দেশে মহামারী পরিস্থিতি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে লাখো লাখো দেশবাসীর। অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড অপ্রতুল। অনাহারে লাশের স্তুপ জমা হচ্ছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। এমন অবস্থাতেই রমরমিয়ে হয়ে চলেছে আইপিএল। এতেই ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
দেশের চরম সংকটের সময় কীভাবে কোটি কোটি টাকার লিগ চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রীড়াপ্রেমীরাই। আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে 'দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে, আইপিএল সংক্রান্ত সমস্ত খবরাখবর আপাতত বন্ধ রাখছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্রোধের বারুদ জমছে।
আরো পড়ুন: কেকেআরকে হারিয়ে শাহরুখকে ব্যঙ্গ রাজস্থানের, রয়্যালসদের কীর্তিতে চমকে গেল সবাই
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের এক সদস্য সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পুরো লিগ দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলানো হচ্ছে একাধিক বায়ো বাবলের স্তর তৈরি করে। তাই এই লিগ চালিয়ে যাওয়া পুরোপুরি নিরাপদ। সেই কর্তার যুক্তি, "এই অন্ধকার সময়ে মানুষের মনে আশার আলো জাগাতেই এই লিগ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লির মত ভেন্যুতে সংক্রমণ ভয়ানক হারে বেড়েছে। তবে স্ট্যান্ড বাই ভেন্যু হিসাবে হাতে রয়েছে দিল্লি এবং ইন্দোর। প্রয়োজন হলে, সেইসব ভেন্যু ব্যবহার করা হবে।"
রবিবার বিশ্বের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। অক্সিজেন এবং বেডের অভাবে হাসপাতাল রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
যাইহোক, চেন্নাই থেকে প্রকাশিত সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, জীবন-মরণের বিষয়গুলিতে ফোকাস ধরে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
আসরে নেমেছেন ক্রিকেটাররাও। আরসিবির এবি ডিভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলি যেমন সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম নীতি পালন করতে বলেছেন। তবে অন্যরকম মত পোষণ করেছেন এডাম গিলক্রিস্ট। তিনি টুইট করে বলেছেন, "ভারতের সকলকে শুভেছা। ভয়ানক হারে কোভিড সংক্রমণ। আইপিএল কি চালিয়ে যাওয়া হবে নাকি প্রতিদিন রাত্রে স্বস্তি দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্ট চালু থাকুক? তোমাদের চিন্তা ভাবনা যাই হোক না কেন, সকলের জন্য প্রার্থনা রইল।" ভারতের মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬.৯৬ মিলিয়ন। মৃত্যুর সংখ্যা ১৯২,৩১১।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন