আইপিএল শুরুর একসপ্তাহ আগেই একের পর এক ধাক্কা হজম করতে হচ্ছে বিসিসিআই-কে। শুরু হয়েছিল নীতিশ রানার কোভিড পজিটিভ হওয়া দিয়ে। তারপরে একে একে করোনা আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেল, ওয়াংখেড়ের একাধিক মাঠকর্মী, সিএসকে কন্টেন্ট দলের এক সদস্যও।
আর করোনা ঢেউ আইপিএলে আছড়ে পড়তেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বোর্ড। বোর্ডের তরফে একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, মুম্বইয়ে সূচি মেনে ১০টি আইপিএল ম্যাচ করার বিষয়ে আশাবাদী বোর্ড। তবে মুখে আত্মবিশ্বাসী দাবি করলেও ওয়াংখেড়ের বিকল্প ভেন্যু হিসাবে তৈরি রাখা হল হায়দরাবাদ মাঠকে।
আরো পড়ুন: ধোনির বিশ্বকাপ জয়ে আসল অবদান সৌরভের, চাঞ্চল্যকর দাবি জাতীয় দলের তারকার
টাইমস ইফ ইন্ডিয়া-কে বোর্ডের এক কর্তা বলে দিয়েছেন, "মুম্বই থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়ার জন্য এখন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। আয়োজককারী দলের জন্য আলাদা বাবল তৈরি করা হয়েছে। ক্রিকেটাররাও বাবলে রয়েছেন। বোর্ডের তরফে মুম্বইয়ের বিকল্প হিসেবে হায়দরাবাদকে তৈরি রাখা হলেও এই মুহূর্তে একসপ্তাহের মধ্যে শিফট করা মুশকিল। গতবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মত এবারেও ঘটনা বিহীন আইপিএল আয়োজনের বিষয়ে বিসিসিআই আশাবাদী।"
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বই তো বটেই বাকি সহযোগী ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে আরো কড়া প্রোটোকল মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব থাকায়, সংস্থার কিছু সদস্য প্রোটোকল ভাঙতে পারেন। তাদের বিষয়ে আগেভাগে বোর্ডের তরফে সতর্ক করা হয়েছে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে।
এপ্রিলের ২৮ তারিখে দিল্লি এন্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট আসোসিয়েশন কোটলায় প্রথম আইপিএল ম্যাচ আয়োজন করবে। তার আগে ডিডিসিএ নিজেদের সমস্ত কর্মীদের ফ্রিতে কোভিড টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে। ডিডিসিএ এক আধিকারিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছেন, আইপিএলের কথা বলে ডিডিসিএ-র সভাপতি রোহন জেটলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোভিড প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ অনুমতি আদায় করে নিয়েছেন। কোটলার মাঠকর্মীদের সর্বপ্রথম টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরে সমস্ত কর্মী, ডিরেক্টরদের টিকা দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন