লেজেন্ড ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির হিরোগিরি এখন লোকগাঁথার পর্যায়ে। ধোনি মানেই নিখাদ আবেগ। সেই কারণেই সুনীল গাভাস্কার মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির জনপ্রিয়তা শচীন, কোহলির থেকেও বেশি।
শেষ খেলেছিলেন গত বছর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। তারপর আর বাইশ গজে দেখা যায়নি। অনেক জল্পনার পর আইপিএলকে বিদায় জানিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের দিন। এরপরেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আইপিএলে ফের দেখা গিয়েছে একদম প্রথম ম্যাচেই। ধোনিকে ফোকাসে রেখেই শুরু হয়েছে আইপিএলের মহা আসর। মাঠে ধোনি খেলছেন, ক্রিকেট কেরিয়ারের একদম সায়াহ্নে। এটাই ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আকর্ষণের বিষয়।
আরো পড়ুন: IPL 2020: আইপিএলে জোড়া রেকর্ডের সামনে ধোনি, বুড়ো হাড়ে কি ভেলকি দেখাতে পারবেন মহাতারকা
জাতীয় দলের জার্সিতে ধোনি আন্তৰ্জাতিক ক্রিকেট স্মরণীয় করে রেখেছেন। অধিনায়ক হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। দেশে হোক বা বিদেশে একের পর এক শৃঙ্গ জয় করেছেন। জোড়া বিশ্বকাপ জেতা ছাড়াও ধোনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও এনে দিয়েছেন দেশকে।
শুধু দেশের জার্সিতেই নয়, আইপিএলেও ধোনি অবিশ্বাস্য কীর্তির অধিকারী। ধোনি এবং সিএসকে আইপিএলে একে অন্যের পরিপূরক হয়ে গিয়েছে। ব্যাট হাতে হোক বা অধিনায়কের মগজাস্ত্র- সিএসকেতে ধোনির অবদান একদমই ভোলার নয়। দলকে তিনবার ট্রফি এনে দিয়েছেন। কাপ ফাইনালেও তুলেছেন একাধিকবার। শেষ দুই মরশুমে তো ব্যাট হাতেও ধোনি অপ্রতিরোধ্য।
৭৯.১৭ গড়ে রান করেছেন ৮৭১। এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিদ্বন্দিতামূলক ক্রিকেট না খেলা ধোনি আবু ঢাবির মাঠে কেমন আলো জ্বালান, তা দেখতেই মুখিয়ে রয়েছেন সমর্থকরা।
ধোনিকে জনপ্রিয়তায় এই কারণেই এগিয়ে রাখছেন গাভাস্কার। কিংবদন্তি নিজে ধারাভাষ্যকার হিসাবে হাজির হয়েছেন দুবাইয়ে। তিনি সিএসকে বনাম মুম্বই ম্যাচে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়েই বলে দিলেন, "ক্রিকেট সংস্কৃতি বর্জিত রাঁচির মত একটা ছোট শহর থেকে আসায় ধোনিকে গোটা দেশ ভালোবাসে। শচীনের মুম্বই এবং কলকাতা রয়েছে। কোহলির দিল্লি আর বেঙ্গালুরু আছে। কিন্তু ধোনির সঙ্গে রয়েছে গোটা দেশ।"
গাভাস্কারের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন