পয়েন্টে 'ত্রিশঙ্কু' অবস্থা হবে কেকেআর, আরসিবি এবং হায়দরাবাদের। নেট রান রেট আগে থেকেই ভালো থাকায় উঠে যাবে সানরাইজার্স। আরসিবি এবং কেকেআরের নেট রানরেটের হিসাব তখন তুল্যমূল্য বিবেচ্য হবে।
৩) দিল্লি ক্যাপিটালস হারিয়ে দিল ব্যাঙ্গালোরকে। এবং মুম্বই জয় পেল হায়দরাবাদের বিপক্ষে। সেক্ষেত্রে মুম্বইয়ের পয়েন্ট হবে ২০। ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহে থাকবে ১৬ পয়েন্ট। কেকেআর এবং দিল্লি দুই দলের কাছেই তখন ১৪ পয়েন্ট। দুজনেই লিগ পর্বের গন্ডি টপকে পা রাখবে প্লে অফে।
৪) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয় আরসিবির। মুম্বইকে হারাল হায়দরাবাদ। তখন মুম্বইয়ের পয়েন্ট হবে ১৮। আরসিবির সংগ্রহে ১৬ পয়েন্ট। ১৪ পয়েন্টে থাকবে হায়দরাবাদ, দিল্লি এবং কলকাতা। নেট রান রেট ভালো থাকায় তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফাই করবে হায়দরাবাদ। চতুর্থ দল হিসেবে তখন লড়াই হবে কলকাতা এবং দিল্লির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন