Advertisment

আইপিএলের সুরক্ষিত বাবলে কীভাবে অনুপ্রবেশ মারণ ভাইরাসের! 'তদন্তে' উঠে এল রোমহর্ষক কাহিনী

একের পর এক ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ আক্রান্ত হওয়ায় আইপিএল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। তবে ভাইরাসের অনুপ্রবেশ সুরক্ষিত বায়ো বাবলে ঢুকল কিভাবে, জানুন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বলা হয়েছিল মাছিও গলতে পারবে না। এতটাই নিশ্ছিদ্র ছিল জৈব সুরক্ষার বলয়। গত বছরেও উত্তুঙ্গ সংক্রমণের সময় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল আয়োজন করা হয়েছিল। তবে বিসিসিআইয়ের গর্বের ফানুস কার্যত ফুটো করে দিল ঘাতক ভাইরাস। মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ভাইরাসের শিকার একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির একের পর এক ক্রিকেটার, কোচ। প্রথমে কেকেআরের বরুণ চক্রবর্তী, সন্দীপ ওয়ারিয়র, তারপর সিএসকের দুই কোচ এল বালাজি, মাইক হাসি হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা।

Advertisment

কিন্তু সাধের বায়ো বাবলে ভাইরাস অনুপ্রবেশ করল কীভাবে? তা নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক ব্যাখ্যা। জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম বলা হয়েছিল ভ্রান্তিমূলক। তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে জোর দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।

আরো পড়ুন: আইপিএল বন্ধে ক্ষতি কোটি কোটি টাকা! কার্যত ভিখারি হয়ে গেল সৌরভের বোর্ড

গত সপ্তাহে বরুণ চক্রবর্তীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কাঁধে স্ক্যান করতে কেকেআর স্পিনারকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনা হল, কাঁধে নয়, বরুণের চোট ছিল পেটের পেশিতে। সেই স্ক্যান করে ফিরেই বরুণ চক্রবর্তী আহমেদাবাদের টিম হোটেলে ফিরে সন্দীপ ওয়ারিয়রের সঙ্গে খাবার খান। এই ঘটনা ১ মে-র।

তারপরে দুই তারকা দলের সঙ্গে অনুশীলনে যান। তারপরেই চক্রবর্তী হঠাৎ জানান, শারীরিক অসুস্থতার কথা। ম্যাসিওরের ঘরে বরুণ চক্রবর্তীকে পৃথক করে রাখা হয়। তবে সন্দীপ ওয়ারিয়র অনুশীলন চালিয়ে যান। সেই সময়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের অনুশীলনও চলছিল।

এখানেই বোর্ডের আশঙ্কা ভাইরাস অন্য দলেও প্রবেশ করে। দিল্লি এবং কলকাতা অনুশীলন একসঙ্গে হওয়ায় সন্দীপ ওয়ারিয়রের সঙ্গে অমিত মিশ্র-র বেশ কিছুক্ষণ হালকা কথাবার্তা সারেন। তারপর দুজনেই চলে যান।

এদিকে, হোটেলে ফিরে অমিত মিশ্র জানান তিনিও অসুস্থ বোধ করছেন। সঙ্গেসঙ্গেই তাঁকে আইসোলেশনে পাঠিয়ে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তারপর গোটা দলের কোভিড টেস্ট করা হয় বোর্ডের তরফে। সেখানে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দেখা যায়, দিল্লির অন্য কেউ সংক্রমিত নন। তবে দিল্লি স্বস্তি দিলেও ঋদ্ধিমান সাহা, বালাজি, হাসির নাম উঠে সংক্রমিতের তালিকায় উঠে আসায় তড়িঘড়ি টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় বোর্ড।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

BCCI IPL
Advertisment