বোর্ডের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলে জায়গা মেলেনি। শুধু তাই-ই নয় সম্প্রচারকারী স্টার স্পোর্টসের ৯০ জনের ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকেও উহ্য রাখা হয়েছে সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে।
তারপরেই আইপিএল মিস করবেন কিনা প্রসঙ্গে 'মানিকন্ট্রোল'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঞ্জরেকর জানালেন, "এই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-র হয়ে প্রি এবং পোস্ট ম্যাচ শো-এ অংশ নিচ্ছি। পাশাপাশি একটি নিউজ চ্যানেলের হয়ে ফ্যান্টাসি লিগ প্ল্যাটফর্ম এর বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতে পারি। সেই সঙ্গে একটি এফএম রেডিওয় কলামও লিখছি।"
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়েও রক্ষা নেই, মঞ্জরেকরকে আইপিএল থেকে বাদ দিলে বোর্ড
২০১৯ বিশ্বকাপের সময় জাদেজাকে 'বিটস এন্ড পিসেস' ক্রিকেটার হিসেবে মন্তব্য করার পরেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপরে ইমেল মারফত ক্ষমা চেয়ে নিলেও সমস্যা মেটেনি। বিসিসিআইয়ের তরফে ওয়ার্ল্ড ফিডের কমেন্ট্রি প্যানেলে রাখা হয়েছে সুনীল গাভাস্কার, ম্যাথু হেডেন, মাইকেল স্ল্যাটার, সাইমন ডুল, পমি বাঙওয়া, শিবরামকৃষ্ণন, মুরলি কার্তিক, দীপ দাশগুপ্ত, রোহন গাভাস্কার, হর্ষ ভোগলে এবং অঞ্জুম চোপড়াদের।
বাদ পড়ার প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে মঞ্জরেকর জানিয়ে দিয়েছেন, "আমরা ভারতীয়রা সমালোচনার বিষয়ে সংবেদনশীল। অন্য বিষয় হল, ভাষা হিসাবে ইংরেজি অনেক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আমি এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি যা অনেকেই ভুল বোঝেন। 'বিটস অফ পিসেস' বিশেষণ অনেকেই ভাবেন এটা একজন ক্রিকেটারের সম্মান হানিকর শব্দ। আমি যদি 'নন-স্পেশালিস্ট' বলতাম তাহলে হয়ত কোনো সমস্যা তৈরি হত না।"
এখানেই না থেমে জাতীয় দলে খেলা একসময়ের তারকা আরো জানিয়েছেন, "একবার নাসের হুসেন বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারকে বলেছিল, 'ডাংকিস অন দ্য ফিন্ড' তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। অথচ এটা কিন্তু ইংল্যান্ডে একদম সাধারণ ইংরেজি শব্দ যা প্রয়োগ করা হয় শ্লথদের ক্ষেত্রে। তাই ইংরেজি ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা রয়েই যায়।"
এর আগে বোর্ডের রোষে পড়ে বাদ যাওয়ার পরে টুইটারে মঞ্জরেকর লিখেছিলেন, “আমি সবসময়ই ধারাভাষ্যকে একটি বিরাট সম্মান হিসেবে নিয়েছি। কখনও এটিকে নিজের প্রাপ্য বলে মনে করিনি। আমাকে এই কাজে রাখা হবে কি না সেটি পুরোপুরি আমার নিয়োগকর্তাদের উপরে নির্ভর করছে। হয়তো আমার পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআই খুশি নয়। একজন পেশাদার হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আইপিএল থেকে বাদ পড়ে বিস্ফোরক মঞ্জরেকর, 'ইংরেজি' নিয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ
২০১৯ বিশ্বকাপের সময় জাদেজাকে 'বিটস এন্ড পিসেস' ক্রিকেটার হিসেবে মন্তব্য করার পরেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপরে ইমেল মারফত ক্ষমা চেয়ে নিলেও সমস্যা মেটেনি।
Follow Us
বোর্ডের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলে জায়গা মেলেনি। শুধু তাই-ই নয় সম্প্রচারকারী স্টার স্পোর্টসের ৯০ জনের ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকেও উহ্য রাখা হয়েছে সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে।
তারপরেই আইপিএল মিস করবেন কিনা প্রসঙ্গে 'মানিকন্ট্রোল'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঞ্জরেকর জানালেন, "এই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-র হয়ে প্রি এবং পোস্ট ম্যাচ শো-এ অংশ নিচ্ছি। পাশাপাশি একটি নিউজ চ্যানেলের হয়ে ফ্যান্টাসি লিগ প্ল্যাটফর্ম এর বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতে পারি। সেই সঙ্গে একটি এফএম রেডিওয় কলামও লিখছি।"
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়েও রক্ষা নেই, মঞ্জরেকরকে আইপিএল থেকে বাদ দিলে বোর্ড
২০১৯ বিশ্বকাপের সময় জাদেজাকে 'বিটস এন্ড পিসেস' ক্রিকেটার হিসেবে মন্তব্য করার পরেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপরে ইমেল মারফত ক্ষমা চেয়ে নিলেও সমস্যা মেটেনি। বিসিসিআইয়ের তরফে ওয়ার্ল্ড ফিডের কমেন্ট্রি প্যানেলে রাখা হয়েছে সুনীল গাভাস্কার, ম্যাথু হেডেন, মাইকেল স্ল্যাটার, সাইমন ডুল, পমি বাঙওয়া, শিবরামকৃষ্ণন, মুরলি কার্তিক, দীপ দাশগুপ্ত, রোহন গাভাস্কার, হর্ষ ভোগলে এবং অঞ্জুম চোপড়াদের।
বাদ পড়ার প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে মঞ্জরেকর জানিয়ে দিয়েছেন, "আমরা ভারতীয়রা সমালোচনার বিষয়ে সংবেদনশীল। অন্য বিষয় হল, ভাষা হিসাবে ইংরেজি অনেক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আমি এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি যা অনেকেই ভুল বোঝেন। 'বিটস অফ পিসেস' বিশেষণ অনেকেই ভাবেন এটা একজন ক্রিকেটারের সম্মান হানিকর শব্দ। আমি যদি 'নন-স্পেশালিস্ট' বলতাম তাহলে হয়ত কোনো সমস্যা তৈরি হত না।"
এখানেই না থেমে জাতীয় দলে খেলা একসময়ের তারকা আরো জানিয়েছেন, "একবার নাসের হুসেন বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারকে বলেছিল, 'ডাংকিস অন দ্য ফিন্ড' তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। অথচ এটা কিন্তু ইংল্যান্ডে একদম সাধারণ ইংরেজি শব্দ যা প্রয়োগ করা হয় শ্লথদের ক্ষেত্রে। তাই ইংরেজি ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা রয়েই যায়।"
এর আগে বোর্ডের রোষে পড়ে বাদ যাওয়ার পরে টুইটারে মঞ্জরেকর লিখেছিলেন, “আমি সবসময়ই ধারাভাষ্যকে একটি বিরাট সম্মান হিসেবে নিয়েছি। কখনও এটিকে নিজের প্রাপ্য বলে মনে করিনি। আমাকে এই কাজে রাখা হবে কি না সেটি পুরোপুরি আমার নিয়োগকর্তাদের উপরে নির্ভর করছে। হয়তো আমার পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআই খুশি নয়। একজন পেশাদার হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন