মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে দিয়ে দুরন্ত জয় পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাট হাতে আগুন জ্বালালেন ঋদ্ধিমান সাহা। সঙ্গত করলেন ওয়ার্নারও। তবে এই ম্যাচেই আম্পায়ারকে কেন্দ্র করে মহা বিতর্ক।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আম্পায়ার অনিল চৌধুরী নাকি সাহায্য করেছেন খোদ হায়দরাবাদ নেতা ওয়ার্নারকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের লেগ বিফোর-কে কেন্দ্র করে যত সমস্যার সূত্রপাত। হায়দরাবাদ বোলারদের লেগ বিফোরের আবেদন খারিজ করে দেন আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। ওয়ার্নারের রিভিউ নেওয়ার সুযোগই দেননি। জানিয়ে দেন বলে ব্যাট স্পর্শ করেছে।
আরো পড়ুন: সুযোগ কাজে লাগলাম, দিল্লিকে ‘খুন’ করে বললেন বাংলার ঋদ্ধি
ঘটনা হল, রিভিউ নিলে অহেতুক হাতে থাকা ডিআরএস-এর সংখ্যা কমে যেত। সেই অর্থে অনিল চৌধুরী হায়দরাবাদের ডিআরএস বাঁচিয়ে ত্রাতা হন। যা পুরোপুরি নিয়ম বিরুদ্ধ।
ডাগ আউটে কমেন্ট্রি করার সময় সতীর্থ ব্রেট লি এবং সঞ্জয় বাঙ্গারকে এই বিষয়টি প্রথমে জানান স্কট স্টাইরিস। তিনি বলেন, ডিআরএস জমানার আগে নিজের সিদ্ধান্তের কারণ জানাতে আম্পায়াররা এমনটা জানাতেন। তবে এখন রিভিউ সিস্টেম থাকায় সংশ্লিষ্ট দলকে এমনটা জানিয়ে দেওয়া অনৈতিক। বাঙ্গারও স্কট স্টাইরিসের সঙ্গে একমত হন। জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ জানান, "অধিনায়কের হাতে যখন ১৫ সেকেন্ড সময় রয়েছে, তখন এরকম জানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ১৫ সেকেন্ডের পর বললে সমস্যার কিছু ছিল না।"
ডিআরএসের নিয়ম অনুযায়ী, অধিনায়ক কখনই কোনো সিদ্ধান্ত রিভিউ করার জন্য আম্পায়ারের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন না। আইপিএলের নিয়মেও বলা রয়েছে, "কোনো অবস্থাতেই ডিআরএস নেওয়ার আগে আম্পায়ারের সঙ্গে কোনো ক্রিকেটার পরামর্শ করতে পারবেন না। কোনোভাবে অনফিল্ড আম্পায়ার যদি মনে করেন, তার কাছে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষে প্রভাব তৈরি করা হচ্ছে, তাহলে তিনি রিভিউয়ের আবেদন বাতিল করতে পারেন। ড্রেসিংরুমের কোনো ইঙ্গিতও এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে না।"
তবে আম্পায়ারের এই কীর্তি ম্যাচে ততটা প্রভাব ফেলেনি। কারণ, দিল্লিকে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট করে দিয়ে ম্যাচ সহজেই জিতে নেয় হায়দরাবাদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন