সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জোস বাটলার। ইনিংসে ওপেন করা হোক বা ফিনিশারের ভূমিকা পালন করা। বাটলার যে কোনো ভূমিকা ব্যাট হাতে স্বচ্ছন্দে পালন করেছেন। দুনিয়ার অন্যতম সেরা বিগ হিটারও তিনি। সেই বাটলারই আসলে ধোনির অন্ধ ভক্ত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ হিসাবে ধোনিকে বহু ম্যাচে দেখার পর সমর্থক হিসাবে সেই মুগ্ধতা আরো বেড়ে গিয়েছে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির ফ্যান, ফলোয়ার, অনুরাগীর সংখ্যা কোটি কোটি। ক্রিকেটেও অজস্র তারকা ধোনিকে আইডল করেই বেড়ে উঠেছে। কেকেআরে খেলা বরুণ চক্রবর্তীই যেমন টিকিট কেটে ধোনির খেলা দেখতে যেতেন। সিএসকে ম্যাচের পর বরুণ টিপসও নিয়েছেন গুরুর কাছ থেকে।
আরো পড়ুন: টিকিট কেটে ধোনির খেলা দেখতেন! সেই আইডলকে দুবার আউট করে রূপকথা বরুণের
ধোনির তেমনই এক অন্ধ ভক্ত বাটলার। সম্প্রতি রাজস্থান রয়্যালস বনাম সিএসকে ম্যাচের পর বাটলারের ওয়ার্ডরোবের জন্য সবথেকে দামি গিফটও পেয়ে গিয়েছেন। ম্যাচের পরেই ধোনির ৭ নম্বর জার্সি পেয়ে গিয়েছেন তিনি খোদ তাঁর আইডলের কাছ থেকে।
বাটলার বলছিলেন, "ধোনি মাঠে যেভাবে শান্ত থাকে, তা দেখার মত। ওঁর হেলিকপ্টার শট থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং- সব কিছুর বড় ভক্ত আমি। টিভিতে সবসময় আইপিএল দেখতাম। আইপিএলেই ওর বেশ কিছু ইনিংস আমি এখনও মনে করতে পারি।"
এরপরেই বাটলার জানিয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপের কথা, "ওর ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের ইনিংস আমার সবথেকে পছন্দের। যেভাবে ও ব্যাট করতে নামল, এবং বলল ট্রফি ঘরে নিয়ে যাব- ভাবা যায় না। তারপর ওর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করা। সেটা ভাবলে এখনো গায়ে কাঁটা দেয়। ওটাই আমার অনুপ্রেরণা।"
বাটলার নিজেও তারকা খ্যাতি পেয়ে গিয়েছেন। নিজের প্রসঙ্গে মুখ খুলে বাটলার জানিয়েছেন, "নিজের উপর ধার্য দাম সবসময় প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়। এই স্কিলটাও ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের আয়ত্ত করতে হয়। সেরা ক্রিকেটাররা এসব ভাবনা মাথা থেকে সরিয়ে সামনে আসা বলে নজর দিতে পারে। যখন আমি আর বেন স্টোকস ব্যাট করি, তখন কেবলমাত্র বলেই ফোকাস করি। বাইরের প্রত্যাশা মাথা থেকে সরিয়ে দি-ই।"
রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে বাটলার কিংসদের বিপক্ষে ২২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এই জয়ে রাজস্থানের প্লে অফ সম্ভবনা এখনো জিইয়ে রইল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন