চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফের একবার। টানা দু-বার। সবমিলিয়ে পাঁচবার। আইপিএলের সর্বসেরা দল হিসাবেই আরো একবার চ্যাম্পিয়নের শিরোপা মুম্বইয়ের। প্রথমে ব্যাটিং করে মুম্বইয়ের সামনে মাত্র ১৫৭ রানের টার্গেট রেখেছিল দিল্লি। হাতে ৫ উইকেট নিয়েই আট বল বাকি থাকতেই সহজ এই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মুম্বই।
ফাইনালে নেমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি। ইনিংস সাজানো পাঁচটা বাউন্ডারি এবং চারটে ওভার বাউন্ডারিতে। অন্য ওপেনার কুইন্টন ডিকক ১২ বলে ২০ রানের পর শেষদিকে নেমে ঈশান কিষান ফের একবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। ১৯ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
তার আগে দিল্লিকে এদিন মোটামুটি সম্মানজনক স্থানে পৌঁছে দেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থ। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। তবে শুরুতেই বিদ্যুৎ বোল্ট ঝটকা দিতে শুরু করেন। ২২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে ক্যাপিটালস।
স্টোয়িনিস এবং রাহানে ফিরিয়ে দেন বোল্ট। জয়ন্ত যাদবের বলে বোল্ড হয়ে যান শিখর ধাওয়ান। যে সময় মনে হচ্ছিল, মুম্বইয়ের বোলিংয়ের কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে চলেছে দিল্লি। সেই সময়েই দিল্লিকে ম্যাচে ফেরায় পন্থ-আইয়ারের পার্টনারশিপ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৯৬ রান যোগ করে যান স্কোরবোর্ডে।
শ্রেয়স আইয়ার ৫০ বলে ৬৫ করে নটআউট থাকলেও ১৫তম ওভারে আউট হয়ে যান পন্থ। পন্থ ৩৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে যান। চারটে বাউন্ডারির সঙ্গে দুটো ওভার বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক শ্রেয়স হাফডজন চার এবং জোড়া ছক্কা হাঁকান।
মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে এদিন বল হাতে সফল অজি-কিউয়ি জুটি। ট্রেন্ট বোল্ট ৩ উইকেট নেন। নাথান কুইল্টার নাইলের সংগ্রহে ২ উইকেট। বুমরা ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে কোনো উইকেট পাননি।
আরো পড়ুন: প্রবল চাপ! অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন রোহিত, দু-টেস্ট খেলেই দেশে ফিরবেন বিরাট
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন