দু-বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতের অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুরন্ত শতরান করে প্রচারের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মনজোৎ কালরা। সেই ক্রিকেটারকেই এবার বয়স বিতর্কে জড়িয়ে সাসপেন্ড হতে হল। ডিডিসিএ-র তরফে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে তারকা ক্রিকেটারকে। তিনি এক বছর কোনও রকম ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপেই কালরার বয়স নিয়ে কানাঘুসো তৈরি হয়েছিল। বয়সের প্রমাণপত্র নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও নিজেকে সঠিক বয়স নিয়ে অভিযোগমুক্ত করতে পারেননি।
বিশ্বকাপে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের কারণে কালরাকে সেই বছরেই দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েছিল। দিল্লির একাধিক রিজার্ভ ওপেনার থাকার কারণে যদিও সেই মরশুমে কালরা একটি ম্যাচেও মাঠে খেলতে পারেননি। চলতি মরশুমে নিলামের আগেই দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফে রিলিজ করে দেওয়া হয়। নিলামেও বয়স-বিতর্কের কারণে দল পাননি তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য কালরা একদমই ছন্দে নেই। গত বছরের মার্চে দুটো টি২০তে অংশ নিয়েছিলেন। ১৩-র বেশি অবশ্য করতে পারেননি তিনি। বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টে নির্বাসিত হওয়ার কারণে আপাতত কালরার লক্ষ্য সিনিয়র পর্যায়ে ক্রিকেটে অংশ নিয়ে নিজের জাত চেনানো।
কালরার বয়স বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পরেই চাপে পড়েছে কেকেআর। কালরার সঙ্গেই বয়স জনিত বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজরে রয়েছেন কেকেআরের দুইন তারকা শিবম মাভি ও নীতিশ রানা। ২০১৫ সালে বয়সের কারণে যে ২২জন ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নীতিশ রানা। ২৬ বছরের তারকা ক্রিকেটার বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। যদিও সিনিয়র পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে তাঁকে নির্বাসিত করা হবে, এমন সম্ভবনা কম। রানার বিষয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাভির বিষয়টি আবার দেখছে বিসিসিআই। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র মাভি ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচের পাশাপাশি ১৬টি লিস্ট-এ ম্যাচেও খেলেছেন। উইকেট শিকার করেছেন ৪৭টি। নতুন বছরের আইপিএলে কেকেআরের তুরুপের তাস ধরা হচ্ছে তাঁকে। চোটের কারণে আগের দুই মরশুমে খেলতে পারেননি। এবারেই খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন মাভি। তাঁর আগেই ধাক্কা!
Read the full article in ENGLISH