আইপিএলে ক্রিকেটারদের পিছনে অর্থ ঢালতে কার্পণ্য করেন না ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। গত বছরের নিলামে কেকেআর প্যাট কামিন্সের জন্য ১৫.৫ কোটি অর্থ ব্যয় করেছিল। রাজস্থান রয়্যালস আবার আরো এককাঠি এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিস মরিসের জন্য খরচ করেছে ১৬.২৫ কোটি টাকা। নিলামের ইতিহাসে এটাই সবথেকে দামি ক্রয়।
তবে মরিসের বিশাল এই অর্থপ্রাপ্তিতে মোটেই খুশি নন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা কেভিন পিটারসেন। তিনি জানিয়ে দিলেন, জাতীয় দলেই যে নিয়মিত নয়, তাঁর পিছনে এট অর্থ খরচ করার কোনো মানেই নেই।
আরো পড়ুন: পাক পেসারের বাউন্সারে দু-টুকরো হেলমেট! থরথর করে কেঁপে উঠলেন ব্যাটসম্যান, রইল বিষাক্ত ভিডিও
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট অনুষ্ঠানে পিটারসেন সাফ জানিয়ে দেন, "এটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে। আমি যত অর্থ উপার্জন করেছি। মরিসকে তাঁর থেকে অনেক বেশি দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়না এই পরিমাণ অর্থ পাওয়ার ও যোগ্য। এই কারণে ও চাপেও থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও ও নিয়মিত নয়। তাই আমাদের ওঁর ওপর হঠাৎ প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছে। ওঁকে নিয়ে অনেক আলোচনাও বেড়ে গিয়েছে।"
বিরাট কোহকির নেতৃত্বাধীন আরসিবি দলে ক্রিস মরিস একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১০ কোটি টাকায় নিলামে আরসিবি মরিসকে কিনেছিল। তবে চলতি বছরে নিলামের আগে মরিসকে রিলিজ করে দেয় আরসিবি। তারপর নিলামে বিশাল অর্থে প্রোটিয়াজ অলরাউন্ডারকে কেনে রাজস্থান।
পিটারসেন তাই বলছেন, "ও এমন একজন যে মোটেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারবে না। ওঁর প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, ও কিন্তু খুব বেশি হলে টানা দুটো ম্যাচ ভালো খেলবে। তারপর কয়েকটা ম্যাচে ওঁকে পাওয়াই যাবে না। এটাই ওঁর বৈশিষ্ট্য। এত টাকা খরচ করার পর নিশ্চয় কেউ ওঁকে এমনটা দেখতে চাইবে না।"
চলতি মরশুমে ক্রিস মরিস চার ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েই দলকে জিতিয়েছেন তিনি ১৮ বলে ৩৬ করে।
এই মরশুমে মরিসের আগমনেও অবশ্য ভালো খেলতে পারছে না সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস। পয়েন্ট তালিকায় সবথেকে নীচে আপাতত রাজস্থান। জোফ্রা আর্চার এবং বেন স্টোকসের চোট ভালো মত সমস্যায় ফেলেছে মরু শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। চার ম্যাচে মাত্র ১টিতেই জয়লাভ করেছে রাজস্থান। এপ্রিলের ২৪ তারিখ ওয়াংখেড়েতে রাজস্থান খেলবে কেকেআরের বিপক্ষে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন