আশঙ্কাই সত্যি হল। সাময়িকভাবে আইপিএল বন্ধ হয়ে গেল। সোমবারের পর মঙ্গলবারও সিএসকে বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র-র রিপোর্ট মঙ্গলবারই পজিটিভ আসে। তারপরেই টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।
সোমবার থেকেই আইসোলেশনে ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে মঙ্গলবার আইপিএলে নতুন করোনার আপডেট দেন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক পিটার লালোর।
এই মুহূর্তে টুর্নামেন্ট চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সূচি পুরোপুরি বদলে ফেলতে হবে। দিল্লি লেগে একের পর এক ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়তেই দিল্লির ম্যাচ বাতিল করার দাবি উঠেছিল গতকাল।
তারপরেই বোর্ডের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মুম্বইয়ে ম্যাচ শিফট করার আবেদন জানানো হয়। মহারাষ্ট্রের মুম্বইও কোভিডের ধাক্কায় ছন্নছাড়া। তবে ধীরে ধীরে রিকভারি করছে শহর।
স্পোর্টসস্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি, ব্রডকাস্ট এবং ওপারেশন টিম মুম্বইয়ে শিফট করার কথা ছিল। নতুন সূচি অনুযায়ী খেলা গড়ানোর কথা ছিল ১০ মে-র পর।
সিএসকে স্কোয়াডের দুই সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে চেন্নাই বোর্ডকে জানিয়ে দেয় বুধবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলতে নামবে না তারা। ধোনিদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোভিড আক্রান্ত দুই তারকার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের রিপোর্ট আগামী ছয় দিনের মধ্যে তিন বার নেগেটিভ এলে তবেই মাঠে নামবেন তাঁরা।
তবে এমন আপডেটের মধ্যেই ঋদ্ধিমান সাহা এবং অমিত মিশ্র-র রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আর বিলম্ব না করে আইপিএল আপাতত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই।
বোর্ডের সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা আইপিএলে বন্ধ হওয়ার খবর কনফার্ম করে জানান, "আপাতত আইপিএল বন্ধ করা হল। সমস্ত দল, ব্রডকাস্টার এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল। বোর্ডের কাছে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সবার আগে অগ্রাধিকার পাবে। আপাতত বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা করা হবে কবে নতুন করে টুর্নামেন্ট শুরু করা সম্ভব। পরের উইন্ডো কখন পাওয়া যাবে, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন