আইপিএল বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। তার আগেই কেকেআর সংসারে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল। কুলদীপ যাদব জানিয়ে দিলেন, অধিনায়ক মর্গ্যান এবং টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে মোটেই আস্থা পাননি তিনি।
Advertisment
আকাশ চোপড়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুলদীপ জানিয়ে দিয়েছেন, "যদি একজন কোচের অধীনে দীর্ঘদিন থাকা যায়, তাহলে তিনি নিশ্চয় আমাকে ভালভাবে বুঝতে পারবেন। তবে মতের আদানপ্রদান দুর্বল হলেই সমস্যার সূত্রপাত। কখনও কখনও আমি বুঝতেই পারিনা, আমি খেলব কিনা অথবা আমার কাছ থেকে দলের প্রত্যাশা ঠিক কী! কখনও কখনও আমার মনে হয় আমিও দলে সুযোগ পেতে পারতাম, দলকে ম্যাচ জেতাতে পারতাম। তবে আমি জানি না কেন আমাকে রাখা হচ্ছে না। টিম ম্যানেজমেন্ট দুমাসের প্ল্যান নিয়ে হাজির হয়। এটাই সমস্যা আরও কঠিন করে তোলে।"
কেকেআরের তারকা স্পিনার গত বছর মোট ৫ ম্যাচে খেলেছিলেন। তবে নজর কাড়তে পারেননি। চলতি বছরে আইপিএলে প্রথমার্ধে কুলদীপকে একটাও ম্যাচে খেলানো হয়নি। দল বাছাইয়ে অধিনায়ক মর্গ্যানের আস্থা পেয়েছেন সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী। দল তাঁর ওপর যে আস্থা রাখতে পারছে না, তা বুঝতে পেরেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন চায়নাম্যান স্পিনার।
কুলদীপ কার্যত তোপ দেগে বলেছেন, "মনে আছে, আইপিএল শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলি আমি। তবে টুর্নামেন্টের মাঝপথে আমাকে কেউ বোঝানোরও প্রয়োজন মনে করেনি। আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছে আমার স্কিলের ওপরে ওঁদের কোনও ভরসাই নেই। অবশ্য দলের কাছে যখন একাধিক অপশন থাকে, তখন এরকম ঘটতেই পারে। কেকেআরের এই মুহূর্তে একাধিক স্পিন বোলিং অপশন রয়েছে।"
অধিনায়ক মর্গ্যানকেও একহাত নিয়েছেন তারকা স্পিনার। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, একজন ভারতীয় অধিনায়ক হলে পরিস্থিতি অনেক ভাল হত। কুলদীপ চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়েছেন, "জানিনা মর্গ্যান আমাকে কোন চোখে দেখে! এমন অবস্থায় কমিউনিকেশন গ্যাপ অনেক বেড়ে যায়। ভারতীয় ক্যাপ্টেন হলে আমরা সরাসরি গিয়ে বাদ পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতে পারি। যেমন রোহিত শর্মা ক্যাপ্টেন হলে সহজভাবে কীভাবে খেলার উন্নতি ঘটানো যায়, দলে আমার ভূমিকা কী, তাছাড়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপ্টেন আমার কাছ থেকে ঠিক কী চাইছে, সেটাও জানতে পারা যায়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন