বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিষেধ করেছিলেন। তবে সেই নিষেধাজ্ঞার উড়িয়েই আইপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেললেন রোহিত শর্মা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টস করতে নামলেন হিটম্যান।
গত মাসের ১৮ তারিখে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান রোহিত। তারপর চার ম্যাচে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন কায়রণ পোলার্ড। ধরা হয়েছিল রোহিত যদি আইপিএলে খেলেনও, তাহলে প্লে অফেই একেবারে নামবেন হয়ত। তবে আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে কার্যত নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে রোহিত কেন নামলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে। টস করার সময় রোহিতকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ফিট কিনা! তারকার জবাব, “হ্যাঁ, মনে তো হচ্ছে ফিট।”
আরও পড়ুন রোহিত কেন জাতীয় দল থেকে বাদ, দুর্বল যুক্তি দিলেন শাস্ত্রী
তার আগে রোহিতকে নিয়ে সৌরভ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, “ও যে আবার চোট পাক, তা কেউই চায় না। ওর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট আছে। সেটা আরও খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যাবে। সেরকম হলে ওর ফিরতে আরো বেশি সময় লাগবে।”
এর পরে সৌরভ আরো বলেন, “জাতীয় দলের ফিজিও নীতিন প্যাটেল মুম্বইয়ে রয়েছেন। রোহিত নিজেও জানে শুধু আইপিএল কিম্বা পরের সিরিজ-ই নয়, ওর সামনে দীর্ঘ কেরিয়ার অপেক্ষা করছে। আমি নিশ্চিত নিজের অবস্থা পর্যালোচনা করার মত ম্যাচিওর ও।”
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফিজিও নীতিন প্যাটেল তিন সপ্তাহ বিশ্রামের নিদান দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, আইপিএলের ফাইনালের আগে মাঠে দেখা পাওয়া যেত না রোহিতকে। তবে একসপ্তাহ আগেই মাঠে নামলেন তারকা ক্রিকেটার। মুম্বই ফিজিওর রিপোর্ট পাওয়ার পরই নির্বাচকরা অস্ট্রেলিয়া সফরে রোহিতকে না রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছিল, রোহিতের ফিটনেসের উন্নতিতে নজর রাখবে বোর্ড।
এর আগে জাতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন, “দলের মেডিক্যাল টিম পুরো বিষয়টা দেখছেন। আমরা এই বিষয়ে জড়াই না। আমরা নির্বাচকদের কাছে রিপোর্ট পাঠাই। সেই অনুযায়ী দল বেছে নেন ওঁরা। আমি নির্বাচক কমিটির অংশও নই। মেডিক্যাল রিপোর্টের যে বিষয়টি আমি জানি তা হল, অস্ট্রেলিয়ায় খেললে ও আবার চোট পেতে পারে।”
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the Sports News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: