প্লে অফের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সিএসকের বিরুদ্ধে যেন দল জিতেই মাঠ ছাড়ে, সেই ব্রত নিয়েই এবার প্রার্থনায় বসলেন কেকেআরের মালকিন জুহি চাওলা। তা-ও আবার প্রকাশ্যে গ্যালারিতে। জুহির এই মন্ত্রও অবশ্য আর কাজে এল না। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কেকেআরের রান তাড়া করে সিএসকেকে জিতিয়ে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
আইপিএল থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়ের। সেই সিএসকে-ই কেকেআরের বিরুদ্ধে 'পচা শামুকের' স্বার্থক উদাহরণ হয়ে থাকল। কেকেআর স্কোরবোর্ডে নীতিশ রানার বড় রানের সৌজন্যে ১৭৪ করলেও সিএসকে সেই রান তাড়া করে জিতে যায়।
আরো পড়ুন: টিকিট কেটে ধোনির খেলা দেখতেন! সেই আইডলকে দুবার আউট করে রূপকথা বরুণের
জয়ের জন্য সিএসকের সামনে এদিন শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। কেকেআরের তরুণ পেসার কমলেশ নাগারকোটিকে ওভারের শেষ দুই বলে পরপর জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ সেখানেই সমাপ্ত করে দেন।
আর টানটান লড়াইয়ের এই ক্ষণেই জুহি চাওলাকে দেখা যায় টেনশনাক্রান্ত। নমস্কারের ভঙ্গিতে হাত জোড় করে চোখ বন্ধ অবস্থায় বিড়বিড় করে মন্ত্র পড়তে দেখা যায় তাঁকে। কোন দেবতার শরণাপন্ন হলেন তিনি? জানা গিয়েছে, গণেশ ঠাকুরের ভক্ত অভিনেত্রী। তাই সিদ্ধিদাতার কাছেই শরণ নিয়েছিলেন তিনি কঠিন সময়ে। এমনটাই ধারণা জুহি ঘনিষ্ঠদের। এত করেও অবশ্য রক্ষা পেল না কেকেআর। ধোনিদের কাছে কেকেআর হারার পরেই মুম্বই যে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে উঠছে, তা নিশ্চিত হয়ে যায়।
নীতিশ রানা শুরুতে কেকেআর জার্সিতে ব্যাট হাতে মাতিয়ে যান ৬১ বলে ৮৭ রান করে। ডেথ ওভারে দীনেশ কার্তিকের ঝোড়ো ১০ বলে ২১ রান কেকেআরকে ১৭৪ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে সিএসকে-র হয়ে ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। ৫৩ বলে ৭২ করে যান তরুণ এই তুর্কি। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। শেষ দিকে ফিনিশারের ভূমিকায় সফল জাদেজা। ১১ বলে ম্যাচ জেতানো ৩১ করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন